শেষের পাতা
নারায়ণগঞ্জে টাকার ওপর ডিবি কর্মকর্তার ঘুম, ছবি ভাইরাল
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
৭ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এস আই আরিফ। হাইয়েস মাইক্রোবাসের ভেতরে সিটে হেলান দিয়ে ক্লান্ত দেহে হেলে পড়েছেন টাকার ব্যান্ডিলের ওপর। কখন ঘুমিয়ে গেছেন খেয়াল নেই, বেরসিক পাবলিক ওই অবস্থায় তাকে ক্যামেরাবন্দি করেন। বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ-সিদ্ধিরগঞ্জ সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার রাস্তার পাশে থামিয়ে রাখা মাইক্রোবাসের ভেতরে এসআই আরিফকে টাকার বেশ কয়েকটি ব্যান্ডিলের ওপর ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়। ইতিমধ্যে বুধবার সকাল থেকে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ডিবি পুলিশের এসআই আরিফ নারায়ণগঞ্জের সদ্য বিদায়ী পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের ঘনিষ্ঠ বলে নারায়ণগঞ্জে পরিচিত।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এসআই আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু না জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে ‘স্যার’ জানেন। কোন ‘স্যার’ জানতে চাইলে তিনি আবারও ‘স্যার’ জানেন বলে ফোন কেটে দেন। এদিকে ছবিটি প্রকাশ পাওয়ার পর তোলপাড় চলছে জেলা পুলিশের ভেতর। আলোচিত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের বদলি অর্ডারের পর তার বিদায় বেলায় টাকার উপর ঘুমিয়ে থাকা ডিবি কর্মকর্তার ছবি নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
ওদিকে বর্তমান সময়ে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে নিরপরাধ মানুষকে তুলে এনে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতদিন কেউ সাহস করে না বললেও ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তার টাকার উপর ঘুমিয়ে থাকার ছবি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই গণমাধ্যম কর্মীদের ফোন করে তাদের সঙ্গে ডিবি পুলিশের আচরণ তুলে ধরেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা নাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন এসআই আরিফের টিম। গতকাল সকালে ক্লান্ত হয়ে গাড়ির ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়েন আরিফ। ওই সময় বেশ কয়েকটি টাকার ব্যান্ডিল (যাতে এক হাজার ও পাঁচশ টাকার ব্যান্ডিল ছিল) আরিফের পেটের কাছ থেকে বেরিয়ে থাকতে দেখা যায়। এর পাশেই তার সরকারি ওয়াকিটকি এবং দু’টি দামি মোবাইল ফোন দেখা গেছে। ওই সময় তার টিমের সদস্যরা পাশের একটি দোকানে চা খাচ্ছিলেন। যে ব্যক্তি এ ছবি তুলেছেন তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, ডিবি পুলিশ এমন কোন রাত নেই যে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে না। নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, অতীতে তিনিও ডিবি পুলিশের হেনস্তার শিকার হয়েছেন। মোটা অংকের টাকা দিয়েই তিনি রক্ষা পান। গতকাল সকালে তিনি ডিবি পুলিশ লেখা হাইয়েস মাইক্রোবাসের পাশ দিয়ে যাবার সময় দেখেন যে গাড়ির ভেতরে এক ব্যক্তি টাকার উপর ঘুমিয়ে আছেন। ওয়াকিটকি এবং বাংলাদেশ পুলিশ লেখা একটি ফাইল দেখে তিনি নিশ্চিত হন এরা পুলিশের লোক। তাই তিনি ছবিটি তুলে নিয়ে আসেন। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ছবিটি দেয়ার পর তারা গাড়িতে থাকা ব্যক্তি ডিবি পুলিশের এসআই আরিফ বলে সনাক্ত করেন।
