বাংলারজমিন
মাহতাব উদ্দীন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দুর্নীতি
আমিনুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ থেকে
২১ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:১৬ পূর্বাহ্ন
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্তে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম গঠিত হয়। সে মোতাবেক গতকাল ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজে আসেন সরজমিন তদন্ত করতে। মজিদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- অবৈধভাবে অধ্যক্ষের পদ দখল, কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই জনবল ও কাঠামো বহির্ভূত ১৫ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মাহামান্য হাইকোর্ট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করে তহবিল তছরুপসহ বিভিন্ন ঘটনা সরজমিন তদন্ত করা। মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালকের ৩৭.০২.৪৭০০.০০০.০১.০২.০১.১৭-৪৫১নং স্মারকের চিঠি সূত্রে মজিদ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওঠা এ সব অভিযোগের খবর জানা গেছে। তদন্ত দলের প্রধান ছিলেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ হারুন অর রশিদ। এ সময় একই দপ্তরের উপ-পরিচালক অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
তদন্তকালে তারা কলেজের নানা বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মণ্ডলকে প্রশ্ন করেন। কিন্তু তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ হারুন অর রশিদ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ভারপ্রাপ্ত পদে এক বছরের বেশি থাকা যায় না। তিনি কিভাবে এত বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে আছেন- এ কথা মজিদ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি চুপ থাকেন। এ ছাড়াও কলেজ সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রশ্ন তাকে করা হয়। কিন্তু তিনি অপরাধ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়েই প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে যোগদানের ক্ষেত্রে মাহামান্য হাইকোর্ট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করার বিষয়েও তিনি চুপ থাকেন। এ বিষয়ে সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মণ্ডল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সত্য নয়। তদন্ত কমিটি যে প্রশ্ন করেছে তার উত্তর দিয়েছি।
তদন্তকালে তারা কলেজের নানা বিষয় নিয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মণ্ডলকে প্রশ্ন করেন। কিন্তু তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। পরিচালক প্রফেসর ড. শেখ হারুন অর রশিদ গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ভারপ্রাপ্ত পদে এক বছরের বেশি থাকা যায় না। তিনি কিভাবে এত বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে আছেন- এ কথা মজিদ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি চুপ থাকেন। এ ছাড়াও কলেজ সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রশ্ন তাকে করা হয়। কিন্তু তিনি অপরাধ সংশ্লিষ্ট সব বিষয়েই প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন। তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানকে যোগদানের ক্ষেত্রে মাহামান্য হাইকোর্ট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ অমান্য করার বিষয়েও তিনি চুপ থাকেন। এ বিষয়ে সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মণ্ডল বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সত্য নয়। তদন্ত কমিটি যে প্রশ্ন করেছে তার উত্তর দিয়েছি।