প্রথম পাতা
দীপুর হাত ধরে এলো প্রথম স্বর্ণ
সামন হোসেন, কাঠমান্ডু (নেপাল) থেকে
৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
শিলং-গৌহাটিতে তৃতীয় দিনে এসে সোনার দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভারোত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্তের হাত ধরে এসেছিল সেই সোনালি সাফল্য। তবে কাঠমান্ডুতে স্বর্ণের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় রাখেননি অ্যাথলেটরা। কাঠমান্ডু সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) গতকাল দেশের হয়ে প্রথম পদক জেতেন হোমায়রা আক্তার। কারাতের ব্যক্তিগত কাতা ইভেন্টে হোমায়রার ব্রোঞ্জের পর আরো একটি ব্রোঞ্জ জেতেন হাসান খান সান। সোনা জয়ের অপেক্ষা ছিল। অপেক্ষার অবসান ঘটান দিপু চাকমা। তায়কোয়ান্দোতে দেশের হয়ে প্রথম স্বর্ণ পদকটি জেতেন তিনি। তায়কোয়ান্দোর ২৯ অথবা এর বেশি ওজনের প্রতিযোগীদের ইভেন্ট পুমসের মাধ্যমে এবার কাঠমান্ডুতে প্রথমবারের মতো বাজলো বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
২০১০ সালের এসএ গেমসে কারাতে ডিসিপ্লিনে স্বর্ণ জয়ী হাসান খান সান ও হোসেন খান মুনের খেলা ছিল কাল। এর বাইরে কারাতের অন্যান্য ইভেন্টেও প্রত্যাশা ছিল। তাইতো সকাল থেকেই সাদদোবাটোর কারাতে ট্রেনিং সেন্টারে ভিড় ছিল বাংলাদেশিদের। যে প্রত্যাশা নিয়ে সেখানে ভিড় করেছিল সংবাদকর্মীরা তার ছিটেফোঁটাও পূরণ করতে পারেনি হাসান খান সান। প্রত্যাশা পূরণ না হলেও সকাল সকাল এই কারাতেই থেকে তিনটি ব্রোঞ্জ জেতে বাংলাদেশ। যার একটি একটি সান, একটি হোমায়রা ও অপরটি আসে দলগত ইভেন্টে। সাদদোবাটোর কারাতে ট্রেনিং সেন্টার থেকে যখন সবাই হতাশ হয়ে ফিরছিল, তখনই স্বর্ণ জয়ের খবর আসে তায়কোয়ান্দো থেকে। ২৯ অথবা এর বেশি ওজনের প্রতিযোগীদের ইভেন্ট পুমসে শ্রীলঙ্কার লাক্সমানিল আন্দদারিসকে হারিয়ে সোনা জেতেন দিপু চাকমা।
এসএ গেমসে এবারই প্রথম অংশ নিয়েছেন দিপু। আর আবির্ভাবেই বাজিমাত। উচ্ছ্বসিত দিপু নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন এভাবে, ‘আমি এখনো ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতেই পারছি না কীভাবে কী হলো! আমার এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। দেশকে কিছু দিতে পেরেছি বলে খুব গর্ব হচ্ছে। আমি অনেক দিন ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম।’ ২০০১ সাল থেকে তায়কোয়ান্দোতে খেলছেন সেনাবাহিনীতে চাকরি করা দিপু। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসরে ৫টি সোনা ও ১টি রূপা জিতেছেন তিনি। সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েই তায়কোয়ান্দোকে ভালবাসতে শুরু করেন বাংলাদেশের এই সোনাজয়ী। বড় ভাইও তাকে অসম্ভব উৎসাহ দিয়ে থাকেন। কোরিয়ান কোচ মিন হাক সেও গত নভেম্বরে দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ দলের। তার আসার পর থেকেই বেশ উন্নতি হয়েছে দিপুর খেলায়। এবারের গেমসে সোনা জয়ের ব্যাপারেও ভীষণ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গেমসে সোনা জিতেছি। কিন্তু এবার এসএ গেমসে আসার আগে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