এই আরিফের বিরুদ্ধে গত ৪ঠা অক্টোবর ফতুল্লার পঞ্চবটির হরিহর পাড়ায় অবস্থিত ইউনাইটেড ক্লাবে হানা দিয়ে ক্লাবের সভাপতি শিল্পপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপুসহ ৭ জনকে অহেতুক ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কোন অন্যায় না করলেও তাদের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ৩০ লাখ টাকা আদায় করে আরিফ। এরপর জুয়া আইনে মামলা দিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত থেকে তারা ২০০ টাকা জরিমানা দিয়ে জামিন পান।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার প্রমাণ হিসেবে এ ঘটনার ছবি দেখতে চান। তার কাছে ছবি পাঠালে ছবি দেখে তিনি বলেন, টাকার উৎস সম্পর্কে তদন্ত করা হবে। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এসআই আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু না জানিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে ‘স্যার’ জানেন। কোন ‘স্যার’ জানতে চাইলে তিনি আবারও ‘স্যার’ জানেন বলে ফোন কেটে দেন। এদিকে ছবিটি প্রকাশ পাওয়ার পর তোলপাড় চলছে জেলা পুলিশের ভেতর। আলোচিত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের বদলি অর্ডারের পর তার বিদায় বেলায় টাকার উপর ঘুমিয়ে থাকা ডিবি কর্মকর্তার ছবি নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
ওদিকে বর্তমান সময়ে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে নিরপরাধ মানুষকে তুলে এনে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতদিন কেউ সাহস করে না বললেও ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তার টাকার উপর ঘুমিয়ে থাকার ছবি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই গণমাধ্যম কর্মীদের ফোন করে তাদের সঙ্গে ডিবি পুলিশের আচরণ তুলে ধরেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা নাম প্রকাশ থেকে বিরত থাকেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন এসআই আরিফের টিম। গতকাল সকালে ক্লান্ত হয়ে গাড়ির ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়েন আরিফ। ওই সময় বেশ কয়েকটি টাকার ব্যান্ডিল (যাতে এক হাজার ও পাঁচশ টাকার ব্যান্ডিল ছিল) আরিফের পেটের কাছ থেকে বেরিয়ে থাকতে দেখা যায়। এর পাশেই তার সরকারি ওয়াকিটকি এবং দু’টি দামি মোবাইল ফোন দেখা গেছে। ওই সময় তার টিমের সদস্যরা পাশের একটি দোকানে চা খাচ্ছিলেন। যে ব্যক্তি এ ছবি তুলেছেন তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, ডিবি পুলিশ এমন কোন রাত নেই যে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে না। নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, অতীতে তিনিও ডিবি পুলিশের হেনস্তার শিকার হয়েছেন। মোটা অংকের টাকা দিয়েই তিনি রক্ষা পান। গতকাল সকালে তিনি ডিবি পুলিশ লেখা হাইয়েস মাইক্রোবাসের পাশ দিয়ে যাবার সময় দেখেন যে গাড়ির ভেতরে এক ব্যক্তি টাকার উপর ঘুমিয়ে আছেন। ওয়াকিটকি এবং বাংলাদেশ পুলিশ লেখা একটি ফাইল দেখে তিনি নিশ্চিত হন এরা পুলিশের লোক। তাই তিনি ছবিটি তুলে নিয়ে আসেন। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ছবিটি দেয়ার পর তারা গাড়িতে থাকা ব্যক্তি ডিবি পুলিশের এসআই আরিফ বলে সনাক্ত করেন।
এই আরিফের বিরুদ্ধে গত ৪ঠা অক্টোবর ফতুল্লার পঞ্চবটির হরিহর পাড়ায় অবস্থিত ইউনাইটেড ক্লাবে হানা দিয়ে ক্লাবের সভাপতি শিল্পপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপুসহ ৭ জনকে অহেতুক ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কোন অন্যায় না করলেও তাদের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ৩০ লাখ টাকা আদায় করে আরিফ। এরপর জুয়া আইনে মামলা দিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত থেকে তারা ২০০ টাকা জরিমানা দিয়ে জামিন পান।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার প্রমাণ হিসেবে এ ঘটনার ছবি দেখতে চান। তার কাছে ছবি পাঠালে ছবি দেখে তিনি বলেন, টাকার উৎস সম্পর্কে তদন্ত করা হবে। তদন্তে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।