দূর্ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতেও সরকারে ভ্রুক্ষেপ নেই- মির্জা ফখরুল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ১৬ জন যাত্রীর প্রাণহানী হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। এই হৃদয় বিদারক ঘটনায় গভীর শোক ও দূঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই সরকারের আমলে তাদের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণেই মহাসড়ক-রেলপথ-নৌপথে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতেও কখনোই ভ্রুক্ষেপ করা হয় না বলে মন্তব্য করেন।

আজ এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের স্বজনদের মতো আমিও গভীরভাবে ব্যথিত, শোকাভিভূত ও উদ্বিগ্ন। বারবার ট্রেন দূর্ঘটনাসহ সড়ক ও নৌ দূর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের জীবনহানি ঘটলেও দূর্ঘটনার যথাযথ কারণ খতিয়ে দেখে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের শিথিলতার কারণেই দূর্ঘটনা এখন চরম মাত্রা লাভ করেছে। এই সরকারের আমলে তাদের উদাসীনতা ও অবহেলার কারণেই মহাসড়ক-রেলপথ-নৌপথে মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতেও কখনোই ভ্রুক্ষেপ করা হয় না। কারণ সরকার বিরোধী দলসহ গণতান্ত্রিক শক্তি দমনে যত তৎপর তার কিঞ্চিত পরিমানও জনদূর্ভোগ কমাতে উদ্যোগী নয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসনের বদলে একদলীয় শাসনের কারনেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি, অনাচার আর দুরাচারের প্রতাপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং লাশের সারি দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। সরকারের জবাবদিহীতা নেই বলেই মানুষের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি সবসময় অবহেলিত ও উপেক্ষিত থাকছে। এদেশের জনগণ এখন এক চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। বর্তমানে দেশের জনগণ শোক ও দু:খের মধ্যেই দিনযাপন করছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ১৬ জন যাত্রীর প্রাণহানী এবং অসংখ্য যাত্রী আহত হওয়ার মর্মস্পর্শী ঘটনায় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে তাদের পরিবার পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। দূর্ঘটনাস্থলে নিহতদের পরিবারদের সমবেদনা ও আহত যাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে ঐ এলাকার দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।