বিশ্বজমিন

আজ লোকসভায় উঠছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

মানবজমিন ডেস্ক

৯ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, ১০:১৬ পূর্বাহ্ন

বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আজ লোকসভায় উত্থাপন করবেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বিলটি ভারত উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিলটি সংশোধন করা হচ্ছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে নির্যাতিত যেসব ধর্মীয় সংখ্যালঘু ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য। তবে এ তালিকা থেকে বাদ রাখা হয়েছে শুধু মুসলিমদের। ১৯৫৫ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব আইন অর্থাৎ ৬ দশকের পুরনো আইন সংশোধনের এই বিলটি আজ পার্লামেন্টে উত্থাপনের পর এর ওপর আলোচনা হবে। লোকসভার সোমবারের কার্যতালিকা অনুযায়ী তারও পরে এটি ভোটে দেয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এতে আরো বলা হয়েছে, এই বিলের বিরোধিতা করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তীব্র বিরোধিতা বা বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সেখানকার জনসংখ্যার বিরাট একটি অংশ এবং বিভিন্ন সংগঠন এই বিলের বিরোধিতা করেছে। তারা বলছে, এই বিল পাস হলে তা ১৯৮৫ সালে সম্পাদিত আসাম চুক্তির অনেক বিধিকে বাতিল করে দেবে। ওই চুক্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৪ শে মার্চের পরে যেসব মানুষ অবৈধভাবে ওই অঞ্চলে প্রবেশ করেছেন তারা ভারতের নাগরিক হবেন না। বিলের প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার ১১ ঘন্টার বন্্ধ আহ্বান করেছে প্রভাবশালী নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল, ২০১৯ অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের যেসব হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টান নির্যাতনের কারণে ২০১৪ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে গিয়েছেন তাদেরকে অবৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে না। তাদেরকে দেয়া হবে ভারতের নাগরিকত্ব। কিন্তু ভারতের উত্তর পূর্বের উপজাতিদের মধ্যে এমন একটি ধারণা জন্মেছে যে, তাদের অনেকে মনে করছেন এসব অবৈধ অভিবাসী স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করলে তাতে ওই অঞ্চলের জনসংখ্যাতত্ত্ব বিঘিœত হবে। তবে উপজাতিদের এই ধারণাকে প্রশমিত করতে সরকার এর আগেই কিছু প্রবিধি গ্রহণ করেছে। তার অধীনে ইনার লাইন পারমিট এলাকা ও সিক্সথ শিডিউল অব দ্য কনস্টিটিটিউশন শাসিত উপজাতি অঞ্চলের ভিতরে বসতি স্থাপন অনুমোদন দেয়া হবে না।

এই বিলের অধীনে ভারতে ৫ বছর  বসবাস করা ওই সব ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নাগরিকত্ব পাবেন। এ ছাড়া যেসব মানুষ অবৈধ অভিবাসী হিসেবে অভিহিত হয়েছেন এবং তারা এর জন্য যদি মামলার শিকারে পরিণত হয়ে থাকেন তাহলে তাদেরকে দায়মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছে এই বিলে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status