বাংলারজমিন
প্রেম নিয়ে বিরোধে বন্ধুদের হাতে খুন
স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে
১৭ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৭:৫৫ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মো. মাওলা (১৭) নামে এক কিশোর নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। নিখোঁজের ৪ দিন পর তার হাত-পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহতের ৩ বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের দেখানো মতে শনিবার সকালে উপজেলার পূর্বাচল এলাকার ১০নং সেক্টর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও নিহতের পরিবারের দাবি নিহত কিশোর মাওলার বন্ধু ও তার প্রেমিকার অপর প্রেমিক নাছিম আরো কয়েকজনের সহায়তায় তাকে নির্মমভাবে খুন করেছে। উপজেলা ভোলাব ইউনিয়নের পাইস্কা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার এসআই নাজিমউদ্দিন জানান, গত ১৩ই নভেম্বর বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ভোলাব ইউনিয়নের পাইস্কা এলাকার কাঠমিস্ত্রি এখলাছ উদ্দিনের ছেলে অটোরিকশা চালক মো. মাওলা (১৭)কে রিজার্ভ ট্রিপের কথা বলে একই এলাকার তার বন্ধু কাউসার ও সবুজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাড়ি থেকে অটোরিকশাসহ ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে নিখোঁজের পিতা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ জিডির তদন্ত করতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার রাতে নিখোঁজ মাওলার মোবাইল ফোনসহ কাঞ্চন পৌরসভার তারাইল এলাকার মানিকের ছেলে নাছিমকে গ্রেপ্তার করেন। তার দেয়া তথ্যমতে তার সহযোগী পাইস্কা এলাকার সানাউল্যার ছেলে কাউসার ও মান্নানের ছেলে সবুজকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়াদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের দেখানো মতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ পূর্বাচল উপ-শহরের ১০ নম্বর সেক্টরের ৩১৬ নম্বর রোডের ৮ নম্বর প্লটের ঝোপের ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নিখোঁজ মাওলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন।
এসআই নাজিম আরো জানান, নিহত মাওলার সঙ্গে তারাইল এলাকার লিটনের মেয়ে স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী লামিয়ার প্রেম ছিল। এদিকে মাওলারই বন্ধু তারাইল এলাকার নাছিমও লামিয়াকে ভালোবাসতো। নাছিম লামিয়ার জীবন থেকে মাওলাকে সরে যেতে একাধিকবার বললেও সে নাছিমের কথা প্রত্যাখ্যান করে। এরই জের ধরে নাছিম ও তার সহযোগী বন্ধু পাইস্কা এলাকার মান্নানের ছেলে সবুজ, সানাউল্যার ছেলে কাউসারসহ আরো কয়েকজন মাওলাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বুধবার বিকালে রিজার্ভ ভাড়ার কথা বলে কাউসার মাওলাকে অটোরিকশাসহ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ঐদিন রাতেই পূর্বাচল উপ-শহরের ১০ নম্বর সেক্টরের ৩১৬ নম্বর রোডের ৮ নম্বর প্লটের ভিতর নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝোপের ভিতরে লাশ গুমের উদ্দেশ্য ফেলে রেখে আসে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কিশোরকে তার বন্ধুরা হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এসআই নাজিম আরো জানান, নিহত মাওলার সঙ্গে তারাইল এলাকার লিটনের মেয়ে স্থানীয় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী লামিয়ার প্রেম ছিল। এদিকে মাওলারই বন্ধু তারাইল এলাকার নাছিমও লামিয়াকে ভালোবাসতো। নাছিম লামিয়ার জীবন থেকে মাওলাকে সরে যেতে একাধিকবার বললেও সে নাছিমের কথা প্রত্যাখ্যান করে। এরই জের ধরে নাছিম ও তার সহযোগী বন্ধু পাইস্কা এলাকার মান্নানের ছেলে সবুজ, সানাউল্যার ছেলে কাউসারসহ আরো কয়েকজন মাওলাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বুধবার বিকালে রিজার্ভ ভাড়ার কথা বলে কাউসার মাওলাকে অটোরিকশাসহ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ঐদিন রাতেই পূর্বাচল উপ-শহরের ১০ নম্বর সেক্টরের ৩১৬ নম্বর রোডের ৮ নম্বর প্লটের ভিতর নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝোপের ভিতরে লাশ গুমের উদ্দেশ্য ফেলে রেখে আসে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কিশোরকে তার বন্ধুরা হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।