প্রথম পাতা
মর্মান্তিক
ছোঁয়ার মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ স্বজনরা
মখলিছ মিয়া, বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) থেকে
১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন
দুই বছর বয়স আদিবা আক্তার ছোঁয়ার। মা-বাবার আদরের ধন। এক মুহূর্তের জন্যও মা-বাবাকে ছেড়ে থাকতো না ছোঁয়া। ট্রেন দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেও ছিল সে তার মা আর বাবার কোলে। মা-বাবা তাকে সব সময় চোখের সামনে রাখতো। মা কিংবা বাবাকে সামনে না দেখলে কান্না জুড়ে দিতো। অথচ সামান্য সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে গেলো ছোঁয়া। সে এখন আর বাবা-মা বলে ডাকে না। না ফেরার দেশের বাসিন্দা এখন সে। অন্যদিকে, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ছোয়ার আব্বু-আম্মু। আর ছোঁয়া মনির নিথর দেহ পড়ে আছে বি-বাড়িয়ার হাসপাতালের লাশ ঘরে। ছোট্ট ছোঁয়া মনির বাবা বানিয়াচংয়ের তাম্বুলীটুলা গ্রামের সোহেল মিয়া, মা নাজমা বেগম। সোমবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্দবাগে মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় তারা উভয়ে গুরুতর আহত হন। আহত হয়েছিল শিশু সন্তান ছোঁয়া মনিও। অন্যদের মতো তাদের তিনজনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান উদ্ধারকারীরা। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক জানান, ছোঁয়া মনি আর বেঁচে নেই। চিকিৎসকরা জানান, ছোঁয়ার বাবা সোহেল ও মা নাজমার অবস্থা বেশি গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে। এদিকে, গতকাল দুপুরে নিহত ছোঁয়ার লাশ হস্তান্তর করার জন্য বি-বাড়িয়া থেকে ফোন আসে বানিয়াচং উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মামুন খন্দকার’র কাছে। সাথে সাথে তিনি বানিয়াচংয়ের তাম্বুলীটুলা গ্রামে সোহেলের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি ছোঁয়ার মামা জামাল উদ্দিন এর কাছে লাশ হস্তান্তরের জন্য বি-বাড়িয়ার ইউএনওকে অনুরোধ করেন। গতকাল বিকালে নিহত ছোঁয়ার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছোঁয়ার মৃত্যুতে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।