এক্সক্লুসিভ
সরজমিন ঢাকা দক্ষিণ ১০ নং ওয়ার্ড
কলোনিপাড়ায় ভোটের হাওয়া
আলতাফ হোসাইন
১৪ জানুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার, ৭:৫৮ পূর্বাহ্ন
মতিঝিল কলোনি, এইচ টাইপ কোয়ার্টার, পোস্টাল কলোনি, টিঅ্যান্ডটি কলোনি, বাংলাদেশ ব্যাংক কলোনি নিয়ে গঠিত দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নং ওয়ার্ড। জনসংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৬৪৪ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ৭৪৪ জন। এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৫ জন প্রার্থী। দলীয় সমর্থন নিয়ে মাঠে আছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ ওরফে মনসুর। আর স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি উত্তম কুমার গুপ্ত ও মতিঝিল থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। এছাড়া মাঠে আছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী জুবের আলম খান।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ ওরফে মনসুর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, মাদক ব্যবসায় ইন্ধন, জুয়ার আসরে মদতদানসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। শুদ্ধি অভিযানের সময় দীর্ঘদিন আড়ালে থাকলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবার প্রকাশ্যে আসেন। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে নেমেছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ভোটারদের মাঝে।
সরজমিন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মতিঝিল কলোনির ভেতর এখনো চলে মাদক কেনাবেচা ও জুয়ার আসর। রাতভর চলে বখাটেদের আড্ডা। অথচ এক মাসে আগেই মাদক কেনাবেচা ও জুয়া খেলার অভিযোগে কলোনির ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি খুপরি ঘর ভেঙ্গে দেয়া হয়। এখনো সেখানে চলছে এসব অপকর্ম। কাউন্সিলর প্রার্থী মারুফ আহমেদ মনসুর বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, আমি একজন স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মী। চলি পরিচ্ছন্ন মানুষদের সঙ্গে। আমি নিজেও পরিচ্ছন্ন। ক্যাসিনো মাদক এসবতো প্রশ্নই উঠে না। কোনোদিনও ওইসব ক্লাবে আমি ঢুকিই নাই। এধরনের অভিযোগ যারা দিয়েছেন তারা অসত্য বানোয়াট তথ্য দিয়েছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো বলা যাচ্ছে না যে নির্বাচন কেমন হবে। তবে আমি আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের সেই আস্থা আছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্যই ইভিএম দেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই ওয়ার্ডে মারুফ আহমেদ মনসুরের প্রধান প্রতিন্দ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ। তিনি মতিঝিল থানা বিএনপির সভাপতিও। দল ক্ষমতায় না থাকায় দীর্ঘদিন জনগণের মাঝে পৌঁছতে পারেননি। যে কোন সময় পুলিশি হয়রানিসহ নানান প্রতিবন্ধকতার সামনে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার মানুষ তাকেই বেঁছে নেবেন বলেও আশাবাদি তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য শুধু একটি ভালো পরিবেশ দরকার। এলাকার মানুষ আমাকে চান। নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে আমি বিজয় লাভ করবো। ইভিএমের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ইভিএমে যে কারচুপি হবে না তার কি নিশ্চয়তা? ইভিএমে ভোট চুরি করা আরও সহজ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা শাকের হোসেন বলেন, আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিক। যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে চাই। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে যদি যেতেই না পারি তবে কিভাবে যোগ্য কাউন্সিলর পাবো। এলাকার উন্নয়ন, শান্তি, শৃঙ্খলা ধরে রাখতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। অন্তত আমরা যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটটা দিতে পারি সেই পরিবেশটা করুন। মানুষ যেন নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ ওরফে মনসুর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, মাদক ব্যবসায় ইন্ধন, জুয়ার আসরে মদতদানসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। শুদ্ধি অভিযানের সময় দীর্ঘদিন আড়ালে থাকলেও পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আবার প্রকাশ্যে আসেন। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে নেমেছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ভোটারদের মাঝে।
সরজমিন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মতিঝিল কলোনির ভেতর এখনো চলে মাদক কেনাবেচা ও জুয়ার আসর। রাতভর চলে বখাটেদের আড্ডা। অথচ এক মাসে আগেই মাদক কেনাবেচা ও জুয়া খেলার অভিযোগে কলোনির ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি খুপরি ঘর ভেঙ্গে দেয়া হয়। এখনো সেখানে চলছে এসব অপকর্ম। কাউন্সিলর প্রার্থী মারুফ আহমেদ মনসুর বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, আমি একজন স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মী। চলি পরিচ্ছন্ন মানুষদের সঙ্গে। আমি নিজেও পরিচ্ছন্ন। ক্যাসিনো মাদক এসবতো প্রশ্নই উঠে না। কোনোদিনও ওইসব ক্লাবে আমি ঢুকিই নাই। এধরনের অভিযোগ যারা দিয়েছেন তারা অসত্য বানোয়াট তথ্য দিয়েছে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো বলা যাচ্ছে না যে নির্বাচন কেমন হবে। তবে আমি আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের সেই আস্থা আছে। নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্যই ইভিএম দেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এই ওয়ার্ডে মারুফ আহমেদ মনসুরের প্রধান প্রতিন্দ্বন্দ্বি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদ। তিনি মতিঝিল থানা বিএনপির সভাপতিও। দল ক্ষমতায় না থাকায় দীর্ঘদিন জনগণের মাঝে পৌঁছতে পারেননি। যে কোন সময় পুলিশি হয়রানিসহ নানান প্রতিবন্ধকতার সামনে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাউন্সিলর হিসেবে এলাকার মানুষ তাকেই বেঁছে নেবেন বলেও আশাবাদি তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য শুধু একটি ভালো পরিবেশ দরকার। এলাকার মানুষ আমাকে চান। নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে আমি বিজয় লাভ করবো। ইভিএমের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, ইভিএমে যে কারচুপি হবে না তার কি নিশ্চয়তা? ইভিএমে ভোট চুরি করা আরও সহজ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা শাকের হোসেন বলেন, আমরা চাই নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিক। যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে চাই। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে যদি যেতেই না পারি তবে কিভাবে যোগ্য কাউন্সিলর পাবো। এলাকার উন্নয়ন, শান্তি, শৃঙ্খলা ধরে রাখতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। অন্তত আমরা যেন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটটা দিতে পারি সেই পরিবেশটা করুন। মানুষ যেন নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।