শেষের পাতা

এশিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ফোরামে সালমান এফ রহমানের অংশগ্রহণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন

হংকংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ফোরামে (এএফএফ) অংশগ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি এই বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ ফোরামে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে  নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গতকাল ‘বৈশ্বিক বাণিজ্য ও সরবরাহ চেইন অর্থায়নের বিবর্তন’ শীর্ষক আলোচনায় প্যানেল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।
বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি’র গ্লোবাল ট্রেড অ্যান্ড রিসিভেবলস ফাইন্যান্সের বৈশ্বিক প্রধান মিস নাটালি ব্লাইথের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানের অপর দুই আলোচক ছিলেন, চীনের লি অ্যান্ড ফাং লিমিটেডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ড. উইলিয়াম ফাং ও বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসি’র গ্রুপ প্রধান নির্বাহী জনাব বিল উইন্টার্স, সিবিই।

এএফএফ আয়োজিত এই অনুষ্ঠান এমন সময় হলো, যখন বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত, আর খুব সমপ্রতিই ঘটে গেছে ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুতর কিছু ঘটনা। প্যানেল আলোচনায় সংরক্ষণবাদের উত্থান, নিয়মনীতি-ভিত্তিক বৈশ্বিক বহুমুখী বাণিজ্য পদ্ধতিকে অগ্রাহ্য করার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, এসব অনিশ্চয়তার কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, আর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নিতেই হবে, তা উঠে আসে।

প্যানেল আলোচনায় সালমান এফ রহমান একমত পোষণ করে বলেন, বৈশ্বিক বাণিজ্য কাঠামোর কারণে বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে, প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ১০ বছর আগে আমাদের মাত্র ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন হয় ২৪ হাজার মেগাওয়াট। আমাদের রপ্তানি ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলারে এসেছে পৌঁছেছে। এসব কীভাবে হয়েছে? এসব হয়েছে এখানে সুযোগ ছিল, সুশাসনও ছিল। এই দু’টি কারণেই বাংলাদেশ এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছে।

পরিবেশ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যমান জলবায়ু সংকটে একেবারে সম্মুখে বাংলাদেশ। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানা বাংলাদেশে অবস্থিত উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার পরিবেশ সুরক্ষায় ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি প্রযুক্তি, বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ এবং এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ১০ বছর আগে, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আজ সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক কাঠামো স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই শিশুদের পাঠ্যক্রমে কোডিং অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। কেননা, আমরা যদি প্রস্তুত না থাকি, তাহলে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সুবিধা ঘরে তুলতে পারবো না।

প্যানেল আলোচনা ছাড়াও এশিয়ান ফাইন্যান্সিয়াল ফোরামের অন্যান্য অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়ার কথা রয়েছে উপদেষ্টার। এই ফোরামে হংকংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগ’ শীর্ষক একটি ডিনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। যাতে উপদেষ্টা বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা করবেন। এর বাইরে এইচএসবিসি’র জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাবৃন্দ, ব্যাংকটির গ্রাহক ও সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হবার কর্মসূচিও রয়েছে। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হংকংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status