বাংলারজমিন

লক্ষ্মীপুরে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে অনিয়ম

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

৯ নভেম্বর ২০১৯, শনিবার, ৬:৩৭ পূর্বাহ্ন

ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে লক্ষ্মীপুরে রামগতিতে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। হতদরিদ্ররা বলছেন, ঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের উপকরণ। যাদের জন্য ঘর বরাদ্দ, তাদের না দিয়ে প্রতিঘর ১০/১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে তার পরিষদের এক ইউপি সদস্য। তবে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এ দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, যদি কেউ ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা আদায় করার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তদন্ত করে নেয়া হবে ব্যবস্থা। টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এটি লক্ষ্মীপুরের রামগতির তেলিরচর এলাকায়। উপজেলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি দ্বীপ অঞ্চল। ভূমি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নির্মিত গুচ্ছ গ্রামের দুটি প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর হলেও অন্য প্রকল্পের ঘরগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হয়নি এখনও। তবে তার আগেই নড়ে গেছে ভিটে, মরিচা ধরেছে চালে। ঘর নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের উপকরণ। এ ছাড়া বসানোর পর মাঠির নিচ থেকে উঠে গেছে দুইটি নলকুপ। এমন দৃশ্য লক্ষ্মীপুরের রামগতির উপজেলার চর আবদুল্লাহর তেলিরচর এলাকার দুটি গুচ্ছ গ্রামের নবনির্মিত ঘরের। ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮-১৯ অর্থবছরে দুটি গুচ্ছ গ্রামে ৬০ ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেয় প্রায় ৯০ লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, সম্পূর্ণ নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই ঘর নির্মাণ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন। গুচ্ছগ্রামের ঘরগুলো পাওয়ার কথা যাদের, তাদের না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজে ১০/১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় হতদরিদ্ররা। টাকা না দিলে দেয়া হচ্ছে না ঘর। এছাড়া নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান এলাবাসী।

এ দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ উল্যাহ টিপু অভিযোগ করে বলেছেন, ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন প্রতিটি ঘর অসহায় লোকদের না দিয়ে নিজের প্রচন্দের লোকজনের কাছে ১০/১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বরং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন।

তবে চরআবদুল্লাহ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলছেন, ঘরগুলো নির্মাণে কোন অনিয়ম হয়নি। প্রতিপক্ষরা ঘর না পাওয়া ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলছে। এদিকে, রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মোমিন বলছেন, যদি কেউ ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা আদায় করার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে নেয়া হবে ব্যবস্থা। টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status