শেষের পাতা
সিলেটে ফের গ্রেপ্তার দু’জন
বোরকা পরে চুরি করে বেড়ায় সীমা ও শামীমা
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের সীমা ও শামীমা। বসবাস সিলেটে। চুরি তাদের পেশা। বোরকা লাগিয়ে নগরীতে ঘুরে বেড়ায়। মার্কেটে মার্কেটে দেয় ঢুঁ। আর সুযোগ পেলেই ছিনিয়ে নেয় মোবাইল কিংবা ভ্যানিটি ব্যাগ। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেও ঘুরে বেড়ায় তারা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বার সিলেট পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তারা। জামিনে বেরিয়ে এসে আবার চুরির ধান্ধা। কয়েক দিন আগে সিলেটের জালালাবাদ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলো। বেরিয়ে এসে গতকাল ঘটিয়েছে আরেক ঘটনা। গ্রেপ্তার হতে হয়েছে তাদের। রাত পর্যন্ত কোতোয়ালি থানা হাজতে ছিলো তারা। পুলিশ জানিয়েছে- তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। সীমা বেগম পপি। বয়স বেশি নয় ২৫ কিংবা ২৬ বছর। তার সহযোগি শামীমা বেগম নীপা। তার বয়স ৩৫ বছর। দুই জনেরই বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বামুরা গ্রামে। দু’জনই বিবাহিত। কিন্তু এখন স্বামীর ঘরে নেই। তারা বসবাস করে সিলেট নগরীর উশহরের কলোনি এলাকায়। দেড় বছর আগে তারা বসবাস করতো নগরীর সাদারপাড়া এলাকায়।
একটি কলোনি ভাড়া নিয়ে তারা দুজন বসবাস করতো। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- নানা অপকর্মে জড়িত সীমা ও শামীমা। রাত হলেই তাদের বাসায় আসা যাওয়া করতো পরপুরুষ। অসামাজিক কাজের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ও জড়িত তারা। সকাল হলেই বোরকা পরে তারা চলে যেতো। ফিরতো বিকেলে। রাত হলেই আসতো পুরুষরা। তারা দুই জন নিজেদের বিবাহিত দাবি করলেও তাদের স্বামীরা সঙ্গে থাকে না। এ কারণে দু’জনের গতিবিধি নিয়ে এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়া হয় ওই এলাকা থেকে। এরপর তারা উপশহরের আরো একটি এলাকায় ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছে। নয়াসড়ক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন- গতকাল দুপুরে পর নয়াসড়ক পয়েন্টে সিএনজি অটোরিকশাতে বসা সীমা ও শামীমাকে আটকায় বটেশ্বরের বাসিন্দা মিসবাউর রহমান। মিসবাহ দাবি করেন- ওই দুই মহিলা নগরীর বারুতখানার ফেবুলাস থেকে তার মোবাইল চুরি করেছে। এ সময় সীমা ও শামীমা মোবাইলের মালিক মিসবাহের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। নিজেদের ভদ্রঘরের মহিলা বলে পরিচয় দেন। এ নিয়ে বাদানুবাদ দেখা দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। তারা সিএনজি অটোরিকশাতে বসা সীমা ও শামীমাকে আটকান। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সিলেটের কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর বিষ্ণুপদ। তিনি গিয়ে শামীমাকে সঙ্গে করে আসেন বারুতখানা এলাকায়। সেখানে রাস্তা থেকে তিনি চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।
এরপর সীমা ও শামীমাকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় যান তিনি। এ সময় মিসবাউর রহমান জানান- তিনি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন। এদিকে- সন্ধ্যায় এসআই বিষ্ণুপদ মানবজমিনকে জানান, আটক হওয়া সীমা ও শামীমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হবে। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে- সীমা ও শামীমা নয়াসড়ক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে গত ৩রা ডিসেম্বর নগরীর রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলো। জালালাবাদ থানা পুলিশের একটি দল ওই হাসপাতাল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। হাসপাতালে রোগির স্বজন সেজে গিয়েছিলো সীমা ও শামীমা। সেখানে এক রোগীর স্বজনের মোবাইল চুরি করতে গিয়ে তারা জনতার হাতে আটক হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে।
