দেশ বিদেশ
ঢাকার ৯৪ শতাংশ হাসপাতালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন হয়
স্টাফ রিপোর্টার
১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনে হাসপাতালগুলো সম্পূর্ণ তামাকমুক্ত হওয়ার কথা বলা হলেও ঢাকার ৯৪ শতাংশ হাসপাতালে এ আইন লঙ্ঘন হচ্ছে। রাজধানীর ৫১টি হাসপাতালে পরিচালিত এক জরিপ করে এ তথ্য জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এ উপলক্ষে এক প্রচারণামূলক সেমিনারের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের অ্যান্টি টোবাকো প্রোগ্রামের অফিসার ডা. আহমাদ খায়রুল আবরার বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে ঢাকার মাত্র ছয় শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়। তিনি বলেন, ঢাকার ৮০ শতাংশ সরকারি হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাক পণ্য বিক্রি হয়। ১৮ শতাংশ হাসপাতালের সীমানার মধ্যেই এমন দোকান রয়েছে। জরিপে ঢাকার ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয়। এর প্রমাণ হিসেবে সরকারি হাসপাতালে সিগারেটের ফিল্টার, ধোঁয়ার গন্ধ ইত্যাদি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, এক তৃতীয়াংশ হাসপাতালে কাউকে না কাউকে সরাসরি ধূমপান করতে দেখা গেছে। একই পরিস্থিতি ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও। ঢাকার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ হাসপাতালে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার হয়। এর প্রমাণ হিসেবে পানের পিক, চুনের দাগ দেখা গেছে। আর সরাসরি ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেত দেখা গেছে প্রায় ৪৫ শতাংশ হাসপাতালে।
অপরদিকে, হাসপাতালগুলোতে আসা রোগী ও দর্শনার্থীদের তামাক ছাড়ার ব্যাপারে সহায়তা দিতে তামাক নিবৃত্তকরণ ক্লিনিক থাকা অত্যাবশ্যক বলা হলেও রাজধানীর মাত্র ২ শতাংশ হাসপাতালে এই সুবিধা রয়েছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাতসহ অনেকে।
অপরদিকে, হাসপাতালগুলোতে আসা রোগী ও দর্শনার্থীদের তামাক ছাড়ার ব্যাপারে সহায়তা দিতে তামাক নিবৃত্তকরণ ক্লিনিক থাকা অত্যাবশ্যক বলা হলেও রাজধানীর মাত্র ২ শতাংশ হাসপাতালে এই সুবিধা রয়েছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাতসহ অনেকে।