অনলাইন

ডিসেম্বরেই জাতিসংঘ টিমের ভাসানচর পরিদর্শন

কূটনৈতিক রিপোর্টার

২ ডিসেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৮:২৭ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য প্রস্তুত করা ভাসানচরের পরিস্থিতি দেখতে ডিসেম্বরেই জাতিসংঘের কারিগরি দল আসছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক। গত মাসে এ সফরটি হওয়ার কথা ছিল। সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, জাতিসংঘ বেশ কিছুদিন ধরে এই ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। একটা টেকনিক্যাল টিম আছে এবং সেই টিমের ভাসানচর যাওয়ার কথা। ওখানে কিছু জিনিস তারা এনশিওর করতে চান এবং করার পর এই প্রক্রিয়া (স্থানান্তর) শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় তাদের সফরটি স্থগিত হয়েছিল বলে দাবি করেন সচিব। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার বিরান দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। সরকারী অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১০ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার বলছে, রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য সব ব্যবস্থাই ভাসানচরে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে গেলে কক্সবাজারের ঘনবসতিপূর্ণ ক্যাম্প জীবনের চেয়ে ভালো থাকবে তারা। তবে সাগরের ভেতরে জনমানবহীন ওই চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর সম্প্রতি ওই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানালেও তারা বলেছে, স্থানান্তরের বিষয়টি অবশ্যই রোহিঙ্গাদের সম্মতির ভিত্তিতে হতে হবে। জাতিসংঘের দল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই মাসের মধ্যে সফরটি হবে। ওয়েদার রিলেটেড একটা প্রশ্ন আছে। আপনারা জানেন, মাঝখানে ওয়েদার একটু প্রতিকূল হয়ে গেছিল, সেটা বোধ হয় এখন অনুকূল হয়েছে। শহীদুল হক বলেন, টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, তারা কম্পোজিশান দিয়েছে, কী দেখতে চান, আমরা মোটামুটি এই জিনিসটা এগিয়ে এনেছি। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিচার- দুটি ’অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, কারণ এর আগেও রিপ্যাট্রিয়েশন হয়েছে, ১৯৭৭-৭৮ এ হয়েছে, নব্বইয়ের প্রথম দিকে হয়েছে। রোহিঙ্গারা গেছে ফিরেও এসেছেন। সুতরাং তাদের এই প্রত্যাবাসনটা যাতে টেকসই হয়, আর ফিরে না আসে, তার জন্য অ্যাকাউন্টেবিলিটি ইজ ক্রিটিক্যাল। বিচার ও ফিরে যাওয়া একটা আরেকটার পরিপূরক। মিয়ানমারের বিচারে বাংলাদেশের তৎপরতা রোহিঙ্গা সংকটের দ্বিপাক্ষিক সমাধান চেষ্টাকে ব্যাহত করবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের যে পলিসি, এটা মিক্সড অব বায়লেটারাল অ্যান্ড মাল্টিলেটারাল। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী ইউএনজিএতে যখন বক্তব্য রেখেছেন, তখনই এটা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে স্পষ্ট হয়েছে। সুতরাং মিয়ানমার তখন থেকে এটা জানে যে, বাংলাদেশ দুই ফ্রন্টে চেষ্টা করছে। এটা কোন সমস্যা নয়।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status