এক্সক্লুসিভ

পর্দাকাণ্ডে ১২ জনকে দুদকে তলব

স্টাফ রিপোর্টার

১৮ নভেম্বর ২০১৯, সোমবার, ৮:১৬ পূর্বাহ্ন

অবৈধ সম্পদ এবং অর্থপাচারের অভিযোগে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আলোচিত সাড়ে ৩৭ লাখ টাকার পর্দাসহ ১৬৬ চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতিকে সামনে রেখে চলছে দুদকের অনুসন্ধান। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটি উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম সই করা চিঠিতে তাদেরকে ২৪,২৫ ও ২৬শে নভেম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে। ২৪শে নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের সচিব সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্টোর কিপার মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন ফয়েজ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ী চালক মো. শাহজাহান। ২৫শে নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টোর কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আব্দুল মজিদ ও সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাব সহকারী সুব্রত কুমার দাস। ২৬শে নভেম্বর যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- খুলনা মেডিক্যাল কলেজের হিসাব রক্ষক মাফতুন আহমেদ রাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অফিস সহকারী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবুল হক মুন্সি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডব্লিউএইচও) অফিস সহকারী কামরুল ইসলাম। এর একই অভিযোগ অনুসন্ধানে বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। অনুসন্ধান কাজের তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন পরিচালক কাজী শফিকুল আলম। চলতি বছরের অক্টোবর থেকে দুদকের উপ-পরিচালক শামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি টিম অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধান টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান ও ফেরদৌস রহমান। টিম এরই মধ্যে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী যাচাই ও মূল্য নির্ধারণে সরেজমিনে পরিদর্শন যায়। অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রোগীকে আড়াল করে রাখার এক সেট পর্দার দাম দেখানো হয় ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মেসার্স অনিক ট্রেডার্স অতিরিক্ত বিল দেখিয়ে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ২০০ টাকার ১৬৬টি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে। যেখানে প্রকৃত বাজার মূল্য ১১ কোটি ৫৩ লাখ ৪৬৫ টাকা। এরই মধ্যে অনিক ট্রেডার্স ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৭ টাকার বিল উত্তোলন করে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো ১০ কোটি টাকার বিল বিভিন্ন অসঙ্গতিতে বিল আটকে দেওয়া হয়। বিল পেতে ২০১৭ সালের ১লা জুন অনিক ট্রেডার্স হাইকোর্টে রিট করে। এরপরই মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কাছে ১০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতির তালিকা চেয়ে পাঠান। পরবর্তীতে বিষয়টি তদন্তে দুদককে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।


 
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status