এসএ গেসমে তায়কোয়ান্দোতে বাংলাদেশ প্রথম স্বর্ণ পদকের দেখা পায় ২০০৬ সালে মিজানুর রহমানের হাত ধরে। এরপর ঢাকায় ২০১০ সালে এসেছে আরো দুটি স্বর্ণ পদক। ২০১৬ সালে ৩টি ব্রোঞ্জ এসেছিল এই ডিসিপ্লিন থেকে। আর এবার প্রথম পদকটিই থাকল সোনালি রঙের। স্বর্ণ জয়ের পর দিপু স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এবার আরও সাফল্য আসবে এই ডিসিপ্লিন থেকে। তিনি বলেন, ‘কেউ যখন ভালো রেজাল্ট করে, পরবর্তীতে যারা থাকে তাদের বিশ্বাসটা ওপরে থাকে।’ দিপু নিজের তায়কোয়ান্দোতে আসার গল্প বলেন এভাবে, ‘রাঙামাটিতে আমার শুরু। সেখানে মাহমুদুল ইসলাম রানা স্যার ১০ দিনের একটা কোর্সে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওখানেই তায়কোয়ান্দোর সঙ্গে পরিচয়। এরপর সেনাবাহিনীতে আসি। ২০০৫ সাল থেকে সেনাবাহিনীতে আছি। ২০০৬ এসএ গেমসে তায়কোয়ান্দোতে স্বর্ণজয়ী মিজানুর রহমান ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা। স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের পতাকা এ রকম বড় কোনো পোডিয়ামে তুলে ধরবো বা জাতীয় সংগীত বাজবে। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো।’ নিজের এই সাফল্য কাকে উৎসর্গ করতে চান? এমন প্রশ্নে দিপু বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় মাহমুদুল ইসলাম রানা স্যারকে। আমি ইনজুরিতে থাকার পরও তিনি আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। আমার শুরুও হয়েছিল তার হাত ধরে।’ এর আগে ২০১৬ সালে এশিয়ান হামবাদান গেমসে সোনা জেতেন দিপু। এবার নেপালেও জিতলেন সোনা।
এর আগে ২০১৬ সালে এশিয়ান হামবাদান গেমসে সোনা জেতেন দিপু। এবার নেপালেও জিতলেন সোনা। বাংলাদেশের প্রথম সোনার পদক জেতার পর বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘আমাদের সোনার পদক জেতা শুরু হলো। এটা আশা করি অব্যাহত থাকবে।’ শিলং গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসরে সফলতা না আসলেও এবার দেশ ছাড়ার আগে অন্তত দুটি সোনা জয়ের কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল ইসলাম রানা। দিপু চাকমার স্বর্ণ জয়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রানা বলে, ‘আমাদের একটি প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আশা করছি আরো একটি স্বর্ণ জিতেই আমরা দেশে ফিরতে পারবো।’
২০১০ সালের এসএ গেমসে কারাতে ডিসিপ্লিনে স্বর্ণ জয়ী হাসান খান সান ও হোসেন খান মুনের খেলা ছিল কাল। এর বাইরে কারাতের অন্যান্য ইভেন্টেও প্রত্যাশা ছিল। তাইতো সকাল থেকেই সাদদোবাটোর কারাতে ট্রেনিং সেন্টারে ভিড় ছিল বাংলাদেশিদের। যে প্রত্যাশা নিয়ে সেখানে ভিড় করেছিল সংবাদকর্মীরা তার ছিটেফোঁটাও পূরণ করতে পারেনি হাসান খান সান। প্রত্যাশা পূরণ না হলেও সকাল সকাল এই কারাতেই থেকে তিনটি ব্রোঞ্জ জেতে বাংলাদেশ। যার একটি একটি সান, একটি হোমায়রা ও অপরটি আসে দলগত ইভেন্টে। সাদদোবাটোর কারাতে ট্রেনিং সেন্টার থেকে যখন সবাই হতাশ হয়ে ফিরছিল, তখনই স্বর্ণ জয়ের খবর আসে তায়কোয়ান্দো থেকে। ২৯ অথবা এর বেশি ওজনের প্রতিযোগীদের ইভেন্ট পুমসে শ্রীলঙ্কার লাক্সমানিল আন্দদারিসকে হারিয়ে সোনা জেতেন দিপু চাকমা।
