ঢাকা সিটি নির্বাচন- ২০২০
স র জ মি ন, ঢাকা উত্তর ৩ নং ওয়ার্ড
এখনো ভাবছেন ভোটাররা
মারুফ কিবরিয়া
১৩ জানুয়ারি ২০২০, সোমবার, ৭:২৫ পূর্বাহ্ন
‘ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ। গত বছর ঠিক করছিলাম আর ভোট কেন্দ্রে যাবো না। এখনো সিদ্ধান্ত আগেরটাই আছে। সিটি ইলেকশনে ভোট দিবো কিনা জানি না।’- ভোট দেয়া নিয়ে এমন কথাই বলছিলেন মিরপুর-১১’র বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ৩০শে জানুয়ারি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই সিটিতেই শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। তবে সিটি ভোটে উৎসাহ হারিয়েছেন ভোটাররা। মিরপুরের আরিফুল ইসলাম ছাড়াও এমন অনেকে ভাবেননি ভোট দেবেন কি-না। শুধু তাই নয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড বাসিন্দাদের কেউ কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না বলেও ঠিক করেছেন। গতকাল ওয়ার্ডটির বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে ভোট নিয়ে মানুষের এসব ভাবনার কথা জানা যায়। মিরপুর ১১’র অ্যাভিনিউ-৫ এর ব্যবসায়ী সৈয়দ হাসানুল বলেন, ভোট দেয়ার চিন্তা তো বাদ দিছি। এখন নাকি সিটি করপোরেশনের ভোট। ভোট দিতে পারি না। তাই ভোট দিবো না। আমরা সাধারণ মানুষ। এগুলা নিয়া কথা বলে বিপদে পড়বো। তাই কথা বলাও বাদ দিছি। শহীদ হোসেন নামের এক চাকরিজীবী বলেন, ভোটের সময় আসলে খুশি হয়ে যেতাম আগে। মহল্লার বন্ধুবান্ধবরা একসাথে কাজও করতাম প্রার্থীদের জন্য। এখন তো ভোট হয় না। আমাদের ভোটের দরকার কি। তাই এখনো ঠিক করি নাই ভোট দিবো কিনা। একই এলাকার তালতলা মোড়ের বাসিন্দা নওশাদ জানান, মেয়র ইলেকশন তো আগেও হইছে। তারপরে জাতীয় নির্বাচনে আমি ভোট দিতে পারি নাই। ওই কষ্টে এখন আর ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কথা বাদ দিয়ে দিলাম। তারা মেয়র-কাউন্সিলর হইবো। আমগো ভোট না দিলেও হইবো। মিরপুর ১০-এর ব্লক এ বি সি তিনটি ব্লকই ডিএনসিসির ৩ নং ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত। এই কয়েকটি এলাকায়ও ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ দেখা যায়নি। ইশরাত জাহান নামের এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, আমরা ভোট দিয়ে কি করবো। ভোট যাদের দেয়ার দরকার তারাই দিয়ে দেয়। এসব ওপেন সিক্রেট। নির্বাচন কমিশনও জানে। ভোট নিয়ে সেদিন ভাববো যেদিন দেখবো দেশে নিরপেক্ষ ভোট হয়। ব্লক সি’র বাসিন্দা হাসান উল্লাহ বলেন, আমার খুব ইচ্ছা হয় ভোট দিতে। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিরাপত্তার কারণে ভোট দিতে পারি না। তাই আর যাওয়া হয় না। ভোট কেন্দ্রে মারামারি হয়। অনেকে কেন্দ্রে ঢুকতে পারে না। সিটি ইলেকশনে ভোট দিতে যাবো কি না জানি না। আগে অবস্থা দেখি। তারপর যা হওয়ার হবে। মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বরের কয়েকটি এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা উত্তর সিটির ৩নং ওয়ার্ড। পুরো ওয়ার্ডে ত্রিশ হাজারেরও বেশি বিহারীদের বসবাস। গত নির্বাচনের পর থেকে ওয়ার্ডটির একাধিক রাস্তাঘাটের কাজ হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। তবে মশা নিয়ন্ত্রণ হয়নি বলেও অভিযোগ অনেকের। মশক নিধনে সিটি করপোরেশন থেকে তেমন কোনো কার্যক্রম পরিচালনা না করার দাবি জানিয়েছেন কয়েকজন বাসিন্দা। এবারের সিটি নির্বাচনে ওয়ার্ডটি থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন জিন্নাত আলী মাতবর। তিনি পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে মনোনীত প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন হাজী আবু তৈয়ব।