খেলা

প্রথম দিনে এক স্বর্ণ, দুই রৌপ্যের সঙ্গে ১৩ ব্রোঞ্জ

সামন হোসেন, কাঠমান্ডু (নেপাল) থেকে

৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন

কাঠমান্ডুতে পদকের লড়াইয়ের প্রথম দিনটা খুব একটা খারাপ কাটেনি বাংলাদেশের। প্রথম দিনেই স্বর্ণের দেখা মিলেছে। তায়কোয়ান্দোর ২৯ কেজি বা তার অধিক ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জিতেছেন দিপু চাকমা। কারাতে থেকে দুটি রৌপ্য পদক এসেছে। পুরুষ একক কুমিতে অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে রৌপ্য জেতেন মোস্তফা কামাল। একই ইভেন্টে মেয়েদের বিভাগে অনূর্ধ্ব-৪৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে রৌপ্য জেতেন মাউনজেরা বর্ণা। এছাড়া তায়কোয়ান্দোতে ছয়টি ও কারাতে থেকে সাতটি ব্রোঞ্জ জেতে বাংলাদেশ।
কারাতে ট্রেনিং সেন্টারে হোমায়রা আক্তার অন্তরার হাত ধরেই প্রথম পদকের দেখা পায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত কাতায় ব্রোঞ্জ পদক জেতেন বাংলাদেশের অন্তরা। এই বিভাগে স্বর্ণ জিতেছে পাকিস্তান, রৌপ্য জিতেছে নেপাল। পাঁচ প্রতিযোগীর মধ্যে তৃতীয় হয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন অন্তরা। মেয়েদের পর ছেলেদের ব্যক্তিগত কাতা ইভেন্টে মো. হাসান খান বাংলাদেশের দ্বিতীয় পদক অর্জন করেন। প্রতিযোগিতায় নামার আগে বাংলাদেশ অনুশীলন করেছে পুরনো ম্যাটে। কিন্তু খেলা হয়েছে নতুন ম্যাটে। সে কারণে নেকোওয়াশি মুভে গিয়ে পা স্লিপ করে অন্তরার। তাতে সে স্বর্ণ ও রৌপ্য জয়ের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যায়। পয়েন্ট বেশি থাকায় অটোমেটিক ব্রোঞ্জ জিতে যান অন্তরা। একই ঘটনা ঘটেছে হাসানের ক্ষেত্রেও। পদক জয়ের পর অন্তরা বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল সোনা জয়ের। সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ওই একটা মুভে দুর্ভাগ্যজনকভাবে পা স্লিপ করে। তাতে ছিটকে যাই। তবে বাংলাদেশকে প্রথম পদক এনে দিতে পেরে ভালো লাগছে।’ বাংলাদেশের আর দশটা মেয়ের মতো ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে কারাতে শেখেন অন্তরা।
একই ভেন্যুতে ছেলেদের কারাতের ব্যক্তিগত কুমিতে অনূর্ধ্ব ৫৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে রুপা জেতেন বাংলাদেশ আনসারের মোস্তফা কামাল। সোনা জেতেন নেপালের বিজয়। সেমিফাইনালে ৪-১ ব্যবধানে জেতেন মোস্তফা। ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে হেরে যান ১-০ ব্যবধানে। রৌপ্য জিতে মোস্তফা বলেন, ‘সোনা জিততে পারলে ভালো লাগতো। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। স্বাগতিক হিসেবে নেপাল সুবিধা পেয়েছে।’ এবারের এসএ গেমসে মোস্তফা এই একটি ইভেন্টেই অংশ নিয়েছেন। একই ইভেন্টে মেয়েদের বিভাগে অনূর্ধ্ব-৪৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে রৌপ্য জেতেন মাউন জেরা বর্ণা। এদিকে ব্যক্তিগত কুমি অনূর্ধ্ব-৮৪ কেজি ওজন শ্রেণিতে বাংলাদেশের মোহাম্মদ রমজান, ব্যক্তিগত কুমি অনূর্ধ্ব ৮৮ কেজি ওজন শ্রেণিতে মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জেতেন ব্রোঞ্জ।
তায়কোয়ান্দোতে সোনা জয়ের দু’ঘণ্টা পর পুমস পেয়ার ২৯-উর্ধ্ব ইভেন্টে মৌসুমী আক্তারকে নিয়ে ব্রোঞ্জ পান দীপু। এছাড়া ছেলেদের পুমসে একক ১৭ থেকে ২৩ ইভেন্টে কামরুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান ২৩ থেকে ২৯ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পান। পুমসে পেয়ার ১৭ থেকে ২৩ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ এনে দেন নুরুদ্দিন হোসেন ও রুমা খাতুন। আর মেয়েদের পুমসে একক ১৭ থেকে ২৩ ইভেন্টে আনিকা আক্তার ও নুরুন্নাহার আক্তার ২৩-২৯ ইভেন্টে জেতেন ব্রোঞ্জ।
ভলিবলে হতাশা
গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে হারের পর থেকেই ব্রোঞ্জ পদকের কথা শুনিয়ে আসছিলেন ভলিবল খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তারা। শেষ পর্যন্ত কোনো পদকই জুটলো না। চতুর্থ হয়ে দেশে ফিরছে ভলিবল দল। গতকাল ত্রিপুরেশ্বরী কাভার্ড হলে ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩-১ সেটে হারে বাংলাদেশ পুরুষ ভলিবল দল। একদিন আগে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় মহিলা ভলিবল দল। আগের দিন সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুব ভালো খেলেও হারের পর আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি পেয়েছিল আলীপোর আরোজির শিষ্যরা। ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। পিছিয়ে থেকেও প্রথম সেট জিতে নেয় ২৫-২৩ পয়েন্টে। দ্বিতীয় সেটে ১০-৮ পয়েন্টে এগিয়েও ছিল হরষিতরা। তখনি কয়েকটি ফ্লাড লাইট ত্রুটির কারণে নিভে গেলে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় এক ঘণ্টা। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি লাল সবুজরা। পরপর তিনটি ম্যাচ হারতে হয় ২০-২৫, ১৬-২৫ ও ২১-২৫ পয়েন্টে। সঙ্গে শেষ হয়ে যায় ব্রোঞ্জ জয়ের স্বপ্ন।
কোচ আলী স্বপ্ন ভঙ্গের কারণ হিসেবে জানান, ‘এমন আসরে লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়াটা বিস্ময়কর। তবে এটিই প্রধান কারণ নয়। হারের আরো কারণ আছে। অভিজ্ঞতার জন্য দলটির প্রচুর ম্যাচ খেলা প্রয়োজন।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status