বাংলারজমিন
মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা মা-শিশু নিহত
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে
২০২০-০১-১৪
চাঁদপুরের মেঘনায় ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশু সন্তান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয় লঞ্চের কমপক্ষে ১০ যাত্রী। তাদের মধ্যে অনেকে পঙ্গু হওয়ার আশংকা রয়েছে। রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে চাঁদপুর জেলার মিয়ারচর নামক স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে নৌযানের কর্মচারী ও যাত্রীরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চ দুটি হচ্ছে কীর্তণখোলা-১০ ও ফারহান-৯। চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত যাত্রীরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নের ভান্ডারকাঠী গ্রামের রুবেল খানের স্ত্রী মাহমুদা (২৪) ও তার পুত্র মুমিন (৭)। তারা কীর্তণখোলা ১০ লঞ্চের ডেকযাত্রী ছিলেন। মাহমুদা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। এমভি কীর্তনখোলা-১০ এর মাস্টার নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি যাত্রী নিয়ে রোববার রাত ৯টার দিকে বরিশাল নৌবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। গভীর রাতে ঘন কুয়াশায় পড়লে লঞ্চটি মিয়ারচর নামক এলাকায় নোঙ্গর করে রাখেন। এসময় ঢাকা থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটগামী ফারহান-৯ লঞ্চটি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের নীচতলা ও দোতলার অংশ দুমড়ে মুচড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর নৌ পুলিশের পরিদর্শক আবু তাহের জানান, দুর্ঘটনার পর যাত্রীরা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে চাঁদপুর নৌপুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। কীর্তনখোলা- ১০ লঞ্চটি যাত্রীসহ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এমভি ফারহান-৯ এর কেরানী আল আমিন জানান, কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তার লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী।
এমভি ফারহান-৯ এর কেরানী আল আমিন জানান, কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে তার লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী।