খেলা
হারে শুরু ফুটবলের মিশন
এবার দশরথে ভুটান লজ্জা
স্পোর্টস রিপোর্টার, কাঠমান্ডু (নেপাল) থেকে
৩ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন
ভারত-পাকিস্তান না থাকায় এবারের সাউথ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) ফুটবলে স্বর্ণ জয়ের প্রত্যাশাটা ছিল একটু বেশি। আগের দিন অনুশীলনেও ফুটবলারদের সে কথাটাই বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছিলো টিম ম্যানেজমেন্ট। কোচ জেমি ডে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও প্রত্যাশা পূরণের কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঠের খেলায় এসবের কোনো প্রতিফলনই দেখা গেল না। উল্টো তিন বছর পর সেই ভুটানের কাছে হেরে বড় এক ধাক্কা খেলো বাংলাদেশ। চাংলিমিথানের পর দশরথ স্টেডিয়ামে ভুটানের কাছে ১-০ গোলে হারলো লাল সবুজের দল। এ হারে ফাইনালে ওঠার পথটা কঠিনই করে ফেলেছে জেমি ডে’র শিষ্যরা।
মাঠের লড়াইয়ের আগেই ভুটানকে হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশের ফুটবলাররা! তারা নাকি ভাবতে শুরু করেছিল পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে। মালদ্বীপ আর নেপালকে হারিয়ে স্বর্ণ জয়ের কথাও শোনা যাচ্ছিল অনেকের মুখে। মাঠের খেলায় অতি আত্মবিশ্বাই কাল হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। জেডি ডে তো বলেই দিয়েছেন এমন ফুটবল খেললে স্বর্ণ দূরের কথা ফাইনালও খেলা সম্ভব নয়। হতাশার সুরে এই বৃটিশ কোচ বলেন, ‘এখানে আমার কিছু বলার নেই। ভুটান আমারদের চেয়ে ভালো দল নয়। আমরা খারাপ খেলেছি বলেই ওরা জিতেছে। আমি ছেলেদের খেলায় হতাশ’। ১৯৯৯’র পর ঘরের মাঠে ২০১০ এসএ গেমসের সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। ৯ বছর পর তৃতীয়বারের মতো সোনা জয়ের মিশনে ভুটানের ম্যাচ দেখতে দশরথ স্টেডিয়ামে হাজির হন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজাসহ বিওএ সকল কর্মকর্তারাও হাজির ছিলেন স্টেডিয়ামে। তাদের উপস্থিতিতে ভুটানের মতো দলের বিপক্ষে শুরুটা যেমন হওয়ার কথা ছিল তেমনই করেছিল বাংলাদেশ। একরকম জাতীয় দল নিয়ে খেলতে নেমে প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ কম পায়নি তারা। কিন্তু নাবীব নেওয়াজ জীবন ও সাদউদ্দিনরা প্রথমার্ধে যা করলেন, তা আসলেই অমার্জনীয়। যা ম্যাচ শেষে বার বার বলছিলেন বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে। অথচ পুরো ম্যাচে গোল করার মতো মাত্র দুটি সুযোগ পেয়েছিল ভুটান। যার একটি কাজে লাগিয়ে ভুটানীদের জয় উপহার দেন চেনচো গেইলশেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগেও খেলে যাওয়া চেনচো ৬৫ মিনিটে গোল দিয়ে পাহাড়ি দেশটিকে এনে দেন এসএ গেমসে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম জয়।
এমন গোলের সুযোগ বাংলাদেশ ম্যাচে প্রথম পেয়েছিল ১৪ মিনিটে। ডান প্রান্ত দিয়ে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের উঁচু ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সাদউদ্দিন। জামাল ৩৫ মিনিটে জীবন ৩৮ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। প্রথমার্ধে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে অচেনা মনে হয়েছে। নেপালের ঠান্ডা আবাহাওয়া মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের ফুটবলাররা জমে গেছেন। ঠিকমতো দৌঁড়াতেও পারছিলেন না রবিউল-বিপলুরা। মাঠে জামাল-জীবনকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণ করে ভুটান। এই অর্ধে ভুটানের মতো দলের বিপক্ষে আক্রমণে যাওয়াতো দূরের কথা উল্টো নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন ফুটবলাররা। জীবনের পরিবর্তে সুফিল, রবিউলের বদলে আরিফ ও বিপলুকে উঠিয়ে রকিবুলকে মাঠে নামিয়ে কোচ চেষ্টা করেছেন। শেষ দিকে দু-একটি সুযোগও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বদলি রাকিবুল তা কাজে লাগাতে পারেনি।
