অনলাইন
হাইকোর্টকে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর
দুই মাসে দেশে ৩৪ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস
অনলাইন ডেস্ক
১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
গত দুই মাসে দেশে ৩৪ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৪৩ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। এই তথ্য জানিয়ে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয়ে গৃহীত কার্যক্রম শীর্ষক একটি প্রতিবেদন আজ বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম অবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি এবং বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১লা আগস্ট থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেশে ১৩ হাজার ৫৯৩টি ফার্মেসি পরিদর্শন করে ৫৭২টি মামলা দায়ের করে। এতে এক কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে দুটি ফার্মেসি সিলগালা করা হয়। ওই দুই মাসের মধ্যে ৩৪ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৪৩ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, আদালত শুনানি শেষে আগামী ১২ই ডিসেম্বরের মধ্যে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধের কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালত ওষুধ প্রশাসনসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে বলেছেন যেন বাংলাদেশের বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি না হয়। ওষুধ শিল্প সমিতিকে বলেছেন ইংরেজির পাশাপাশি যেন বাংলায় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ও মূল্য লেখা থাকে, সেটা বিবেচনা করতে।
প্রসঙ্গত, দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে গত ১১ই জুন ঢাকায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন গত ১৭ই জুন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৮ই জুন মেয়াদোত্তীর্ণ সব ওষুধের বিক্রি বন্ধ ও তা এক মাসের মধ্যে ধ্বংস করে ফেলার পর হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রেজিস্টার্ড লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওষুধ কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার করে ধ্বংসের আদেশ দেয়। সেই আদেশ প্রতিপালন করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও ভেজাল ওষুধ বিক্রয়ে গৃহীত কার্যক্রম শীর্ষক একটি প্রতিবেদন আজ বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা হয়।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম অবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি এবং বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১লা আগস্ট থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত দুই মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেশে ১৩ হাজার ৫৯৩টি ফার্মেসি পরিদর্শন করে ৫৭২টি মামলা দায়ের করে। এতে এক কোটি ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইসঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে দুটি ফার্মেসি সিলগালা করা হয়। ওই দুই মাসের মধ্যে ৩৪ কোটি ৭ লাখ ৬৯ হাজার ১৪৩ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, আদালত শুনানি শেষে আগামী ১২ই ডিসেম্বরের মধ্যে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধের কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালত ওষুধ প্রশাসনসহ সবাইকে একযোগে কাজ করতে বলেছেন যেন বাংলাদেশের বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রির সুযোগ সৃষ্টি না হয়। ওষুধ শিল্প সমিতিকে বলেছেন ইংরেজির পাশাপাশি যেন বাংলায় মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ও মূল্য লেখা থাকে, সেটা বিবেচনা করতে।
প্রসঙ্গত, দেশের কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে গত ১১ই জুন ঢাকায় ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন গত ১৭ই জুন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৮ই জুন মেয়াদোত্তীর্ণ সব ওষুধের বিক্রি বন্ধ ও তা এক মাসের মধ্যে ধ্বংস করে ফেলার পর হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর রেজিস্টার্ড লাইসেন্সপ্রাপ্ত ওষুধ কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিয়ে বাজার থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার করে ধ্বংসের আদেশ দেয়। সেই আদেশ প্রতিপালন করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।