খেলা
বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শুরু সন্ধ্যা ৭:৩০
সিরিজ জয়ে চোখ বাংলাদেশের
স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশের তিন তরুণ তারকা আফিফ, নাঈম শেখ ও বিপ্লব
দিল্লিতে প্রতিকূল পরিবেশে হাজার হাজার দর্শকের চাপ সামলে ভারতকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও জয়ের স্বপ্ন দেখছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের দল। রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নিজেদের সেরাটা খেলে ইতিহাস গড়তে প্রস্তুত বাংলাদেশ। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ বলেন, ‘ভারত ঘরের মাঠে কতটা শক্তিশালী, তা গত কয়েক বছরেই প্রমাণ করেছে। সিরিজ জিতলে আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে। প্রথম ম্যাচের জয় আমাদের বাড়তি প্রেরণা দেবে। তবে এটা নিয়ে বসে থাকছি না। কালকের (আজ) ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছি। অনুশীলনে নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছে সবাই। কালও দলীয় প্রচেষ্টায় জয় তুলে নিতে চাই।’ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। সরাসরি দেখাবে গাজী টিভি, চ্যানেল নাইন ও স্টার স্পোর্টস।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৭ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের জন্য আজকের ম্যাচটি বাঁচা-মরার। যদিও ভারতীয় লেগস্পিনার যুজব্রেন্দ চাহাল মঙ্গলবার জানান, তারা কোনো চাপ নিচ্ছেন না। তবে মাহমুদুল্লাহ বলছেন, ‘দু’দলই চাপে থাকবে। যারা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকবে।’ এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কাছে টানা ৮ ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও গত বছরের নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাগে পেয়েও ভারতকে হারাতে পারেনি টাইগাররা। দিল্লিতে নবম সাক্ষাতে ব্যর্থতার বৃত্তটা ভাঙলো। এ নিয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘গত জয়ের পর এই ব্যাপারটা (মানসিক বাধা) হতে কিছুটা হলেও সরে আসবো আমরা। টি-টোয়েন্টিতে এমন পরিস্থিতি (ম্যাচের শেষদিকে জয়ের জন্য লড়াই) অনেক সময়ই আসবে।
কতোটা শান্ত থেকে আমরা আমাদের সামর্থ্যের প্রয়োগ ঘটাতে পারি ও জয়ের জন্য লড়াই করি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আলোচনায় রাজকোটের পিচ। প্রথম ম্যাচের ভেন্যু দিল্লির অরুণ জেটলি (সাবেক ফিরোজ শাহ কোটলা) স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল ধীরগতির। তবে ধারণা করা হচ্ছে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে প্রচুর রান হবে। অতীতে এ ভেন্যুতে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই ম্যাচেই ভালো রান দেখা গেছে। রাজকোটে কখনো খেলা হয়নি বাংলাদেশের। তবে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবেই দেখছেন মাহমুদুল্লাহ।
বাংলাদেশি অধিনায়ক বলেন, ‘আমি উইকেটের পরিসংখ্যান দেখছিলাম। মনে হলো এটা ব্যাট করার জন্য ভালো উইকেট হবে। হয়তো এটা ১৭০-১৮০ রানের পিচ। কাল আমাদের উইকেট আরও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। দিল্লির থেকে এখানকার উইকেটে আলাদা। তাই পরিস্থিতি ও কন্ডিশনর বুঝে আমাদের ম্যাচ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। হারি কিংবা জিতি আমাদের মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ- এটা শুরু থেকেই বলছি।’ দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের টিম কম্বিনেশন কেমন হবে? মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘সেরা কম্বিনেশন নিয়েই আমরা নামবো। সবকিছু উইকেটের ওপর নির্ভর করছে। উইকেট শুকনো থাকলে একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। আপাতত উইনিং কম্বিনেশনই থাকার চেষ্টা।’
দিল্লিতে বাজে ফিল্ডিং ডোবায় ভারতকে। মাহমুদুল্লাহ ফিল্ডিংটাকেও ব্যাটিং-বোলিংয়ের সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ফিল্ডিংয়ে আমরা গুরুত্ব বেশি দিচ্ছি। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছেন যেন আমর নিজেদের সেরাটা দিয়ে একটা ভালো ফিল্ডিং সাইডে পরিণত হতে পারি। এজন্যই পরিশ্রম করা।’
