বাংলারজমিন

বিদেশে পাঠানোর নামে ভগ্নিপতিকে হত্যা করে লাশ গুমের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে

৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৭:০৭ পূর্বাহ্ন

 খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন মিস্ত্রিপাড়া রোকন উদ্দিন সড়কে আপন ভগ্নিপতিকে বিদেশে পাঠানোর নামে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ৩২ বছর পর নিখোঁজ মো. হেমায়েত হোসেনের (৬১) স্ত্রী মোসা. হোসনে আরা বেগম আদালতে লিখিত আরজি দাখিল করেছেন (সিআর-১২০৪/১৯)। আদালত বাদীর অভিযোগের শুনানির পর ঘটনা তদন্ত ও প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
লিখিত আরজিতে অভিযুক্তরা হলেন, বাদীর আপন ভাই সদর থানাধীন মিস্ত্রিপাড়া ৩১/১ রোকন উদ্দিন সড়কের মৃত মহব্বত আলী হাওলাদারের ছেলে এম এ বারী (৬৬) ও তার স্ত্রী কোহিনূর বারী (৫৬)। খুলনা মহানগর হাকিমের আমলী আদালত ‘ক’ অঞ্চলে গত ২২শে অক্টোবর মোসা. হোসনেয়ারা বেগমের লিখিত আরজিতে উল্লেখ করেছেন, হেমায়েত হোসেনের সাথে তার বিয়ের পর তারা পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় বসবাস করতেন। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারি মাসে হোসনেয়ারার বড় ভাই এমএ বারী হাওলাদার তার স্বামী হেমায়েত হোসেনকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে পিরোজপুর থেকে ডেকে আনেন। এরপর থেকেই হোসনেয়ারা ভাইয়ের কাছে স্বামীর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাকে বলা হতো তোমার স্বামীকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে হোসনেয়ারাকে নানাভাবে সান্ত্বনা দিতো তার বড় ভাই এমএ বারী হাওলাদার।
এদিকে বাদী হোসনেয়ারা বেগমের অপর ভাই এমএ আলম দীর্ঘদিন প্রবাস জীবনের পর গত ২০১৮ সালের নভেম্বরে দেশে আসেন। পরে তিনি বাড়ির আলমারীতে জায়গা-জমির কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে একটি দলিল হাতে পান। ওই দলিলে বড় ভাই এমএ বারী হাওলাদার ও তার বোনের স্বামী মো. হেমায়েত হোসেনের নামে মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় যৌথ মালিকানায় আড়াই কাঠার একটি জমি ক্রয় করেছেন। তিনি ওই দলিলের কপি নিয়ে খুলনার ভূমি রেকর্ড অফিসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখেন তার বড় ভাই এমএ বারী উক্ত যৌথ মালিকানাধীন জমি নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। পরবর্তীতে সকল ভাই বোন একসঙ্গে বড় ভাই এমএ বারী হাওলাদরের বাসায় গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘হেমায়েতের কপালে মাটি জোটেনি’ এ বিষয়ে কথা বললে তোদেরও একই অবস্থা হবে’। এরপর তারা ৩২ বছর ধরে হেমায়েত হোসেনের নিখোঁজের রহস্য বুঝতে পারেন।
আরজির ফাইলিং আইনজীবী শেখ ফারুক আহমেদ জানান, বাদী দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে তার স্বামী (ভিকটিমের) নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন। তিনি তার স্বামীর নিখোঁজের বিষয় ও কারণ জানতে পেরে দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩০২, ৪২০, ৩৬৪, ১২০(খ) ও ৩৪ ধারায় গত ২২শে অক্টোবর আদালতে লিখিত আরজি দাখিল করেন। আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status