বাংলারজমিন
কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ফলদ গাছ কর্তন
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বিভিন্ন প্রজাতির ৩০/৩২টি ফলদ গাছ প্রতিপক্ষরা কর্তন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের জামালপুর মধ্যপাড়া এলাকায় বিরোধপূর্ণ জমি থেকে ২০টি লিচু গাছ, দু’টি বরই, ১টি আকাশি, দু’টি জাম্বুরা, দুটি পেয়ারা, দুটি খেজুর ও ১৪/১৫ শতাংশের বাঁশঝাড় প্রতিপক্ষের লোকজন কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। সরজমিন গিয়ে স্থানীয় ও উভয়পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় করিম নেওয়াজ সরকার মৃত্যুকালে তিন মেয়ে ও মোট ৩২১ শতাংশ সম্পত্তি রেখে যান। মেয়েরা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভোগ দখল নিতে গেলে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে চার মাস আগে সালিশ বৈঠকে জমি মেপে সীমানা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মা’র সম্পদের উত্তরাধিকার হিসেবে মুজিবুর রহমানকে ৫৯ শতাংশ জমি মেপে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে মুজিবুর গং সীমানা ঘেঁষে বেড়া দেয়। গতকাল সোমবার সকালে মুজিবুর গং তাদের দখলকৃত জায়গার ফলদ গাছ কর্তন করতে থাকে। এতে মুজিবুরের খালাতো ভাই আরেক ওয়ারিশদার আব্দুল হাই গাছ কাটতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ ব্যাপারে আব্দুল হাই বলেন, ৫৯ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে ৩৫ শতাংশ তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি। তার খালাতো ভাইয়েরা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হলে, তারা দাগে দাগে সম্পত্তি পাবে। কিন্তু তারা এসবের তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক মূল্যবান ফলজ গাছগুলো কর্তন করে। তবে অপর খালাতো ভাই মুজিবুর রহমানের দাবি, স্থানীয় সালিশ বৈঠকে এই সম্পত্তি তাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই সম্পত্তিতে বাড়িঘর করার প্রয়োজনে সেখানকার গাছপালা কাটা হয়। স্থানীয় মেম্বার বজলুর রহমান বলেন, কিছুদিন পূর্বে স্থানীয়ভাবে উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তির সমাধান করে দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার বলেন, চার মাস পূর্বে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। বৈঠকের প্রথমদিকে দাগে দাগে সম্পত্তি ভাগ করার সিদ্ধান্ত হলেও ওয়ারিশদার আব্দুল হাইয়ের সম্মতিতে ৫৯ শতাংশ সম্পত্তির মালিকানা মুজিবুর গংকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। ওই সম্পত্তির গাছগুলো আব্দুল হাইয়ের রোপণ করা। তাই তাকে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। দামি দামি গাছগুলো আব্দুল হাই কেটে নিয়ে গেলেও চারাগাছগুলো সে কেটে নেয়নি।