প্রথম ম্যাচে অভিষিক্ত ওপেনার নাঈশ শেখ একটা ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। মিডল ওভারে অফস্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুব আটকে রাখেন ভারতের রানের চাকা। একটি উইকেটও নেন আফিফ। এ তিন তরুণের প্রতি আস্থা রয়েছে মাহমদুল্লাহ রিয়াদের। রিয়াদ বলেন, আফিফ, নাঈম, বিপ্লব তিনজনই প্রতিভাবান ক্রিকেটারা। নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে তারা। আশা করি, পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত রাখবে এ তিন তরুণ।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৭ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের জন্য আজকের ম্যাচটি বাঁচা-মরার। যদিও ভারতীয় লেগস্পিনার যুজব্রেন্দ চাহাল মঙ্গলবার জানান, তারা কোনো চাপ নিচ্ছেন না। তবে মাহমুদুল্লাহ বলছেন, ‘দু’দলই চাপে থাকবে। যারা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকবে।’ এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের কাছে টানা ৮ ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও গত বছরের নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাগে পেয়েও ভারতকে হারাতে পারেনি টাইগাররা। দিল্লিতে নবম সাক্ষাতে ব্যর্থতার বৃত্তটা ভাঙলো। এ নিয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘গত জয়ের পর এই ব্যাপারটা (মানসিক বাধা) হতে কিছুটা হলেও সরে আসবো আমরা। টি-টোয়েন্টিতে এমন পরিস্থিতি (ম্যাচের শেষদিকে জয়ের জন্য লড়াই) অনেক সময়ই আসবে।
কতোটা শান্ত থেকে আমরা আমাদের সামর্থ্যের প্রয়োগ ঘটাতে পারি ও জয়ের জন্য লড়াই করি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আলোচনায় রাজকোটের পিচ। প্রথম ম্যাচের ভেন্যু দিল্লির অরুণ জেটলি (সাবেক ফিরোজ শাহ কোটলা) স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল ধীরগতির। তবে ধারণা করা হচ্ছে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে প্রচুর রান হবে। অতীতে এ ভেন্যুতে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই ম্যাচেই ভালো রান দেখা গেছে। রাজকোটে কখনো খেলা হয়নি বাংলাদেশের। তবে ব্যাটিংবান্ধব উইকেটকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবেই দেখছেন মাহমুদুল্লাহ।
বাংলাদেশি অধিনায়ক বলেন, ‘আমি উইকেটের পরিসংখ্যান দেখছিলাম। মনে হলো এটা ব্যাট করার জন্য ভালো উইকেট হবে। হয়তো এটা ১৭০-১৮০ রানের পিচ। কাল আমাদের উইকেট আরও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। দিল্লির থেকে এখানকার উইকেটে আলাদা। তাই পরিস্থিতি ও কন্ডিশনর বুঝে আমাদের ম্যাচ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। হারি কিংবা জিতি আমাদের মানসিকভাবে ইতিবাচক থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ- এটা শুরু থেকেই বলছি।’ দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের টিম কম্বিনেশন কেমন হবে? মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘সেরা কম্বিনেশন নিয়েই আমরা নামবো। সবকিছু উইকেটের ওপর নির্ভর করছে। উইকেট শুকনো থাকলে একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে। আপাতত উইনিং কম্বিনেশনই থাকার চেষ্টা।’
দিল্লিতে বাজে ফিল্ডিং ডোবায় ভারতকে। মাহমুদুল্লাহ ফিল্ডিংটাকেও ব্যাটিং-বোলিংয়ের সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ফিল্ডিংয়ে আমরা গুরুত্ব বেশি দিচ্ছি। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছেন যেন আমর নিজেদের সেরাটা দিয়ে একটা ভালো ফিল্ডিং সাইডে পরিণত হতে পারি। এজন্যই পরিশ্রম করা।’
প্রথম ম্যাচে অভিষিক্ত ওপেনার নাঈশ শেখ একটা ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। মিডল ওভারে অফস্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুব আটকে রাখেন ভারতের রানের চাকা। একটি উইকেটও নেন আফিফ। এ তিন তরুণের প্রতি আস্থা রয়েছে মাহমদুল্লাহ রিয়াদের। রিয়াদ বলেন, আফিফ, নাঈম, বিপ্লব তিনজনই প্রতিভাবান ক্রিকেটারা। নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে তারা। আশা করি, পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত রাখবে এ তিন তরুণ।