বাংলারজমিন
পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যা করলো স্বামী
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৩ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার, ৯:০০ পূর্বাহ্ন
পর পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক এবং মোবাইলফোনে পর পুরুষের সঙ্গে ঘন ঘন কথা বলায় ও স্বামীকে এড়িয়ে চলায় এবং টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার ক্ষোভে স্ত্রী নিপা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। গত রোববার বিকালে ঘাতক স্বামী শরীফ মিয়া হবিগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিচারক নুরুল হুদার নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করেন মাধবপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর আহমেদ। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহিরুল ইসলাম গত শনিবার রাতে আশুগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে ঘাতক শরীফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করেন। গত ২৪শে অক্টোবর রাতে মাধবপুর উপজেলার ব্যাঙ্গাডুবা গ্রামের ভাড়া বাসায় বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের মৃত নান্নু মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া তার স্ত্রী নিপা আক্তারকে রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ভোরবেলা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিপার বাবা নাসিরনগর উপজেলার চাপড়তলা গ্রামের আহাদ মিয়া বাদী হয়ে জামাতা শরীফকে আসামি করে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতে ঘাতক শরীফ মিয়া স্বীকারোক্তিতে বলেন, ৮/৯ বছর পূর্বে নিপাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের কারণে শরীফের প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। দ্বিতীয় স্ত্রী নিপাকে তার গ্রামের বাড়ি হিয়ালা নিতে চাইলেও নিপা যেতে রাজি হতো না। এ কারণে নিপাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া থাকতো। শরীফ দিনমজুরের কাজ করে নিপার হাতে সব টাকা তুলে দিতো।
কিন্তু ঘটনার কিছু দিন আগে নিপা শরীফকে না বলে নয়াপাড়ার ব্যাঙ্গাডুবা গ্রামে এক বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। ঘটনার ৩ দিন আগে নিপা শরীফকে ফোন দিয়ে ব্যাঙ্গাডুবা বাসায় যেতে বলে। বাসায় যাবার পর শরীফকে দিয়ে বাজার করান। ২৪শে অক্টোবর রাতে নিপাকে নিয়ে শরীফ ঘুমাতে যায়। কিন্তু ঘন ঘন নিপার কাছে ফোন আসতে থাকে। কার ফোন জানতে চাইলে নিপা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। রাত ১১টার দিকে অপরিচিত এক পুরুষ লোক বাইরে থেকে নিপা নিপা নাম ধরে ডাকতে থাকে। লোকটি চলে যাবার পর নিপাকে শরীফ ঘুম থেকে তুলে তাকে ডাকার কারণ ও ওই লোকটির পরিচয় জানতে চাইলে নিপা শরীফের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে গালি দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এতে শরীফের মাথা গরম হয়ে যায়। এ কারণে রাত ১২টার দিকে শরীফ নিপার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সারারাত লাশের পাশে বসে থেকে ভোর হলে ঘর থেকে শরীফ বেরিয়ে আশুগঞ্জ বন্দরে গিয়ে খালাসির কাজ নেয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শরীফকে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।
কিন্তু ঘটনার কিছু দিন আগে নিপা শরীফকে না বলে নয়াপাড়ার ব্যাঙ্গাডুবা গ্রামে এক বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। ঘটনার ৩ দিন আগে নিপা শরীফকে ফোন দিয়ে ব্যাঙ্গাডুবা বাসায় যেতে বলে। বাসায় যাবার পর শরীফকে দিয়ে বাজার করান। ২৪শে অক্টোবর রাতে নিপাকে নিয়ে শরীফ ঘুমাতে যায়। কিন্তু ঘন ঘন নিপার কাছে ফোন আসতে থাকে। কার ফোন জানতে চাইলে নিপা বিষয়টি এড়িয়ে যায়। রাত ১১টার দিকে অপরিচিত এক পুরুষ লোক বাইরে থেকে নিপা নিপা নাম ধরে ডাকতে থাকে। লোকটি চলে যাবার পর নিপাকে শরীফ ঘুম থেকে তুলে তাকে ডাকার কারণ ও ওই লোকটির পরিচয় জানতে চাইলে নিপা শরীফের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে গালি দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এতে শরীফের মাথা গরম হয়ে যায়। এ কারণে রাত ১২টার দিকে শরীফ নিপার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সারারাত লাশের পাশে বসে থেকে ভোর হলে ঘর থেকে শরীফ বেরিয়ে আশুগঞ্জ বন্দরে গিয়ে খালাসির কাজ নেয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শরীফকে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে এই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হবে।