খেলা
গোলাপি বলের রহস্যভেদের চেষ্টা
ইশতিয়াক পারভেজ, ইন্দোর (ভারত) থেকে
১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:২৮ পূর্বাহ্ন
ইন্দোর টেস্টের পঞ্চম দিনও বাংলাদেশ দল হোলকার স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে কাটিয়েছে। আগের দিন ভারত দল উপস্থিত থাকলেও গতকাল তারা নিয়েছে বিশ্রাম। কিন্তু প্রথম টেস্ট হারের পর টাইগারদের বিশ্রামের সুযোগ কই। স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটা থেকেই অনুশীলন শুরু করে গোটা দল। চলে প্রায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ভেদ করা হচ্ছে গোলাপি বলের রহস্য। ব্যাটসম্যান- বোলারদের নিয়ে দারুণ ব্যস্ত কোচিং স্টাফরা। কেমন হবে গোলাপি বলের আচরণ! কতটা রহস্যময় হবে রাতের আলো-আঁধারে? যেহেতু কলকাতায় শীতের আগাম বার্তাও আছে তাই শিশিরে ভিজে পরিবর্তন হতে পারে বলের চরিত্র। তাই বল ভিজিয়েও চলেছে টানা অনুশীলন। লম্বা সময় ব্যাটিং প্রাকটিসটা সেরে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি হন টাইগারদের তরুণ অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। কেমন কাটলো তার গোলাপি অভিজ্ঞতা? তিনি বলেন, ‘আজ আমি ব্যাটিং ও বোলিং দুটাই করেছি। বিশেষ করে ব্যাট করার সময় মনে হয়েছে বলটা একটু দ্রুত মুভ করছিল। ব্যাটে আসেও দ্রুত। শুধু তাই নয় ব্যাটে লাগার সঙ্গে সঙ্গে গোলাপি বল দ্রুত ছুটতে শুরু করে।’
এত দিন টেস্ট ছিল অভিজাত সাদা পোশাকে, দিনের আলোতে। সেখানে লাল বল নিয়েই ক্রিকেটারদের সব গবেষণা। কিন্তু দিন-রাতের টেস্টে এসে বদলে গেছে অনেক কিছুই । লাল বলের পরিবর্তে নিতে হবে অনেকটা অজানা গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ। দুটি বলে কতটা পার্থক্য? মিরাজ তার অনুশীলনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, ‘আমার কাছে বেশ কিছু পার্থক্য মনে হয়েছে। বিশেষ করে এই বলে বেশ সুইং থাকতে পারে শুরুর দিকে। এমনকি কাটও করতে পারে। আজ ব্যাট করার সময় দেখলাম মাঝে মাঝে বল কাট করছে।’ ইন্দোর টেস্ট শেষ হয়ে গেছে তিন দিনে। যে কারণে দুই দিন লম্বা সময় ছিল অনুশীলনে। বাংলাদেশ দলের নয়া স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি হোলকার স্টেডিয়ামের কিউরেটরের কাছে প্রথম দিন চেয়েছিলেন ম্যাচের উইকেটটি। কিন্তু ভারত অনুশীনের আবদার আগেই করে রাখায় কিউরেটর সেই উইকেট দিতে আপত্তি জানায়। তাই দু’জনের মধ্যে চলে উচ্চস্বরে কথা বার্তাও। তবে গতকাল হোলকারে তিনটি সেন্ট্রাল উইকেট জুড়ে টাইগাররা অনুশীলন করে একটানা। তবে ২২শে নভেম্বর টেস্ট কলকাতার ইডেনে। এত অল্প সময়ে রহস্যে ঘেরা গোলাপি বলে অনুশীলনে পূর্ণতা পাওয়াকি সম্ভব? মিরাজ হ্যাঁ, বা না কিছুতে যেতে চাইলেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু সময় পেয়েছি অনুশীলনের চেষ্টা করেছি শতভাগ উসুল করে নেয়ার। হ্যা, সময়টা খুব অল্প। কিন্তু চেষ্টা ছিল এর মধ্যেই যতটা সম্ভব পূরণ করে নেয়ার।’
গোলাপি বল থেকে বোলাররা সুবিধা নিতে পারবেন, বিশেষ করে পেসাররা। কিন্তু সবচেয়ে বড় ভয় ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। কারণ পেসাররা হতে পারেন বড় অতঙ্ক। ভারতের পেসারদের নিয়েই যত ভয়। মিরাজও স্বীকার করে নিলেন ভয়ঙ্কর হতে পারে ব্যাটসম্যানদের জন্য। তবে সামলে চললে মানিয়ে নেয়া যাবে বলে তার ধারণা। তিনি বলেন, ‘হ্যা, প্রথম দিকে ব্যাটসম্যানদের একটু পরিশ্রম করতে হবে মানিয়ে নেয়ার জন্য। যদি শুরুতে একটু কষ্ট করে মানিয়ে নেয়া যায় তাহলে মনে হয় ক্রিজে টিকে থেকে নিয়ন্ত্রণ নেয়া সম্ভব। বলতে চাচ্ছি শুরুতে মানিয়ে নিতে পারলে পরে সহজ হয়ে যাবে।’
কলকাতায় ইডেনের উইকেট কেমন হচ্ছে তা অনেকটা অনুমান করা যাচ্ছে। গোলাপি বলের শাইন ধরে রাখতে উইকেটে ঘাস রাখারই কথা শোনা যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ইডেন টেস্টের আয়ু ধরা হচ্ছে ৩ দিনই!
