বাংলারজমিন
কুলাউড়া সড়ক পাকাকরণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৫ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৮:০৯ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া উপজেলার পুশাইনগর হতে ভুকশিমইল পর্যন্ত রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনিয়মের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ সঠিকভাবে সম্পাদনের প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষুব্ধ মানুষ শান্ত হয় এবং কাজ চালিয়ে যাওয়ার সম্মতি দেয়। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, কুলাউড়া উপজেলার পুশাইনগর বাজার থেকে ভুকশিমইল পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তার মেরামত বাবত ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান মুহিবুর রহামন কোকিল কনস্ট্রাকশন। কাজটি বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অনিয়ম শুরু করে। বৃহস্পতিবার গৌরীশঙ্কর এলাকায় কাজে অনিয়ম দেখে সকাল ১১টায় কাজ বন্ধ করে দেয়। প্রায় ২ ঘণ্টা কাজ বন্ধ রাখার পর কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইশতিয়াক ও ঠিকাদার মো. মুহিবুর রহমান কোকিল ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাস্তা কার্পেটিং করার পর হাত দিয়ে তুলা যায় কারো পিচ আবার পা দিয়ে খোঁচা দিলে তা উঠে যায়। এত নিম্নমানের কাজ কোন রাস্তায় হয়নি। গাড়ি চলাচল করলেই পিচ উঠে যাবে। দায়সারা গোছের কাজ। কাজ চলাকালে ঠিকাদের কেউ বা ইঞ্জিনিয়ার অফিসের কোন লোকজন উপস্থিত থাকে না। ফলে শ্রমিকরা তাদের ইচ্ছামত কাজ করে। কোথায়ও আধা ইঞ্চি আবার কোথায় এরচেয়ে কম পিচ ঢালাই করা হচ্ছে। ঠিকাদার মো. মুহিবুর রহমান কোকিল জানান, রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। প্রাইম কোট করা হয়েছে মাত্র। কাজ শেষ হরে এই কাজ অনেক মজবুত হবে। যে কাজ ম্যানুয়ালি হওয়ার কথা সেই কাজ মেশিনে হচ্ছে। টেকনিক্যাল কোন সমস্যা নেই। স্থানীয় লোকজন ভুল বুঝে কাজে বাধা দিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। পরে তারা বুঝে কাজ করার সম্মতি দিয়েছে। এই ভুল বুঝাবুঝির কারণে কিছু সময় কাজ বন্ধ ছিলো।
উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইসতিয়াক হাসান জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ হচ্ছে। এলাকাবাসী মনে করেছে ৩ ইঞ্চি কাজ হওয়ার কথা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে। পরে ঠিকাদারের উপস্থিতিতে এলাকাবাসীকে কাজের শিডিউলের (ইস্টিমিট) কপি দেখানো এবং বুঝানোর পর ফের কাজ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ লোকজন রোলারের ড্রাইভারকে মারধর করায় কাজ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিলো।
উপজেলা প্রকৌশলী মু. ইসতিয়াক হাসান জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ হচ্ছে। এলাকাবাসী মনে করেছে ৩ ইঞ্চি কাজ হওয়ার কথা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে। পরে ঠিকাদারের উপস্থিতিতে এলাকাবাসীকে কাজের শিডিউলের (ইস্টিমিট) কপি দেখানো এবং বুঝানোর পর ফের কাজ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধ লোকজন রোলারের ড্রাইভারকে মারধর করায় কাজ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিলো।