বিশ্বজমিন
১৬ সহকর্মীকে হত্যা করে দ. কোরিয়ায় পালায় উ. কোরিয়ার দুই জেলে
মানবজমিন ডেস্ক
৮ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
উত্তর কোরিয়া থেকে প্রায়ই মানুষ পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিতে চায়। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় সবাইকেই মানবিক দিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়ে থাকে। এমনই দুজন জেলে সমপ্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমায় ঢুকে পড়ে এবং দেশটিতে আশ্রয় প্রার্থনা করে। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, তারা এই যাত্রাপথে সঙ্গে থাকা অন্তত ১৬ সহকর্মীকে হত্যা করেছে। বিষয়টি তারা স্বীকার করায় তাদেরকে আশ্রয় না দিয়ে উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়া হয়। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, শনিবার ওই দুইজন জেলে দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমা থেকে আটক হন। এরপর তাদেরকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আর এতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। জানা যায়, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় তারা বোটের ক্যাপ্টেনকে হত্যা করে। এরপর বোটে থাকা ক্রুদের যারাই এর প্রতিবাদ করেছে তাদেরকেই এক এক করে হত্যা করে তারা। মৃতদেহগুলো বোটেই রাখা ছিল।
ঘটনার বিবরণ জানার পর দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দেশত্যাগী হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে সাব্যস্ত করে উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়। এর পূর্বে তাদের আরেক সহযোগীকে উত্তর কোরিয়ার পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আটক দুজনকে পরবর্তীতে সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজম দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এটাই এই সীমান্ত দিয়ে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে কাউকে ফেরত পাঠানোর প্রথম ঘটনা। দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই।
উত্তর কোরিয়া থেকে প্রায়ই এমন অনেক মানুষ পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে আসে। সিউলের হিসাবে, শুধু ২০১৭ সালেই এমন ১১২৭ জন দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে প্রথমে সরকার পরিচালিত পুনঃশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রাখা হয়। তারপর তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মুক্ত করে দেয়া হয়।
খবরে বলা হয়, শনিবার ওই দুইজন জেলে দক্ষিণ কোরিয়ার জলসীমা থেকে আটক হন। এরপর তাদেরকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আর এতেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। জানা যায়, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় তারা বোটের ক্যাপ্টেনকে হত্যা করে। এরপর বোটে থাকা ক্রুদের যারাই এর প্রতিবাদ করেছে তাদেরকেই এক এক করে হত্যা করে তারা। মৃতদেহগুলো বোটেই রাখা ছিল।
ঘটনার বিবরণ জানার পর দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দেশত্যাগী হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে সাব্যস্ত করে উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়। এর পূর্বে তাদের আরেক সহযোগীকে উত্তর কোরিয়ার পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আটক দুজনকে পরবর্তীতে সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজম দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এটাই এই সীমান্ত দিয়ে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরে কাউকে ফেরত পাঠানোর প্রথম ঘটনা। দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই।
উত্তর কোরিয়া থেকে প্রায়ই এমন অনেক মানুষ পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে আসে। সিউলের হিসাবে, শুধু ২০১৭ সালেই এমন ১১২৭ জন দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরকে প্রথমে সরকার পরিচালিত পুনঃশিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে রাখা হয়। তারপর তাদেরকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মুক্ত করে দেয়া হয়।