অনলাইন
রোহিঙ্গা নির্যাতনের ন্যায়বিচার চায় অক্সফ্যাম
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১২ ডিসেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে ১৯টি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থার জোট অক্সফ্যাম। একই সঙ্গে তারা রাখাইন রাজ্যে অনতিবিলম্বে চলমান সহিংসতা বন্ধে সকল ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছে।
জেনোসাইড কনভেনশন ১৯৪৮ (গণহত্যা কনভেনশন) ভঙ্গ করায় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গাম্বিয়ার তোলা অভিযোগের বিপক্ষে মিয়ানমার সরকারের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় অক্সফ্যামের তরফে এ দাবি জানানো হয়। বুধবার প্রচারিত এক বার্তায় অক্সফ্যামের হিউম্যানিটারিয়ান ক্যাম্পেইন প্রধান ফিয়োনা স্মিথ বলেন, রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত সকল নৃ-জাতিগোষ্ঠী/সম্প্রদায়গুলো তাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর চালানো সহিংসতার বর্ননা দিয়েছে। এদের মধ্যে পরিস্থিতি বিবেচনায় মিয়ানমারে সবচেয়ে শোচনীয় এবং দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী - যাদেরকে বিভিন্ন কাঁটাতারে ঘেরা অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। এসব ক্যাম্পের চারপাশে রয়েছে প্রচুর সেনা চৌকি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওই ক্যাম্পগুলোতে বসবাসরত রোহিঙ্গারা তাদের অসুস্থ্য সন্তানদের হাসপাতালে বা স্কুলে নিয়ে যেতে পারছে না। এমনকি তারা জীবিকার জন্য মাছ ধরা ও তা বাজারে বিক্রি করার সুযোগও পায়না। তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে অনতিবিলম্বে চলমান সহিংসতা বন্ধে সকল ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে জোর দাবী করছি।অক্সফ্যামের তরফে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বার্তায় বলা হয়, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগণ যাতে আন্তর্জাতিক আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে, সে বিষয়ে ক্যাম্পগুলোতে ইন্টারনেট সেবার উপরে বিধিনিষেধ শিথিল করায় বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছে অক্সফ্যাম। পাশাপাশি এই সংযোগ অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয় - যাতে ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা তাদের জীবন ও ভবিষ্যত নিয়ে বিশ্বব্যাপী যেসব কার্যক্রম সংঘটিত হচ্ছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে পারে।
জেনোসাইড কনভেনশন ১৯৪৮ (গণহত্যা কনভেনশন) ভঙ্গ করায় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে গাম্বিয়ার তোলা অভিযোগের বিপক্ষে মিয়ানমার সরকারের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় অক্সফ্যামের তরফে এ দাবি জানানো হয়। বুধবার প্রচারিত এক বার্তায় অক্সফ্যামের হিউম্যানিটারিয়ান ক্যাম্পেইন প্রধান ফিয়োনা স্মিথ বলেন, রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত সকল নৃ-জাতিগোষ্ঠী/সম্প্রদায়গুলো তাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর চালানো সহিংসতার বর্ননা দিয়েছে। এদের মধ্যে পরিস্থিতি বিবেচনায় মিয়ানমারে সবচেয়ে শোচনীয় এবং দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী - যাদেরকে বিভিন্ন কাঁটাতারে ঘেরা অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। এসব ক্যাম্পের চারপাশে রয়েছে প্রচুর সেনা চৌকি। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওই ক্যাম্পগুলোতে বসবাসরত রোহিঙ্গারা তাদের অসুস্থ্য সন্তানদের হাসপাতালে বা স্কুলে নিয়ে যেতে পারছে না। এমনকি তারা জীবিকার জন্য মাছ ধরা ও তা বাজারে বিক্রি করার সুযোগও পায়না। তিনি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে অনতিবিলম্বে চলমান সহিংসতা বন্ধে সকল ধরনের কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে জোর দাবী করছি।অক্সফ্যামের তরফে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বার্তায় বলা হয়, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগণ যাতে আন্তর্জাতিক আদালতের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে, সে বিষয়ে ক্যাম্পগুলোতে ইন্টারনেট সেবার উপরে বিধিনিষেধ শিথিল করায় বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছে অক্সফ্যাম। পাশাপাশি এই সংযোগ অব্যাহত রাখার ব্যাপারেও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয় - যাতে ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা তাদের জীবন ও ভবিষ্যত নিয়ে বিশ্বব্যাপী যেসব কার্যক্রম সংঘটিত হচ্ছে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে পারে।