এত দিন টেস্ট ছিল অভিজাত সাদা পোশাকে, দিনের আলোতে। সেখানে লাল বল নিয়েই ক্রিকেটারদের সব গবেষণা। কিন্তু দিন-রাতের টেস্টে এসে বদলে গেছে অনেক কিছুই । লাল বলের পরিবর্তে নিতে হবে অনেকটা অজানা গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ। দুটি বলে কতটা পার্থক্য? মিরাজ তার অনুশীলনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, ‘আমার কাছে বেশ কিছু পার্থক্য মনে হয়েছে। বিশেষ করে এই বলে বেশ সুইং থাকতে পারে শুরুর দিকে। এমনকি কাটও করতে পারে। আজ ব্যাট করার সময় দেখলাম মাঝে মাঝে বল কাট করছে।’ ইন্দোর টেস্ট শেষ হয়ে গেছে তিন দিনে। যে কারণে দুই দিন লম্বা সময় ছিল অনুশীলনে। বাংলাদেশ দলের নয়া স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরি হোলকার স্টেডিয়ামের কিউরেটরের কাছে প্রথম দিন চেয়েছিলেন ম্যাচের উইকেটটি। কিন্তু ভারত অনুশীনের আবদার আগেই করে রাখায় কিউরেটর সেই উইকেট দিতে আপত্তি জানায়। তাই দু’জনের মধ্যে চলে উচ্চস্বরে কথা বার্তাও। তবে গতকাল হোলকারে তিনটি সেন্ট্রাল উইকেট জুড়ে টাইগাররা অনুশীলন করে একটানা। তবে ২২শে নভেম্বর টেস্ট কলকাতার ইডেনে। এত অল্প সময়ে রহস্যে ঘেরা গোলাপি বলে অনুশীলনে পূর্ণতা পাওয়াকি সম্ভব? মিরাজ হ্যাঁ, বা না কিছুতে যেতে চাইলেন না। তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু সময় পেয়েছি অনুশীলনের চেষ্টা করেছি শতভাগ উসুল করে নেয়ার। হ্যা, সময়টা খুব অল্প। কিন্তু চেষ্টা ছিল এর মধ্যেই যতটা সম্ভব পূরণ করে নেয়ার।’
গোলাপি বল থেকে বোলাররা সুবিধা নিতে পারবেন, বিশেষ করে পেসাররা। কিন্তু সবচেয়ে বড় ভয় ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। কারণ পেসাররা হতে পারেন বড় অতঙ্ক। ভারতের পেসারদের নিয়েই যত ভয়। মিরাজও স্বীকার করে নিলেন ভয়ঙ্কর হতে পারে ব্যাটসম্যানদের জন্য। তবে সামলে চললে মানিয়ে নেয়া যাবে বলে তার ধারণা। তিনি বলেন, ‘হ্যা, প্রথম দিকে ব্যাটসম্যানদের একটু পরিশ্রম করতে হবে মানিয়ে নেয়ার জন্য। যদি শুরুতে একটু কষ্ট করে মানিয়ে নেয়া যায় তাহলে মনে হয় ক্রিজে টিকে থেকে নিয়ন্ত্রণ নেয়া সম্ভব। বলতে চাচ্ছি শুরুতে মানিয়ে নিতে পারলে পরে সহজ হয়ে যাবে।’
কলকাতায় ইডেনের উইকেট কেমন হচ্ছে তা অনেকটা অনুমান করা যাচ্ছে। গোলাপি বলের শাইন ধরে রাখতে উইকেটে ঘাস রাখারই কথা শোনা যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয় সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ইডেন টেস্টের আয়ু ধরা হচ্ছে ৩ দিনই!