শেষের পাতা
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড
অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী বছরের ৪ঠা মার্চের মধ্যে র্যাবকে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে, ওই দিন আসামি মো. তানভীর রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয়েও প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। অপরদিকে, তানভীর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
এছাড়া, আদালত তানভীরকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এ সময় আদালত বলেন, দেশের সকল স্তরের মানুষের দৃঢ় প্রত্যাশা ছিল দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সমাপ্ত করে হত্যার প্রকৃত কারণ, অপরাধীদের চিহ্নিত, গ্রেপ্তার ও বিচারের সম্মুখীন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু রুঢ় সত্য ও বাস্তবতা হলো, দীর্ঘ সাত বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও এ হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম সমাপ্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আদালত বলেন, এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৮ ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হলেও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কারো সম্পৃক্ততার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেননি। এফবিআই ৪ ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করেছে। তার মধ্যে ২টি ডিএনএ সাগর-রুনির। বাকি দুটি ডিএনএ’র সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামিদের ডিএনএ ম্যাচ করেনি। অর্থাৎ ওই দুই ব্যক্তিকে আজ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমেরিকার বিশেষায়িত ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ’র উপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য অপরাধীদের অবয়ব তৈরির চেষ্টা চলছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে না পারলে চৌকস বাহিনী র্যাবের অন্য সব সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
গত ১১ই নভেম্বর, সাগর ও রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৮ বছরেও শেষ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ওই দিন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম মামলার নথিসহ (সিডি) হাজির হয়ে আদালতকে বলেন, জুলাই মাসে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পড়েছে তার উপর। এখন পর্যন্ত এফবিআই থেকে চারটি ডিএনএ টেস্টের মধ্যে দুটির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ দুটি টেস্টের সঙ্গে আসামিদের মিল পাওয়া যায়নি বলে সেগুলো ফের যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তখন আদালত বলেন, কবে আসবে ডিএনএ রিপোর্ট? জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, শিগগিরই চলে আসবে।
এছাড়া, আদালত তানভীরকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এ সময় আদালত বলেন, দেশের সকল স্তরের মানুষের দৃঢ় প্রত্যাশা ছিল দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সমাপ্ত করে হত্যার প্রকৃত কারণ, অপরাধীদের চিহ্নিত, গ্রেপ্তার ও বিচারের সম্মুখীন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু রুঢ় সত্য ও বাস্তবতা হলো, দীর্ঘ সাত বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও এ হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম সমাপ্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আদালত বলেন, এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৮ ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হলেও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের কারো সম্পৃক্ততার প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেননি। এফবিআই ৪ ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করেছে। তার মধ্যে ২টি ডিএনএ সাগর-রুনির। বাকি দুটি ডিএনএ’র সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামিদের ডিএনএ ম্যাচ করেনি। অর্থাৎ ওই দুই ব্যক্তিকে আজ পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আমেরিকার বিশেষায়িত ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ’র উপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য অপরাধীদের অবয়ব তৈরির চেষ্টা চলছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে না পারলে চৌকস বাহিনী র্যাবের অন্য সব সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।
গত ১১ই নভেম্বর, সাগর ও রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৮ বছরেও শেষ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। ওই দিন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার শফিকুল আলম মামলার নথিসহ (সিডি) হাজির হয়ে আদালতকে বলেন, জুলাই মাসে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পড়েছে তার উপর। এখন পর্যন্ত এফবিআই থেকে চারটি ডিএনএ টেস্টের মধ্যে দুটির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ দুটি টেস্টের সঙ্গে আসামিদের মিল পাওয়া যায়নি বলে সেগুলো ফের যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তখন আদালত বলেন, কবে আসবে ডিএনএ রিপোর্ট? জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, শিগগিরই চলে আসবে।