এক্সক্লুসিভ

‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ আছে’

সংসদ রিপোর্টার

১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। এদের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তবে শিক্ষার গুণগতমান বজায় রাখার স্বার্থে তথা সার্টিফিকেট বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য কমিশন থেকে নিয়মিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ মনিটরিং করা হচ্ছে। গতকাল সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় আদালতের রায় অনুযায়ী সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী দাবী করেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি প্রোগ্রামের জন্য মোট ক্রেডিট আওয়ারস ও সেমিস্টার পূর্ব থেকে নির্ধারণ করার মাধ্যমে প্রতিটি প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বাণিজ্য বহুলাংশে বন্ধ হয়েছে। কমিশন কর্তৃপক্ষসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ আকস্মিকভাবে পরিদর্শন করা হচ্ছে। ডা. দীপু মনি জানান, কতিপয় অসাধু চক্রের যোগসাজোসে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে এবং অননুমোদিত ক্যাম্পাসসমূহ বন্ধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। দূরশিক্ষণে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধ করা হয়েছে। প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ গুণগতমান নিশ্চিতকরণ সেল/ইউনিট গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জ্ঞাতার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সময় সময় জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড রাখা হচ্ছে। সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপর প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বর্তমানে ছাত্র/ছাত্রীর অনুপাত ১ ঃ ১ দশমিক ১৮। গ্রামকে শহরের ন্যায় গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কলেজ জাতীয়করণ করেছে। এতে গ্রামের শিক্ষার্থীরাও শহরের মতো পড়াশোনার সুযোগ সুবিধা পাবে। তিনি জানান, নারী প্রগতির ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে ধর্ষণ, নিগ্রহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে চলার পথে নিরাপত্তাহীনতা, সাইবার ক্রাইম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নামধারীদের হাতে ছাত্রী নিগ্রহ এসবের যথাযথ প্রতিকার ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। সরকারি দলের সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উত্তরণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সমগ্র বাংলাদেশের এমপিওভূক্ত প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারির বেতন-ভাতা প্রক্রিয়াকরণ অনলাইনে করা হয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status