ভুটানের সঙ্গে হতাশার হারের পর আজ বিকালে মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে জিততে পারলে টিকে থাকবে স্বর্ণ জয়ের আশা। হারলে হতাশা নিয়ে ফিরতে হবে জামাল-জীবনদের।
মাঠের লড়াইয়ের আগেই ভুটানকে হারিয়ে বসেছিল বাংলাদেশের ফুটবলাররা! তারা নাকি ভাবতে শুরু করেছিল পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে। মালদ্বীপ আর নেপালকে হারিয়ে স্বর্ণ জয়ের কথাও শোনা যাচ্ছিল অনেকের মুখে। মাঠের খেলায় অতি আত্মবিশ্বাই কাল হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। জেডি ডে তো বলেই দিয়েছেন এমন ফুটবল খেললে স্বর্ণ দূরের কথা ফাইনালও খেলা সম্ভব নয়। হতাশার সুরে এই বৃটিশ কোচ বলেন, ‘এখানে আমার কিছু বলার নেই। ভুটান আমারদের চেয়ে ভালো দল নয়। আমরা খারাপ খেলেছি বলেই ওরা জিতেছে। আমি ছেলেদের খেলায় হতাশ’। ১৯৯৯’র পর ঘরের মাঠে ২০১০ এসএ গেমসের সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। ৯ বছর পর তৃতীয়বারের মতো সোনা জয়ের মিশনে ভুটানের ম্যাচ দেখতে দশরথ স্টেডিয়ামে হাজির হন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজাসহ বিওএ সকল কর্মকর্তারাও হাজির ছিলেন স্টেডিয়ামে। তাদের উপস্থিতিতে ভুটানের মতো দলের বিপক্ষে শুরুটা যেমন হওয়ার কথা ছিল তেমনই করেছিল বাংলাদেশ। একরকম জাতীয় দল নিয়ে খেলতে নেমে প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ কম পায়নি তারা। কিন্তু নাবীব নেওয়াজ জীবন ও সাদউদ্দিনরা প্রথমার্ধে যা করলেন, তা আসলেই অমার্জনীয়। যা ম্যাচ শেষে বার বার বলছিলেন বাংলাদেশের কোচ জেমি ডে। অথচ পুরো ম্যাচে গোল করার মতো মাত্র দুটি সুযোগ পেয়েছিল ভুটান। যার একটি কাজে লাগিয়ে ভুটানীদের জয় উপহার দেন চেনচো গেইলশেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগেও খেলে যাওয়া চেনচো ৬৫ মিনিটে গোল দিয়ে পাহাড়ি দেশটিকে এনে দেন এসএ গেমসে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম জয়।
এমন গোলের সুযোগ বাংলাদেশ ম্যাচে প্রথম পেয়েছিল ১৪ মিনিটে। ডান প্রান্ত দিয়ে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের উঁচু ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সাদউদ্দিন। জামাল ৩৫ মিনিটে জীবন ৩৮ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। প্রথমার্ধে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়ার্ধে একেবারে অচেনা মনে হয়েছে। নেপালের ঠান্ডা আবাহাওয়া মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের ফুটবলাররা জমে গেছেন। ঠিকমতো দৌঁড়াতেও পারছিলেন না রবিউল-বিপলুরা। মাঠে জামাল-জীবনকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিলো না। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণ করে ভুটান। এই অর্ধে ভুটানের মতো দলের বিপক্ষে আক্রমণে যাওয়াতো দূরের কথা উল্টো নিজেদের রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন ফুটবলাররা। জীবনের পরিবর্তে সুফিল, রবিউলের বদলে আরিফ ও বিপলুকে উঠিয়ে রকিবুলকে মাঠে নামিয়ে কোচ চেষ্টা করেছেন। শেষ দিকে দু-একটি সুযোগও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বদলি রাকিবুল তা কাজে লাগাতে পারেনি।
ভুটানের সঙ্গে হতাশার হারের পর আজ বিকালে মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে জিততে পারলে টিকে থাকবে স্বর্ণ জয়ের আশা। হারলে হতাশা নিয়ে ফিরতে হবে জামাল-জীবনদের।