দেশ বিদেশ
অনৈতিক কাজের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মিরপুরে জোড়া খুন
স্টাফ রিপোর্টার
৬ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
অনৈতিক কাজের টাকা ভাগাভাগি ও হত্যার ভয়ে মিরপুরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন। গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আসামিদের স্বীকারোক্তির কথা জানান তিনি। আব্দুল বাতেন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি জানান, বাবুল নামে এক ব্যক্তি গত রোববার রাত ১০টায় তাদের মিরপুরের ওই দুই নারীর (রহিমা ও সুমি) কাছে পাঠায়। নিহত রহিমা ছিলেন, অনৈতিক কাজের তত্ত্বাবধায়ক। অনৈতিক কাজের জন্য রহিমার দাবি ছিল ছয় হাজার টাকা। কিন্তু ওই সময় দুই আসামির সঙ্গে ছিল সাড়ে তিন হাজার টাকা। গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামির একজন (ইউসুফ) সারা রাত নিহত সুমির সঙ্গে এক কক্ষে ছিল। রমজান ছিল বারান্দায়। পূর্ব নির্ধারিত টাকা না দিতে পারায় তাদের ওই বাসা থেকে বের হতে দেননি রহিমা। বাইরের দিক থেকে তালা দিয়ে রাখেন। এবং সকালে বিষয়টি বাবুলকে জানানোর হুমকি দেন ও তাদের মৃত্যুর ভয় দেখান রহিমা। মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সকালে প্রথমে সুমিকে গলাটিপে হত্যা করে আসামি ইউসুফ। পরে বারান্দা থেকে আরেকজনকে (রমজান) ডেকে এনে রহিমাকে ডাকলেও প্রথমে তিনি দরজা খোলেননি। এর কিছুক্ষণ পর ফোন করে বলার পর দরজা খুলে পাশের রুমে আসলে দুইজন মিলে গলাটিপে রহিমাকেও হত্যা করে। এসময় দুই নারীকে খুন করে সেখান থেকে একটি মোবাইল, নগদ ১৪ হাজার টাকা এবং ইমিটেশনের তিনটি চেইন ও একটি দুল নিয়ে পালিয়ে যায় ইউসুফ ও রমজান। ‘রমজান ও ইউসুফ দুজনই মিরপুরে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। এর মধ্যে আগে থেকেই ওই বাসায় রমজানের যাতায়াত ছিল। অভিযান চালিয়ে আসামিদেরকে বুধবার রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অতিরিক্ত এই পুলিশ কমিশনার বলেন, আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এছাড়া বাবুল নামের ওই ব্যক্তির খোঁজও করা হচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিরপুর-২ এর ‘এ’ ব্লোকের ২ নম্বর রোডের একটি বাসার চারতলা থেকে বৃদ্ধা রহিমা বেগম (৭০) ও গৃহকর্মী সুমির (১৭) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার সকালে নিহত বৃদ্ধা রহিমা বেগমের মেয়ে রাশিদা বেগম বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।