শেষের পাতা

শিক্ষা উপমন্ত্রীর প্রশ্ন

‘ভিসির পদত্যাগের মাধ্যমেই কি সব জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে?’

স্টাফ রিপোর্টার

১০ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে প্রশ্ন রেখে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, যারা এ দাবি নিয়ে মাঠে আছেন তাদের আবারো বলছি যে, আপনারা  যদি মনে করেন দাবির ভিত্তি আছে তাহলে সেটা নিয়ে না এসে শুধু ভিসির পদত্যাগকে মূখ্য কেন করছেন? ভিসির পদত্যাগের মাধ্যমেই কি সব জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে?
গতকাল রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন আছে। যারা শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত করার জন্য এমন হীন কার্যক্রম চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভিসি’র পদত্যাগের আন্দোলনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য বাস্তবায়ন হয়না। আমরা দেখেছি সব স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার দাবি যখন ভিসি পদত্যাগ করে তখন বন্ধ হয়ে যায়। সেই অভিযোগগুলো আর মাঠে থাকে না। এ প্রবণতা থেকে ধারণা করতে পারি যে, উদ্দেশ্য কি আসলেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য কি না? দুঃখের বিষয় জনগণের অর্থে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের নামে শিক্ষাবর্ষ নষ্ট ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে শঙ্কায় ফেলার অপচেষ্টা হচ্ছে।
উপমন্ত্রী বলেন, আমরা অভিযোগকারীদের কাছে তথ্য উপাত্ত চাওয়ার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক ঘণ্টার পথে অভিযোগ নিয়ে আসতে তাদের ৪ দিন কেন লেগেছে? স্বাভাবিক কারণেই মনে হয়েছে এ দেরি হওয়াটা দুরভিসন্ধিমূলক। অভিযোগ থাকবে, সেটা জমা হলে তদন্ত। কিন্তু তার আগেই গান-বাজনা-কনসার্ট করে আন্দোলন করছেন। গভীর রাতে তালাভাঙা, তালা লাগানো। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পরও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করে কি উদ্দেশ্যে সারারাত অবস্থান করা হচ্ছে? এটি জানতে চাই। তিনি আরো বলেন, তদন্ত করার জন্য অভিযোগ জমা দেয়ার আগে কনসার্টের অর্থ কোথা থেকে এলো সেটাও তদন্ত করা হবে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করবে এবং মিথ্যা অভিযোগ দেবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন আমাদের প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। কে কোথায় কার কাছ থেকে অর্থ সহযোগিতা নেয়ার পায়তারা করেছে সেগুলো আমরা জানতে পারি। কিন্তু অনেক সময় জাতীয় স্বার্থের কথা চিন্তা করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কথা চিন্তা করে ছাড় দেয়া হয়েছে। দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় বলা আছে, মিথ্যা অভিযোগ করলে দণ্ড পেতে হবে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল যারা মাঠের রাজনীতিতে তাদের অবস্থান জনগণের মধ্যে আস্থা আনতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বেছে নিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। আমরাও সহযোগিতা করেছি এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। তথাপি দেখা যাচ্ছে একটি পক্ষ সেখানে কনসার্ট আয়োজনের নামে, প্রতিদিন তালাভাঙা, তালা দেয়ার মতো অরাজকতা করছে। এ আন্দোলনকারীরা কিছুদিন আগে বলছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তথ্য উপাত্ত পেশ করবেন। পরে দেখা গেলো সেগুলো উপস্থাপন না করে পরিস্থিতি জটিল করতে গভীর রাতে ভিসি’র বাসভবনের সামনে একটি অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status