খেলা
ঢাকাকে উড়িয়ে কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
এলিমিনেটর ম্যাচ। দলের বাঁচা-মরার লড়াই। হাতে ১৪টি সেলাই নিয়েই মাঠে নেমে পড়লেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। নামলেন ব্যাটিংয়েও। দুই বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। তবে নবম উইকেটে শাদাব খানের সঙ্গে মাশরাফির অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতেই ঢাকা পেল ১৪৪ রানের পুঁজি। যদিও চ্যালেঞ্জারদের রুখতে সংগ্রহটা যথেষ্ট ছিল না। গতকাল টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় ১৪ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এতে বঙ্গবন্ধু বিপিএল’র দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে যায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৪৫ রানের টার্গেটে ওপেনিং জুটিতে ৫.২ ওভারে ৪২ রান জমা করে চট্টগ্রাম। ১২ বলে তিন বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিয়াউর রহমান। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ইমরুল কায়েসও খেলেন ছোট ও আক্রমণাত্মক ইনিংস। ২২ বলে এক চার ও তিন ছক্কায় ৩২ রান করে শাদাবের বলে আউট হন ইমরুল। আর গেইলের সঙ্গে তার ৪২ বলে ৪৯ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে ফেলে চট্টগ্রাম। শুরু থেকেই ধীর গতিতে ব্যাট করছিলেন ক্রিস গেইল। স্ট্রাইক রেটটা আর বাড়াতে পারেননি। দলীয় ১০২ রানে শাদাবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন সাজঘরে। এক হাতে তার ক্যাচ লুফে নেন মাশরাফি। ৪৯ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় গেইলের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান প্রয়োজন ছিল চট্টগ্রামের। ক্রিজে এসে শাদাবকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। এরপর ১৮তম ওভারে শাদাবকে পরপর দুই বলে দুই ছয় মেরে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের জয়। ১৪ বলের ইনিংসে চার ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
মিরপুরে টসে জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। যথারীতি ধীর গতিতে শুরু ওপেনার তামিম ইকবালের। দুই অঙ্কে পৌঁছতে ব্যর্থ তামিম ১০ বলে করেন ৩ রান। ১২ ম্যাচে ৩৯৬ রান নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করলেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি ঢাকার আরো পাঁচ ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে তিনজন ফেরেন কোনো রান না করেই। ৬০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া ঢাকাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন দুই বিদেশি রিক্রুট শাদাব খান ও থিসারা পেরেরা। অষ্টম উইকেট জুটিতে দু’জনে যোগ করেন ৪৪ রান। ১৩ বলে ২৫ রানে ফিরে যান থিসারা। তবে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন শাদাব খান। শেষ পর্যন্ত ৩ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ৪০ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন এ পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। শেষ ৭ ওভারে ৮৪ রান তুলে ঢাকা প্লাটুনের ইনিংস থামে ১৪৪/৮-এ। জিয়াউর রহমানের শেষ ওভারে ঢাকার স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ২৩ রান। চট্টগ্রামের বল হাতে ক্যারিবীয় পেসার রায়াদ এমরিত নেন ৩ উইকেট। রুবেল হোসেন ও নাসুম আহমেদের শিকার ২টি করে উইকেট। এবারের বিপিএলে ১২ ম্যাচে ১৮ উইকেট শিকার রুবেল হোসেনের। ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রংপুর রেঞ্জার্সের পেস তারকা মোস্তাফিজুর রহমানের। টুর্নামেন্টের সফল বোলারদের মধ্যে রয়েছেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক (১৮), মেহেদী হাসান রানা (১৭) ও শহীদুল ইসলাম (১৭)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ফিল্ডিং
ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৪৪/৮ (মুমিনুল ৩১, থিসারা ২৫, শাদাব ৬৪*; এমরিত ৩/২৩, রুবেল ২/৩৩, নাসুম ২/১১)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৭.৪ ওভারে ১৪৭/৩ (গেইল ৩৯, ইমরুল ৩২, মাহমুদুল্লাহ ৩৪*, ওয়ালটন ১২*; শাদাব ২/৩২)
ফল: চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: রায়াদ এমরিত (চট্টগ্রাম)
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১৪৫ রানের টার্গেটে ওপেনিং জুটিতে ৫.২ ওভারে ৪২ রান জমা করে চট্টগ্রাম। ১২ বলে তিন বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিয়াউর রহমান। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে ইমরুল কায়েসও খেলেন ছোট ও আক্রমণাত্মক ইনিংস। ২২ বলে এক চার ও তিন ছক্কায় ৩২ রান করে শাদাবের বলে আউট হন ইমরুল। আর গেইলের সঙ্গে তার ৪২ বলে ৪৯ রানের জুটিতে জয়ের ভিত গড়ে ফেলে চট্টগ্রাম। শুরু থেকেই ধীর গতিতে ব্যাট করছিলেন ক্রিস গেইল। স্ট্রাইক রেটটা আর বাড়াতে পারেননি। দলীয় ১০২ রানে শাদাবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন সাজঘরে। এক হাতে তার ক্যাচ লুফে নেন মাশরাফি। ৪৯ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় গেইলের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ রান। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য ৩৬ রান প্রয়োজন ছিল চট্টগ্রামের। ক্রিজে এসে শাদাবকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। এরপর ১৮তম ওভারে শাদাবকে পরপর দুই বলে দুই ছয় মেরে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের জয়। ১৪ বলের ইনিংসে চার ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
মিরপুরে টসে জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান চট্টগ্রাম অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। যথারীতি ধীর গতিতে শুরু ওপেনার তামিম ইকবালের। দুই অঙ্কে পৌঁছতে ব্যর্থ তামিম ১০ বলে করেন ৩ রান। ১২ ম্যাচে ৩৯৬ রান নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করলেন জাতীয় দলের এই ওপেনার। দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি ঢাকার আরো পাঁচ ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে তিনজন ফেরেন কোনো রান না করেই। ৬০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া ঢাকাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন দুই বিদেশি রিক্রুট শাদাব খান ও থিসারা পেরেরা। অষ্টম উইকেট জুটিতে দু’জনে যোগ করেন ৪৪ রান। ১৩ বলে ২৫ রানে ফিরে যান থিসারা। তবে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন শাদাব খান। শেষ পর্যন্ত ৩ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারিতে ৪০ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন এ পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। শেষ ৭ ওভারে ৮৪ রান তুলে ঢাকা প্লাটুনের ইনিংস থামে ১৪৪/৮-এ। জিয়াউর রহমানের শেষ ওভারে ঢাকার স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ২৩ রান। চট্টগ্রামের বল হাতে ক্যারিবীয় পেসার রায়াদ এমরিত নেন ৩ উইকেট। রুবেল হোসেন ও নাসুম আহমেদের শিকার ২টি করে উইকেট। এবারের বিপিএলে ১২ ম্যাচে ১৮ উইকেট শিকার রুবেল হোসেনের। ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রংপুর রেঞ্জার্সের পেস তারকা মোস্তাফিজুর রহমানের। টুর্নামেন্টের সফল বোলারদের মধ্যে রয়েছেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক (১৮), মেহেদী হাসান রানা (১৭) ও শহীদুল ইসলাম (১৭)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ফিল্ডিং
ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৪৪/৮ (মুমিনুল ৩১, থিসারা ২৫, শাদাব ৬৪*; এমরিত ৩/২৩, রুবেল ২/৩৩, নাসুম ২/১১)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৭.৪ ওভারে ১৪৭/৩ (গেইল ৩৯, ইমরুল ৩২, মাহমুদুল্লাহ ৩৪*, ওয়ালটন ১২*; শাদাব ২/৩২)
ফল: চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: রায়াদ এমরিত (চট্টগ্রাম)