দেশ বিদেশ
সব স্থাপনা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও সড়কসহ সব স্থাপনার নামফলক বা স্মৃতিফলক থেকে স্বাধীনতা বিরোধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের নাম পরিবর্তন করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণের জন্য ফের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৩শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলেছেন আদালত। গতকাল বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্থানীয় সরকার সচিব ও শিক্ষাসচিবের প্রতি এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ২৫শে ফেব্রুয়ারি পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয়টি আদালতের কার্যতালিকায় থাকবে। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার একে রাশিদুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত। আদালতে স্বাধীনতা বিরোধী যে ২০ জনের তালিকা দেয়া হয়েছে, তারা হলেন-মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আব্দুল আলিম, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার, মৌলভীবাজারের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এনএম ইউসুফ, সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া খান মজলিস, ফরিদপুরের আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, মৌলভীবাজারের মাহতাব উল্লাহ, গাইবান্ধার আব্দুল আজিজ ও আব্দুল জব্বার, নোয়াখালীর তরিকুল্লাহ, ঝিনাইদহের মিয়া মনসুর আলী, কুমিল্লার রেজাউর রহমান, নাটোরের আব্দুস সাত্তার খান মধু মিয়া ও কাছির উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণের মো. তামিমুল এহসান ও মোহাম্মদ উল্লাহ, নেত্রকোনার আব্দুর রহমান, মেহেরপুরের মিয়া মনসুর আলী ও সাবদার আলী এবং ঝিনাইদহের সফি আহমেদ। এর আগে ২০১২ সালে, হাইকোর্টে স্বাধীনতা বিরোধীদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ও সাংবাদিক, গবেষক শাহরিয়ার কবীর একটি রিট দায়ের করেন। ওই বছরের ১৪ই মে প্রাথমিক শুনানি শেষে খান-এ সবুর ও শাহ আজিজুর রহমানের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের নামে থাকা সড়ক, স্থাপনা ও অবকাঠামোর নাম পরিবর্তনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, পরিবর্তনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে সে সবের নামকরণ কেন করা হবে না এবং যারা ওই নামকরণের জন্য দায়ী, তাদের কেন বিচারের আওতায় আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। এরপর স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তন করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলো আদালত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব ও খুলনার মেয়রকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। আদেশের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোনো স্থাপনা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম না সরানোর কারণে এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি নিয়ে প্রশাসনকে শেষবারের মতো সময় বেঁধে দিলেন আদালত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব ও খুলনার মেয়রকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। আদেশের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোনো স্থাপনা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম না সরানোর কারণে এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি নিয়ে প্রশাসনকে শেষবারের মতো সময় বেঁধে দিলেন আদালত।