অনলাইন
রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানীর সূচনায়
২ অ্যাডহক বিচারকের শপথ
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৪:৩২ পূর্বাহ্ন
নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের ওপর চলা বর্মী গণহত্যার বিচারের শুনানির শুরুতে আদালতে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের তরফে দু’জন অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ পেয়েছেন। ১৫ সদস্যের বিচারিত প্যানেলে তাদের অন্তভূক্তিতে বিচারক সংখ্যা ১৭ তে দাঁড়ালো। রীতি অনুযায়ী বিচারক প্যানেলের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুলকায়ি আহমেদ ইউসুফ তাদের শপথ পড়ান। এ সময় তাদের মনে করিয়ে দেয়া হয়, তারা যেনো নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। বিচারক নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতের রেজিস্ট্রার অন্তবর্তীকালীন আদেশ চেয়ে গাম্বিয়া কী কী দাবি জানিয়েছে সেটি পড়ে শোনান। তিনি বলেন, যে বিষয়গুলোর জন্য গাম্বিয়া অন্তবর্তীকালীন আদেশ চেয়েছে তা হলÑ গণহত্যা বন্ধের জন্য মিয়ানমার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে; মিলিটারি, প্যারামিলিটারি ও বেসামরিক অস্ত্রধারী ব্যক্তি যেন কোনও ধরনের গণহত্যা সংঘটন না করে তার ব্যবস্থা গ্রহণ; মিয়ানমার গণহত্য সংক্রান্ত কোনও ধরনের প্রমাণ নষ্ট করবে না; বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও খারাপ করে এমন কোনও কাজ মিয়ানমার করবে না। এরপর গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল আবুবকর মারি তামবাদুকে তার বক্তব্য উপস্থাপনের অনুরোধ করেন প্রেসিডেন্ট। তামবাদু তার বক্তব্যের সূচনাতে বাদি পক্ষের আইনজীবি প্যানেলের সবাইকে আদালতে পরিচয় করিয়ে দেন এবং ক্রম অনুসারে তারা তাদের প্রয়োজনীয় বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করবেন বলে অবহিত করেন। ওয়াল্ড কোর্ট খ্যাত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-এ ৩ দিনের ওই শুনানীর প্রথম দিনে আজ কেবলই গাম্বিয়ার আইনজীবিরা বক্তব্য দিবেন। কাল দিবে মিয়ানমার। পরদিন হবে যুক্তিতর্ক। এরপর আদালত একটি অন্তবর্তী রায় দেবেন, যা চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। বাদি বিবাদি তো বটেই, কোর্টের ওই আদেশ মানতে বিশ্ব বাধ্য বলে জানিয়েছেন আদালতের রেজিস্ট্রার।