বাংলারজমিন
ছিন্নমূল মানুষের প্রিয়মুখ মান্নান আকন্দ
প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:২০ পূর্বাহ্ন
চলমান শৈত্যপ্রবাহে রাত নামার সঙ্গে সঙ্গেই বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা। এতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথের ধারের ছিন্নমূল মানুষের। বগুড়াতে এরকম ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা কম নয়। শহরের স্টেশন গেট, লাইনের ধারের বস্তি, পৌরপার্ক রোড, সার্কিট হাউজের দেয়াল ঘেষে অনেক মানুষ রাস্তায় পরে থাকে। ঘুমানের জন্য ফুটপাথই তাদের একমাত্র ঠিকানা। চরম শীতে জবুথবু এমন মানুষদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছেন বগুড়ার একজন আলোকিত মানুষ আবদুল মান্নান আকন্দ।
তিনি প্রতিরাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব ছিন্নমূল মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। পাশাপাশি রাতে তাদের থাকার জন্য প্রত্যেকের বিছানায় প্লাস্টিকের ককশিটের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এই ককশিট দেয়াতে রাস্তার পাশে থাকা মানুষগুলো এই শীতে কিছুটা স্বস্তিতে ঘুমাতে পারছেন। ছিন্নমূল মানুষদের নিয়ে এমন মহৎ উদ্যোগ হাতে নেয়ায় তাদের কাছে ইতিমধ্যেই প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছেন আবদুল মান্নান আকন্দ।
বগুড়া রেলস্টেশন গেটে রাত্রি যাপনকারী ছিন্নমূল মানুষ আমেনা বেওয়া, আশরাফ আলী, আবদুল বাছেদ, রহিমা খাতুন বলেন, শীতে খোলা আকাশের নিচে থাকতে খুব কষ্ট হয়। সেজন্য রেলস্টেশনের মূলগেটের ছাদের নিচে রাত্রি যাপন করছেন তারা। মেঝেতে ছেড়া কাথা অথবা পাটের বস্তা বিছিয়েই শুয়ে পড়েন তারা। ফলে গায়ে যতো মোটা কাপড়ই থাক না কেন, নিচ থেকে ঠাণ্ডা লাগতো তাদের শরীরে। এমন অবস্থা আব্দুল মান্নানের চোখে পড়লে তিনি তাদের প্লাস্টিকের ককশিট দেন সবার জন্য। তারা বলেন, ওই শিট পাওয়ার পর এখন কিছুটা আরামে আছেন তারা। উপরন্ত রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে এখন গরম খাবারও দিচ্ছেন তিনি ।
জানাযায়, আবদুল মান্নান পেশা একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। সামজিক কার্যক্রমে তিনি বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষদের কাছে দিন দিন প্রিয় হয়ে উঠছেন। যে কেউ আর্থিক শারীরিক সমস্যায় পড়লে তিনি ছুটে যান তার কাছে। বিপদে কাণ্ডারি হিসেবে পাশে দাঁড়ান। নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তিনি অবহেলিত মানুষদের দু’বেলা খাবার দিচ্ছেন প্রতিদিন। ছিন্নমূল মানুষদের পাশাপাশি তিনি প্রায় হাজারখানেক অসহায় মানুষের মুখে দুই বেলা খাবার রান্না করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। যেসব মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে দিন পার করতেন এমন মানুষদের খুঁজে বের করে তাদের পাশে কাণ্ডারি হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।
এদিকে আবদুল মান্নান আকন্দ মানবজমিনকে বলেন, এখন প্রায় এক হাজার মানুষকে নিজের পকেটের টাকায় সাধ্যমতো দুই বেলা খাওয়াচ্ছি। রাষ্ট্র এবং সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে আরো বেশি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়া যেতো। আরো বেশি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যেতো। তিনি তার এই উদ্যোগে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আবেদন করেছেন। আব্দুল মান্নান আকন্দ এই মহতী কাজে দেশ এবং দেশের বাইরের হৃদয়বানদের শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি প্রতিরাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব ছিন্নমূল মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। পাশাপাশি রাতে তাদের থাকার জন্য প্রত্যেকের বিছানায় প্লাস্টিকের ককশিটের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এই ককশিট দেয়াতে রাস্তার পাশে থাকা মানুষগুলো এই শীতে কিছুটা স্বস্তিতে ঘুমাতে পারছেন। ছিন্নমূল মানুষদের নিয়ে এমন মহৎ উদ্যোগ হাতে নেয়ায় তাদের কাছে ইতিমধ্যেই প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছেন আবদুল মান্নান আকন্দ।
বগুড়া রেলস্টেশন গেটে রাত্রি যাপনকারী ছিন্নমূল মানুষ আমেনা বেওয়া, আশরাফ আলী, আবদুল বাছেদ, রহিমা খাতুন বলেন, শীতে খোলা আকাশের নিচে থাকতে খুব কষ্ট হয়। সেজন্য রেলস্টেশনের মূলগেটের ছাদের নিচে রাত্রি যাপন করছেন তারা। মেঝেতে ছেড়া কাথা অথবা পাটের বস্তা বিছিয়েই শুয়ে পড়েন তারা। ফলে গায়ে যতো মোটা কাপড়ই থাক না কেন, নিচ থেকে ঠাণ্ডা লাগতো তাদের শরীরে। এমন অবস্থা আব্দুল মান্নানের চোখে পড়লে তিনি তাদের প্লাস্টিকের ককশিট দেন সবার জন্য। তারা বলেন, ওই শিট পাওয়ার পর এখন কিছুটা আরামে আছেন তারা। উপরন্ত রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে এখন গরম খাবারও দিচ্ছেন তিনি ।
জানাযায়, আবদুল মান্নান পেশা একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। সামজিক কার্যক্রমে তিনি বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষদের কাছে দিন দিন প্রিয় হয়ে উঠছেন। যে কেউ আর্থিক শারীরিক সমস্যায় পড়লে তিনি ছুটে যান তার কাছে। বিপদে কাণ্ডারি হিসেবে পাশে দাঁড়ান। নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তিনি অবহেলিত মানুষদের দু’বেলা খাবার দিচ্ছেন প্রতিদিন। ছিন্নমূল মানুষদের পাশাপাশি তিনি প্রায় হাজারখানেক অসহায় মানুষের মুখে দুই বেলা খাবার রান্না করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন। যেসব মানুষ অর্ধাহারে অনাহারে দিন পার করতেন এমন মানুষদের খুঁজে বের করে তাদের পাশে কাণ্ডারি হিসেবে দাঁড়িয়েছেন।
এদিকে আবদুল মান্নান আকন্দ মানবজমিনকে বলেন, এখন প্রায় এক হাজার মানুষকে নিজের পকেটের টাকায় সাধ্যমতো দুই বেলা খাওয়াচ্ছি। রাষ্ট্র এবং সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে আরো বেশি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়া যেতো। আরো বেশি মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যেতো। তিনি তার এই উদ্যোগে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আবেদন করেছেন। আব্দুল মান্নান আকন্দ এই মহতী কাজে দেশ এবং দেশের বাইরের হৃদয়বানদের শরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।