দেশ বিদেশ
সারওয়ার আলীর বাসায় হামলাকারী ৭ জন
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৭ পূর্বাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলীর বাসায় হামলার পরিকল্পনা করা হয় হোটেলে। এতে নেতৃত্ব দিয়েছিল তার সাবেক গাড়ি চালক। তার নেতৃত্বেই এই হামলা সংঘটিত হয়। এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে হামলাকারী দলের সদস্য মো. ফরহাদ (১৮) হোসেন। তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল সকালে উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৫ই জানুয়ারি রাতে ডা. সারওয়ার আলীর উত্তরার সাত নম্বর সেক্টরের বাসায় ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের হয়।
গ্রেপ্তারের পর পিবিআই’র জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ জানিয়েছে, এজাহার নামীয় আসামি নাজমুলসহ আরও পাঁচ জনের সঙ্গে ঘটনার আগের দিন আশকোনা এলাকায় হাজী ক্যাম্পের সামনে একটি হোটেলে নাস্তা করে ফরহাদ। এসময় এই হামলার পরিকল্পনা করে তারা। পরে ঘটনার দিন বিকালে আশকোনা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলের ৩০৩ নম্বর কক্ষে নাজমুলের নেতৃত্বে উল্লেখিত সাত জন দুর্বৃত্ত হামলার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। এসময় নাজমুল তাদের জানায়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাষ্টি ডা. সারওয়ার আলীর বাসায় বিপুল টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যাবে।
সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে ওই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে সাত জনেরই উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঘটনার মূলহোতা নাজমুল বাসার পরিবেশ, কক্ষ, পার্কিং প্লেস ইত্যাদি সম্পর্কে সকলকে অবগত করে এবং হামলার সময় কার কী ভূমিকা হবে তা বুঝিয়ে দেয়। এসময় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাষ্টি ডা. সারওয়ার আলীর সাবেক গাড়ি চালক নাজমুল সঙ্গীদের জানায় যে, ওই বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যাবে। টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ওই বাসায় হামলায় আকৃষ্ট করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রোজ নামের একটি হোটেল থেকে ফরহাদসহ দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা করে। আসামি নাজমুল একটি ব্যাগে করে সাতটি চাপাতি ও সাতটি সুইচ গিয়ার ছুরি বহন করে। সারওয়ার আলীর বাসা সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে প্রত্যেকের হাতে একটি করে ছুরি দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী অজ্ঞাতনামা দুইজন ছুরি নিয়ে বাসার উপরে উঠে এবং নাজমুল সহ পাঁচ জন বাসার নিচে অবস্থান করে। নিচে থাকা দুর্বৃত্তদের বাসার ভেতরে প্রবেশের কথা থাকলেও ভিকটিম পরিবার ও প্রতিবেশিদের ডাক-চিৎকার শুরু হওয়ায় উপরে থাকা দুই দুর্বৃত্ত দৌড়ে নিচে এসে সবাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পিবিআই’র পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জানান, এখন পর্যন্ত তদন্তে বিষয়টি ডাকাতি বলেই মনে হচ্ছে। তবে প্রধান আসামি নাজমুলকে গ্রেপ্তার করতে পারলে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা যাবে বলে মনে করেন তিনি। নাজমুলসহ অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার ফরহাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দার আনন্দপুর এলাকায়। তার বাবার নাম মো. শহিদুল্লাহ।
গ্রেপ্তারের পর পিবিআই’র জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ জানিয়েছে, এজাহার নামীয় আসামি নাজমুলসহ আরও পাঁচ জনের সঙ্গে ঘটনার আগের দিন আশকোনা এলাকায় হাজী ক্যাম্পের সামনে একটি হোটেলে নাস্তা করে ফরহাদ। এসময় এই হামলার পরিকল্পনা করে তারা। পরে ঘটনার দিন বিকালে আশকোনা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলের ৩০৩ নম্বর কক্ষে নাজমুলের নেতৃত্বে উল্লেখিত সাত জন দুর্বৃত্ত হামলার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। এসময় নাজমুল তাদের জানায়, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাষ্টি ডা. সারওয়ার আলীর বাসায় বিপুল টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যাবে।
সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে ওই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে সাত জনেরই উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঘটনার মূলহোতা নাজমুল বাসার পরিবেশ, কক্ষ, পার্কিং প্লেস ইত্যাদি সম্পর্কে সকলকে অবগত করে এবং হামলার সময় কার কী ভূমিকা হবে তা বুঝিয়ে দেয়। এসময় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাষ্টি ডা. সারওয়ার আলীর সাবেক গাড়ি চালক নাজমুল সঙ্গীদের জানায় যে, ওই বাসায় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যাবে। টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ওই বাসায় হামলায় আকৃষ্ট করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রোজ নামের একটি হোটেল থেকে ফরহাদসহ দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা করে। আসামি নাজমুল একটি ব্যাগে করে সাতটি চাপাতি ও সাতটি সুইচ গিয়ার ছুরি বহন করে। সারওয়ার আলীর বাসা সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে প্রত্যেকের হাতে একটি করে ছুরি দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী অজ্ঞাতনামা দুইজন ছুরি নিয়ে বাসার উপরে উঠে এবং নাজমুল সহ পাঁচ জন বাসার নিচে অবস্থান করে। নিচে থাকা দুর্বৃত্তদের বাসার ভেতরে প্রবেশের কথা থাকলেও ভিকটিম পরিবার ও প্রতিবেশিদের ডাক-চিৎকার শুরু হওয়ায় উপরে থাকা দুই দুর্বৃত্ত দৌড়ে নিচে এসে সবাই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পিবিআই’র পুলিশ সুপার বশির আহমেদ জানান, এখন পর্যন্ত তদন্তে বিষয়টি ডাকাতি বলেই মনে হচ্ছে। তবে প্রধান আসামি নাজমুলকে গ্রেপ্তার করতে পারলে এ বিষয়ে আরও তথ্য জানা যাবে বলে মনে করেন তিনি। নাজমুলসহ অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার ফরহাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দার আনন্দপুর এলাকায়। তার বাবার নাম মো. শহিদুল্লাহ।