খেলা
ম্যাচ পাতানোর জন্য ঘুষ দিতেন নাসির জামশেদ
স্পোর্টস ডেস্ক
১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ২:১৯ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের ওপেনিং ব্যাটসম্যান নাসির জামশেদ ম্যাচ পাতানোর জন্য সতীর্থদের ঘুষ দেয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এই ক্রিকেটার শুধু ঘুষ দেয়া নয় বরং নিজেও জড়িয়েছেন ম্যাচ পাতানোর মতো গর্হিত কাজে। এর জন্য ২০১৮ সালের আগস্টে জামশেদকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। গত সপ্তাহে লন্ডনের ম্যানচেস্টারের ক্রাউন কোর্টে এক শুনানি শেষে নাসির জামশেদসহ আরো দুজন যুক্তরাজ্যের নাগরিকের ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা জানা যায়। তারা হলেন ইউসুফ আনোয়ার (৩৬) ও মোহাম্মদ ইজাজ (৩৪)। এর আগে জামশেদ নিজের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এর জন্য শুনানির ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। এদিন নিজের সব দায় স্বীকার করেন জামশেদ। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাদের শাস্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ট্রায়াল কোর্টের প্রসিকিউশন কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু থমাস বলেন, ‘জাতীয় অপরাধ তদন্ত এজেন্সির একজন পুলিশ সদস্য ছদ্মবেশ নিয়ে এসব তথ্য উদ্ধার করেন। তিনি দুর্নীতিবাজ ফিক্সিং সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে অনুপ্রবেশ করেন। তারপর সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্কে থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন।’
যেখানে জানা যায়, ইউসুফ আনোয়ার হচ্ছেন এর মূল হোতা। জামশেদ ছাড়াও আরো ছয়জন ক্রিকেটার তার হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) কাজ করেছেন। তিনি এই পেশায় গত ১০ বছর ধরে কাজ করছেন। পাকিস্তান সুপার লীগকে (পিএসএল) টার্গেট করে বার্মিংহামের এক রেস্তোরায় তারা পরিকল্পনা করেন। ২০১৬ মৌসুমের বিপিএলের জন্য কাজ করার কথা ছিল নাসির জামশেদের। তার সহায়তাকারী ছিলেন আরেক পাকিস্তানি ওপেনার শারজিল খান। তারা ঐ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছিলেন। এক ম্যাচে শারজিল ব্যাটের বাহারি রংয়ের গ্রিপ লাগিয়ে সিগনাল দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেটি করতে ভুলে যান। এরপরে আরেক ম্যাচে ফিক্সিং করার কথা থাকলেও সে ম্যাচে স্কোয়াডে সুযোগ পাননি শারজিল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ম্যাচ পাতানোতে যুক্ত হন তিনি। যেখানে জামশেদের কথা মতো প্রথম দুই বল ডট দিতে রাজি হন শারজিল। পরবর্তীতে ম্যাচ পাতানোর কারণে শারজিলকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেন পিসিবি। এছাড়াও ওই মৌসুমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও পেশোয়ার জালমির খেলোয়াড়দের ম্যাচ পাতানোর জন্য উৎকোচ দেন নাসির জামশেদ।
ট্রায়াল কোর্টের প্রসিকিউশন কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু থমাস বলেন, ‘জাতীয় অপরাধ তদন্ত এজেন্সির একজন পুলিশ সদস্য ছদ্মবেশ নিয়ে এসব তথ্য উদ্ধার করেন। তিনি দুর্নীতিবাজ ফিক্সিং সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে অনুপ্রবেশ করেন। তারপর সিন্ডিকেটের নেটওয়ার্কে থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন।’
যেখানে জানা যায়, ইউসুফ আনোয়ার হচ্ছেন এর মূল হোতা। জামশেদ ছাড়াও আরো ছয়জন ক্রিকেটার তার হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) কাজ করেছেন। তিনি এই পেশায় গত ১০ বছর ধরে কাজ করছেন। পাকিস্তান সুপার লীগকে (পিএসএল) টার্গেট করে বার্মিংহামের এক রেস্তোরায় তারা পরিকল্পনা করেন। ২০১৬ মৌসুমের বিপিএলের জন্য কাজ করার কথা ছিল নাসির জামশেদের। তার সহায়তাকারী ছিলেন আরেক পাকিস্তানি ওপেনার শারজিল খান। তারা ঐ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছিলেন। এক ম্যাচে শারজিল ব্যাটের বাহারি রংয়ের গ্রিপ লাগিয়ে সিগনাল দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি সেটি করতে ভুলে যান। এরপরে আরেক ম্যাচে ফিক্সিং করার কথা থাকলেও সে ম্যাচে স্কোয়াডে সুযোগ পাননি শারজিল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে ম্যাচ পাতানোতে যুক্ত হন তিনি। যেখানে জামশেদের কথা মতো প্রথম দুই বল ডট দিতে রাজি হন শারজিল। পরবর্তীতে ম্যাচ পাতানোর কারণে শারজিলকে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেন পিসিবি। এছাড়াও ওই মৌসুমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও পেশোয়ার জালমির খেলোয়াড়দের ম্যাচ পাতানোর জন্য উৎকোচ দেন নাসির জামশেদ।