আর এসেই নতুন করে চুরির ধান্ধায় মেতে উঠেছে। সিলেট নগরীর শুকরিয়া, হাসানমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে সীমা ও শামীমা পরিচিত মুখ। গত রমজানের ঈদে তাদের দুই জনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ নারী ছিনতাইদল নেমেছিলো ঈদ মার্কেটে। চুরি করতে গিয়ে তারা নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় ধরা পড়ে। ওই সময় আরো কয়েকজন মহিলাও ধরা পড়ে। পুলিশ জানায়- সীমা বেগম পপি পুলিশের হাতে গতকাল গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রথম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। পরে অবশ্য পুলিশের জেরার মুখে শামীমা মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে। এবং সঙ্গে গিয়ে মোবাইল বের করে দেয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে অপকর্মের কথা। তারা শুধু চোর কিংবা ছিনতাইকারী নয়। তারা অসামাজিক কাজ, মাদক বিকিকিনি সহ নানা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। নগরীর দক্ষিন সুরমায় রয়েছে মহিলা চোর দলের আরেকটি সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের সঙ্গে রয়েছে তাদের সম্পৃক্ততা।
একটি কলোনি ভাড়া নিয়ে তারা দুজন বসবাস করতো। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- নানা অপকর্মে জড়িত সীমা ও শামীমা। রাত হলেই তাদের বাসায় আসা যাওয়া করতো পরপুরুষ। অসামাজিক কাজের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ও জড়িত তারা। সকাল হলেই বোরকা পরে তারা চলে যেতো। ফিরতো বিকেলে। রাত হলেই আসতো পুরুষরা। তারা দুই জন নিজেদের বিবাহিত দাবি করলেও তাদের স্বামীরা সঙ্গে থাকে না। এ কারণে দু’জনের গতিবিধি নিয়ে এলাকার মানুষের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়া হয় ওই এলাকা থেকে। এরপর তারা উপশহরের আরো একটি এলাকায় ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছে। নয়াসড়ক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন- গতকাল দুপুরে পর নয়াসড়ক পয়েন্টে সিএনজি অটোরিকশাতে বসা সীমা ও শামীমাকে আটকায় বটেশ্বরের বাসিন্দা মিসবাউর রহমান। মিসবাহ দাবি করেন- ওই দুই মহিলা নগরীর বারুতখানার ফেবুলাস থেকে তার মোবাইল চুরি করেছে। এ সময় সীমা ও শামীমা মোবাইলের মালিক মিসবাহের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। নিজেদের ভদ্রঘরের মহিলা বলে পরিচয় দেন। এ নিয়ে বাদানুবাদ দেখা দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। তারা সিএনজি অটোরিকশাতে বসা সীমা ও শামীমাকে আটকান। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান সিলেটের কোতোয়ালি থানার সাব ইন্সপেক্টর বিষ্ণুপদ। তিনি গিয়ে শামীমাকে সঙ্গে করে আসেন বারুতখানা এলাকায়। সেখানে রাস্তা থেকে তিনি চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন।
এরপর সীমা ও শামীমাকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় যান তিনি। এ সময় মিসবাউর রহমান জানান- তিনি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করবেন। এদিকে- সন্ধ্যায় এসআই বিষ্ণুপদ মানবজমিনকে জানান, আটক হওয়া সীমা ও শামীমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হবে। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে- সীমা ও শামীমা নয়াসড়ক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে গত ৩রা ডিসেম্বর নগরীর রাগিব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলো। জালালাবাদ থানা পুলিশের একটি দল ওই হাসপাতাল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। হাসপাতালে রোগির স্বজন সেজে গিয়েছিলো সীমা ও শামীমা। সেখানে এক রোগীর স্বজনের মোবাইল চুরি করতে গিয়ে তারা জনতার হাতে আটক হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে।
আর এসেই নতুন করে চুরির ধান্ধায় মেতে উঠেছে। সিলেট নগরীর শুকরিয়া, হাসানমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে সীমা ও শামীমা পরিচিত মুখ। গত রমজানের ঈদে তাদের দুই জনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ নারী ছিনতাইদল নেমেছিলো ঈদ মার্কেটে। চুরি করতে গিয়ে তারা নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় ধরা পড়ে। ওই সময় আরো কয়েকজন মহিলাও ধরা পড়ে। পুলিশ জানায়- সীমা বেগম পপি পুলিশের হাতে গতকাল গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রথম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। পরে অবশ্য পুলিশের জেরার মুখে শামীমা মোবাইল চুরির কথা স্বীকার করে। এবং সঙ্গে গিয়ে মোবাইল বের করে দেয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে অপকর্মের কথা। তারা শুধু চোর কিংবা ছিনতাইকারী নয়। তারা অসামাজিক কাজ, মাদক বিকিকিনি সহ নানা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। নগরীর দক্ষিন সুরমায় রয়েছে মহিলা চোর দলের আরেকটি সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের সঙ্গে রয়েছে তাদের সম্পৃক্ততা।