এসএ গেমসে এবারই প্রথম অংশ নিয়েছেন দিপু। আর আবির্ভাবেই বাজিমাত। উচ্ছ্বসিত দিপু নিজের প্রতিক্রিয়া দিলেন এভাবে, ‘আমি এখনো ঘোরের মধ্যে আছি। বুঝতেই পারছি না কীভাবে কী হলো! আমার এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। দেশকে কিছু দিতে পেরেছি বলে খুব গর্ব হচ্ছে। আমি অনেক দিন ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় ছিলাম।’ ২০০১ সাল থেকে তায়কোয়ান্দোতে খেলছেন সেনাবাহিনীতে চাকরি করা দিপু। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসরে ৫টি সোনা ও ১টি রূপা জিতেছেন তিনি। সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েই তায়কোয়ান্দোকে ভালবাসতে শুরু করেন বাংলাদেশের এই সোনাজয়ী। বড় ভাইও তাকে অসম্ভব উৎসাহ দিয়ে থাকেন। কোরিয়ান কোচ মিন হাক সেও গত নভেম্বরে দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ দলের। তার আসার পর থেকেই বেশ উন্নতি হয়েছে দিপুর খেলায়। এবারের গেমসে সোনা জয়ের ব্যাপারেও ভীষণ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গেমসে সোনা জিতেছি। কিন্তু এবার এসএ গেমসে আসার আগে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
এসএ গেসমে তায়কোয়ান্দোতে বাংলাদেশ প্রথম স্বর্ণ পদকের দেখা পায় ২০০৬ সালে মিজানুর রহমানের হাত ধরে। এরপর ঢাকায় ২০১০ সালে এসেছে আরো দুটি স্বর্ণ পদক। ২০১৬ সালে ৩টি ব্রোঞ্জ এসেছিল এই ডিসিপ্লিন থেকে। আর এবার প্রথম পদকটিই থাকল সোনালি রঙের। স্বর্ণ জয়ের পর দিপু স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এবার আরও সাফল্য আসবে এই ডিসিপ্লিন থেকে। তিনি বলেন, ‘কেউ যখন ভালো রেজাল্ট করে, পরবর্তীতে যারা থাকে তাদের বিশ্বাসটা ওপরে থাকে।’ দিপু নিজের তায়কোয়ান্দোতে আসার গল্প বলেন এভাবে, ‘রাঙামাটিতে আমার শুরু। সেখানে মাহমুদুল ইসলাম রানা স্যার ১০ দিনের একটা কোর্সে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওখানেই তায়কোয়ান্দোর সঙ্গে পরিচয়। এরপর সেনাবাহিনীতে আসি। ২০০৫ সাল থেকে সেনাবাহিনীতে আছি। ২০০৬ এসএ গেমসে তায়কোয়ান্দোতে স্বর্ণজয়ী মিজানুর রহমান ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা। স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের পতাকা এ রকম বড় কোনো পোডিয়ামে তুলে ধরবো বা জাতীয় সংগীত বাজবে। সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হলো।’ নিজের এই সাফল্য কাকে উৎসর্গ করতে চান? এমন প্রশ্নে দিপু বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় মাহমুদুল ইসলাম রানা স্যারকে। আমি ইনজুরিতে থাকার পরও তিনি আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন। আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। আমার শুরুও হয়েছিল তার হাত ধরে।’ এর আগে ২০১৬ সালে এশিয়ান হামবাদান গেমসে সোনা জেতেন দিপু। এবার নেপালেও জিতলেন সোনা।
এর আগে ২০১৬ সালে এশিয়ান হামবাদান গেমসে সোনা জেতেন দিপু। এবার নেপালেও জিতলেন সোনা। বাংলাদেশের প্রথম সোনার পদক জেতার পর বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘আমাদের সোনার পদক জেতা শুরু হলো। এটা আশা করি অব্যাহত থাকবে।’ শিলং গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসরে সফলতা না আসলেও এবার দেশ ছাড়ার আগে অন্তত দুটি সোনা জয়ের কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল ইসলাম রানা। দিপু চাকমার স্বর্ণ জয়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রানা বলে, ‘আমাদের একটি প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। আশা করছি আরো একটি স্বর্ণ জিতেই আমরা দেশে ফিরতে পারবো।’