দেশ বিদেশ
বাবরি মসজিদ রায়ের প্রতিক্রিয়া
মানবজমিন ডেস্ক
১০ নভেম্বর ২০১৯, রবিবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
অযোধ্যার রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার চূড়ান্ত রায়ে ওই ভূমিতে রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। রায়ে সুন্নি বোর্ডকে অযোধ্যারই গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানে ৫ একর জমি প্রদানের নির্দেশও দেয়া হয়েছে। অপরদিকে রাম মন্দিরের ২.৭৭ একর জমি ট্রাস্টের অধীনে যাবে বলে রায় দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ঐতিহাসিক এ রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠী।
অযোধ্যার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় ভারতের আইনশাস্ত্রের একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হলো। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা একটি বিতর্কিত ইস্যুর অবসান রচনা করায় আদালতের প্রশংসা করেন তিনি। ভারতীয় প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগের উপর জনগণের আস্থা আবারো ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এতে জয়-পরাজয় না ভেবে শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলতে হবে।
বাবরি মসজিদের রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। রায় ঘোষণার পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ কুরেশি এর সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বলেছেন, বাবরি মসজিদ নিয়ে এ রায় ভারতের ধর্মান্ধ আদর্শের প্রতিফলন। ভারতে মুসলিমরা এমনিতেই চাপে রয়েছেন। এ রায়ের ফলে তাদের উপর চাপ আরো বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এমন এক সময় এই রায় ঘোষণা করা হলো যখন কর্তারপুর করিডোর ঘিরে দুই দেশের মধ্যে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কুরেশি তাই এই সময়ে রায় ঘোষণাকে অসংবেদনশীল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আরএসএসের প্রধান মোহন ভগবত রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই রায়ের পর কারো পরাজয় বা বিজয়ের দিকে নজর দেয়া উচিত নয়। বরং এমন কিছু ভাবতে হবে যা দেশের ঐক্যকে জোরদার করে। তিনি দাবি করেন, আরএসএসের অযোধ্যা নিয়ে আন্দোলন ঐতিহাসিক পটভূমি ছিল। এখন আমরা আমাদের মানুষ তৈরির মিশনে ফিরে যাব।
জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি অযোধ্যা রায়কে স্বাগত জানিয়ে এই বিষয়ে আর কোনো নতুন ইস্যু উঠবে না বলে আশা প্রকাশ করেছে। দলটি বলছে, বিতর্কিত স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের পথ পরিষ্কার হওয়ার পর আশা করি ধর্মের নামে নতুন কোনো বিতর্ক ছড়াবে না দেশে। দলের প্রধান মুখপাত্র নবাব মালিক বলেছেন, প্রথম থেকেই আমাদের অবস্থান ছিল যে আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নেব এবং সবারই তা গ্রহণ করা উচিত। আশা করি ধর্মের নামে দেশে আর কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হবে না।
এদিকে, অযোধ্যা রায়কে স্বাগত জানিয়ে জনগণকে নিজেদের মধ্যকার সুসম্পর্ক ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। প্রত্যেকের উচিত দেশের ঐক্য ও সুসম্পর্কের পক্ষে সমর্থন দেয়া। উত্তর প্রদেশে সরকার শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
এ ছাড়া রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির সহসভাপতি শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান করা এবং স্বাগত জানানো উচিত। আসুন আমরা সবাই কোর্টের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং স্বাগত জানাই। তিনি এই রায়ে কেউ হারেনি মন্তব্য করে বলেন, আমাদের দেশ সর্বদা বিশ্বকে শান্তির বার্তা দিয়েছে। আমি দেশ ও সকল জনগণকে ঐক্য, ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য আহ্বান করছি।
অযোধ্যার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় ভারতের আইনশাস্ত্রের একটি মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হলো। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা একটি বিতর্কিত ইস্যুর অবসান রচনা করায় আদালতের প্রশংসা করেন তিনি। ভারতীয় প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগের উপর জনগণের আস্থা আবারো ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এতে জয়-পরাজয় না ভেবে শান্তি ও সম্প্রীতির কথা বলতে হবে।
বাবরি মসজিদের রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। রায় ঘোষণার পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ কুরেশি এর সমালোচনা করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বলেছেন, বাবরি মসজিদ নিয়ে এ রায় ভারতের ধর্মান্ধ আদর্শের প্রতিফলন। ভারতে মুসলিমরা এমনিতেই চাপে রয়েছেন। এ রায়ের ফলে তাদের উপর চাপ আরো বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এমন এক সময় এই রায় ঘোষণা করা হলো যখন কর্তারপুর করিডোর ঘিরে দুই দেশের মধ্যে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কুরেশি তাই এই সময়ে রায় ঘোষণাকে অসংবেদনশীল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আরএসএসের প্রধান মোহন ভগবত রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এই রায়ের পর কারো পরাজয় বা বিজয়ের দিকে নজর দেয়া উচিত নয়। বরং এমন কিছু ভাবতে হবে যা দেশের ঐক্যকে জোরদার করে। তিনি দাবি করেন, আরএসএসের অযোধ্যা নিয়ে আন্দোলন ঐতিহাসিক পটভূমি ছিল। এখন আমরা আমাদের মানুষ তৈরির মিশনে ফিরে যাব।
জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি অযোধ্যা রায়কে স্বাগত জানিয়ে এই বিষয়ে আর কোনো নতুন ইস্যু উঠবে না বলে আশা প্রকাশ করেছে। দলটি বলছে, বিতর্কিত স্থানে রাম মন্দির নির্মাণের পথ পরিষ্কার হওয়ার পর আশা করি ধর্মের নামে নতুন কোনো বিতর্ক ছড়াবে না দেশে। দলের প্রধান মুখপাত্র নবাব মালিক বলেছেন, প্রথম থেকেই আমাদের অবস্থান ছিল যে আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নেব এবং সবারই তা গ্রহণ করা উচিত। আশা করি ধর্মের নামে দেশে আর কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হবে না।
এদিকে, অযোধ্যা রায়কে স্বাগত জানিয়ে জনগণকে নিজেদের মধ্যকার সুসম্পর্ক ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানাই। প্রত্যেকের উচিত দেশের ঐক্য ও সুসম্পর্কের পক্ষে সমর্থন দেয়া। উত্তর প্রদেশে সরকার শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
এ ছাড়া রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির সহসভাপতি শিবরাজ সিং চৌহান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান করা এবং স্বাগত জানানো উচিত। আসুন আমরা সবাই কোর্টের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি এবং স্বাগত জানাই। তিনি এই রায়ে কেউ হারেনি মন্তব্য করে বলেন, আমাদের দেশ সর্বদা বিশ্বকে শান্তির বার্তা দিয়েছে। আমি দেশ ও সকল জনগণকে ঐক্য, ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার জন্য আহ্বান করছি।