এক্সক্লুসিভ

সেবাধর্মী কর্মী তৈরিই আমার লক্ষ্য- মেয়র সোহেল

বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

১৯ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৮:২৭ পূর্বাহ্ন

দীর্ঘ ৪ বছর পর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে সর্বত্র আলোকসজ্জা, রাস্তায় রাস্তায় ফেস্টুনের ছড়াছড়িতে মাইজদী শহরে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আগামী ২০শে নভেম্বর সংগঠনটির সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনের পর কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনের জন্য ত্যাগী, মেধাবী নেতাকর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং পরীক্ষিত নেতাদের দায়িত্বে আনার দাবি উঠেছে তৃণমূল থেকে। এরই মধ্যে জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন সংগঠনটির ডজনখানেক নেতা। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও মাইজদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল। জানা যায়, তিনি ১৯৮৭ সালে হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সভাপতি, ১৯৮৮ সালে সরকারি আবাসিক এলাকা শাখার সভাপতি, ১৯৮৯ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস, ১৯৯০ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯১ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ১৯৯৩ সালে নোয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৮ সালে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০০৪ সালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ২০০৮ সালে নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০১৪ সালে মাইজদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০১৬ সালে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। ওয়ান-ইলেভেনে রাজপথে শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলন করতে গিয়ে নানা নির্যাতনের শিকার হন তিনি। সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম সিদ্দিকী রাজু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল ভাই অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। নোয়াখালীর ৯ উপজেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে দলের জন্য নিবেদিত, পরিশ্রমী, ত্যাগী ও শেখ হাসিনার আদর্শের ভ্যানগার্ড সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল বেশ পরিচিত। জেলার দায়িত্ব পেলে অধিকাংশ উপজেলায় ও ইউনিয়নগুলোতে সম্মেলন করে নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলবেন। জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল আলম মঞ্জু বলেন, সোহেল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে দলের সাংগঠনিক ভিত আরো শক্তিশালী হবে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান বেলায়েত বলেন, সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মো. হানিফ বলেন, পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। সাবেক জেলা যুবলীগের সভাপতি সাইদ মাহমুদ পারভেজ বলেন, নিরহংকারী এই মানুষটি দলের সাধারণ সম্পাদক হলে দলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে। নোয়াখালী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোস্তফা ইকবাল বলেছেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ফ্রি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে মেয়র যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তাতে নোয়াখালীর মর্যাদা বেড়েছে। একইসঙ্গে একজন জনতার মেয়র হিসেবেই নিজেকে প্রমাণিত করেছেন তিনি। ১২ বছর জেলার রাজনীতি যেভাবে পিছিয়ে এর থেকে পরিত্রাণে জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সোহেলের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল মানবজমিনকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে ছাত্রলীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে পর্যন্ত রাজনীতি করছি। সংগঠনও বিভিন্ন সময় আমার কর্মের মূল্যায়ন করেছে। এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে চলছি। তাই জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেলে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে যাবো। কাদের ভাইয়ের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। তৃণমূলের চাওয়াতে আমি প্রার্থী হয়েছি। তবে নেতাকর্মীরা চায়, আমি দায়িত্বে আসি। দায়িত্ব পেলে আমার সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করে যাবো। সেবাধর্মী পৌরসভার মতো কর্মী গড়াই হবে আমার লক্ষ্য।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status