বাংলারজমিন
পাকুন্দিয়ায় গৃহবধূ নিহতের ঘটনায় স্বামী-শ্বশুর গ্রেপ্তার
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৮:১১ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নূরুন্নাহার (২৬) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মো. রুবেল মিয়া ও শ্বশুর মো. খুরশিদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সকালে তাদের গ্রেপ্তার করে পাকুন্দিয়া থানা পুলিশ। এর আগে রোববার রাতে নিহত গৃহবধূ নূরুন্নাহারের বাবা মো. হাছু মিয়া বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, গৃহবধূর স্বামী মো. বাবুল মিয়া (৩৫), শশুড় মো. খুরশিদ আলম (৫৭) ও ননদ শাহানাজ বেগম (২২)। গ্রেপ্তারকৃত দু’জনকে গতকাল দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গত রোববার সকালে উপজেলার আদিত্যপাশা গ্রামে মো. রুবেল মিয়ার স্ত্রী নূরুন্নাহারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, মাস দেড়েক আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বড়বাগ এলাকার হাছু মিয়ার মেয়ে নূরুন্নাহারকে বিয়ে করে পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের আদিত্যপাশা গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে বাবুল মিয়া। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ চলছিল। এনিয়ে বিভিন্ন সময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন নূরুন্নাহারকে নির্যাতন করে। যা মুঠোফোনে বাবার বাড়ির লোকজনকে জানায় ওই গৃহবধূ। ঘটনার আগের দিন গত শনিবার রাতেও নূরুন্নাহার
মুঠোফোনে তার বাবার সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলে। পরের দিন রোববার সকালে নূরুন্নাহারের বাবার বাড়ির লোকজন জানতে পারেন নূরুন্নাহার মারা গেছেন। নূরুন্নাহারকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশকে জানায় নূরুন্নাহারের পরিবার। ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পুলিশের কাছে লিখিত আবেদনও করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি রেজিয়া খাতুন জানান, শনিবার রাতে সবাই এক সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর নিজ ঘরে ঘুমাতে যায় ছেলে বাবুল মিয়া ও পুত্রবধূ নূরুন্নাহার। ভোরে বাবুল মিয়া মাছ ধরতে বিলে যায়। পরে সকাল ৭টার দিকে ঘরে এসে দেখে নূরুন্নাহার মারা গেছেন। এসময় বাবুলের চিৎকার শুনে আমরা গিয়ে দেখি নূরুন্নাহার মারা গেছেন। ঘুমের মধ্যেই নূরুন্নাহারের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
মুঠোফোনে তার বাবার সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলে। পরের দিন রোববার সকালে নূরুন্নাহারের বাবার বাড়ির লোকজন জানতে পারেন নূরুন্নাহার মারা গেছেন। নূরুন্নাহারকে শ্বাসরোধ করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশকে জানায় নূরুন্নাহারের পরিবার। ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পুলিশের কাছে লিখিত আবেদনও করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি রেজিয়া খাতুন জানান, শনিবার রাতে সবাই এক সঙ্গে কথাবার্তা বলার পর নিজ ঘরে ঘুমাতে যায় ছেলে বাবুল মিয়া ও পুত্রবধূ নূরুন্নাহার। ভোরে বাবুল মিয়া মাছ ধরতে বিলে যায়। পরে সকাল ৭টার দিকে ঘরে এসে দেখে নূরুন্নাহার মারা গেছেন। এসময় বাবুলের চিৎকার শুনে আমরা গিয়ে দেখি নূরুন্নাহার মারা গেছেন। ঘুমের মধ্যেই নূরুন্নাহারের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।