খেলা
মোহামেডান ঘুরে দাঁড়ালেও এখনো সংকটে আরামবাগ ও ওয়ান্ডারার্স
স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো চালিয়ে দেশ ছাড়া আরামবাগ ক্রীড়া চক্রের সভাপতি মুমিনুল হক সাঈদ। একই অপরাধে মোহামেডানের ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ রয়েছেন কারাগারে। তবে লোকমানের অবর্তমানে সাবেক ফুটবলাররা মোহামেডানের হাল ধরলেও ক্লাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকারে আরামবাগের কর্মকর্তারা। প্রথম বিভাগে রানার্সআপ হয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে উত্তীর্ণ হওয়া ওয়ান্ডারার্সও ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।
দল বদলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে ঘর প্রায় গুছিয়ে এনেছিল আরামবাগ ক্রীড়াচক্র। তারাই এখন অংশ নিতে পারছে না আসন্ন প্রিমিয়ার লীগে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানায়নি ক্লাবটি। তবে আগে চুক্তি করা ফুটবলারদের কাছ থেকে ফেরত নেয়া হচ্ছে টাকা। ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় থাকা ফুটবলাররা এরইমাঝে যোগ দিচ্ছেন নতুন দলে। দলটির কোচ মারুফুল হকও চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে পাকা কথা দিয়েছেন। প্রিমিয়ার লীগে অংশ না নিলেও ক্লাবটির চাওয়া তাদের যেনো রেলিগেটেড না করা হয়। আরামবাগের চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে মোহামেডান। ক্যাসিনো কাণ্ডে ঐতিহ্য হারিয়ে ধুকতে থাকা ক্লাবটির হাল ধরেছেন সাবেক ফুটবলাররা। বাদল রায়, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, সাঈদ হাসান কানন, রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির, ইমতিয়াজ আহমেদ নকীবরা ক্লাবের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, সারোয়ার হোসেন এবং আবদুর রব মাহবুবদের নিয়ে আগামী মৌসুমের দল গঠনের চেষ্টা করছেন। আছেন আরেক সাবেক পরিচালক মোস্তাকুর রহমানও।
গতবারের দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কেই ছেড়ে দিয়েছে মোহামেডান। মাত্র ৭ জন পুরনো মুখ এবার দেখা যাবে ক্লাবটিতে। তারা হলেন- গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু, ডিফেন্ডার শ্যামল বেপারী, সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হাবিবুর রহমান সোহাগ, আমির হাকিম বাপ্পী, মো. মিঠু, অনীক ঘোষ ও ইউসুফ সিফাত। বাকি সবই নতুন ও তরুণ। মোহামেডান ফুটবল দল তারুণ্যের পাখায় উড়েই ঘুরে দাঁড়াতে চায়। ইতিমধ্যে স্থানীয় ২৬ জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে ক্লাবটি। তাদের নিয়ে আগামী সপ্তাহেই অনুশীলন শুরু করার কথা। গতবারের অস্ট্রেলিয়ান কোচ শেন লিন এবারও থাকছেন। আজ তার ঢাকায় আসার কথা জানানো হয়েছে ক্লাব থেকে। তার সঙ্গে থাকছেন ব্রিটিশ ট্রেনার জেমস। গত মৌসুমে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘে খেলা গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেলই হবেন এবারের মোহামেডান দলে স্থানীয়দের মধ্যে চেনা মুখ। নতুন যারা যোগ দিচ্ছেন মোহামেডানে তারা হলেন- আরামবাগের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল, বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার সোহানুর রহমান, নোফেলের ডিফেন্ডার ফরহাদ মনা, শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সজীব, চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার শাহেদ হোসেন, আরামবাগের ডিফেন্ডার আতিকুজ্জামান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডিফেন্ডার হুমায়ুন কবির খান, গোলরক্ষক জসিম উদ্দিন, শেখ রাসেলের মিডফিল্ডার রুম্মন হোসেন, নোফেলের ডিফেন্ডার মাসুদ রানা মৃধা, কামরুল ইসলাম, সকার ক্লাবের ডিফেন্ডার ইমন খান, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মিডফিল্ডার কবির, মুক্তিযোদ্ধার মিডফিল্ডার রাকিব খান ইভান, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ফরোয়ার্ড ওসাই মং মারমা, চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার অনিক হোসেন, ভিক্টোরিয়ার মিডফিল্ডার আবিদ হোসেন সাইফ, শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার ফরহাদুজ্জামান বাবু ও টিম বিজেএমসির সাব্বির আহমেদ সুমন। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে গত মৌসুমে খেলে যাওয়া মালির ওমসান ও সোলেমান এবং জাপানের মিডফিল্ডার উরু এবারও থাকছেন। নতুন আসার কথা দুই নাইজেরিয়ান ফুটবলার স্ট্যানলি আমাদি ও ওবি ওবি চুকু ।
এদিকে প্রথম বিভাগে রানার্সআপ হয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে উত্তীর্ণ হয়ে বিপদেই পড়েছে ওয়ান্ডারার্স। ক্লাবটির এক কর্মকর্তা জানান, আমরা বরাবরই ক্লাবে এসব অবৈধ ক্যাসিনোর বিরোধিতা করেছি। তাই ক্লাবে জায়গা পাইনি। তারপরেও দুর্যোগের মুহূর্তে ক্লাবটির পাশে দাঁড়িয়ে প্রথম বিভাগে রানার্সআপ করেছি। কিন্তু আসন্ন চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে কিভাবে দল গড়বো সেটা বলতে পারছি না। যারা ক্লাবে এসব অবৈধ কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এখন তাদেরও দেখা পাচ্ছি না।
দল বদলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে ঘর প্রায় গুছিয়ে এনেছিল আরামবাগ ক্রীড়াচক্র। তারাই এখন অংশ নিতে পারছে না আসন্ন প্রিমিয়ার লীগে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানায়নি ক্লাবটি। তবে আগে চুক্তি করা ফুটবলারদের কাছ থেকে ফেরত নেয়া হচ্ছে টাকা। ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় থাকা ফুটবলাররা এরইমাঝে যোগ দিচ্ছেন নতুন দলে। দলটির কোচ মারুফুল হকও চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে পাকা কথা দিয়েছেন। প্রিমিয়ার লীগে অংশ না নিলেও ক্লাবটির চাওয়া তাদের যেনো রেলিগেটেড না করা হয়। আরামবাগের চেয়ে কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে মোহামেডান। ক্যাসিনো কাণ্ডে ঐতিহ্য হারিয়ে ধুকতে থাকা ক্লাবটির হাল ধরেছেন সাবেক ফুটবলাররা। বাদল রায়, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, সাঈদ হাসান কানন, রুম্মন বিন ওয়ালি সাব্বির, ইমতিয়াজ আহমেদ নকীবরা ক্লাবের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জাকারিয়া পিন্টু, প্রতাপ শঙ্কর হাজরা, সারোয়ার হোসেন এবং আবদুর রব মাহবুবদের নিয়ে আগামী মৌসুমের দল গঠনের চেষ্টা করছেন। আছেন আরেক সাবেক পরিচালক মোস্তাকুর রহমানও।
গতবারের দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কেই ছেড়ে দিয়েছে মোহামেডান। মাত্র ৭ জন পুরনো মুখ এবার দেখা যাবে ক্লাবটিতে। তারা হলেন- গোলরক্ষক আহসান হাবিব বিপু, ডিফেন্ডার শ্যামল বেপারী, সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হাবিবুর রহমান সোহাগ, আমির হাকিম বাপ্পী, মো. মিঠু, অনীক ঘোষ ও ইউসুফ সিফাত। বাকি সবই নতুন ও তরুণ। মোহামেডান ফুটবল দল তারুণ্যের পাখায় উড়েই ঘুরে দাঁড়াতে চায়। ইতিমধ্যে স্থানীয় ২৬ জন ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে ক্লাবটি। তাদের নিয়ে আগামী সপ্তাহেই অনুশীলন শুরু করার কথা। গতবারের অস্ট্রেলিয়ান কোচ শেন লিন এবারও থাকছেন। আজ তার ঢাকায় আসার কথা জানানো হয়েছে ক্লাব থেকে। তার সঙ্গে থাকছেন ব্রিটিশ ট্রেনার জেমস। গত মৌসুমে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘে খেলা গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেলই হবেন এবারের মোহামেডান দলে স্থানীয়দের মধ্যে চেনা মুখ। নতুন যারা যোগ দিচ্ছেন মোহামেডানে তারা হলেন- আরামবাগের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল, বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার সোহানুর রহমান, নোফেলের ডিফেন্ডার ফরহাদ মনা, শেখ রাসেলের ফরোয়ার্ড আমিনুর রহমান সজীব, চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার শাহেদ হোসেন, আরামবাগের ডিফেন্ডার আতিকুজ্জামান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডিফেন্ডার হুমায়ুন কবির খান, গোলরক্ষক জসিম উদ্দিন, শেখ রাসেলের মিডফিল্ডার রুম্মন হোসেন, নোফেলের ডিফেন্ডার মাসুদ রানা মৃধা, কামরুল ইসলাম, সকার ক্লাবের ডিফেন্ডার ইমন খান, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মিডফিল্ডার কবির, মুক্তিযোদ্ধার মিডফিল্ডার রাকিব খান ইভান, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ফরোয়ার্ড ওসাই মং মারমা, চট্টগ্রাম আবাহনীর মিডফিল্ডার অনিক হোসেন, ভিক্টোরিয়ার মিডফিল্ডার আবিদ হোসেন সাইফ, শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার ফরহাদুজ্জামান বাবু ও টিম বিজেএমসির সাব্বির আহমেদ সুমন। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে গত মৌসুমে খেলে যাওয়া মালির ওমসান ও সোলেমান এবং জাপানের মিডফিল্ডার উরু এবারও থাকছেন। নতুন আসার কথা দুই নাইজেরিয়ান ফুটবলার স্ট্যানলি আমাদি ও ওবি ওবি চুকু ।
এদিকে প্রথম বিভাগে রানার্সআপ হয়ে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে উত্তীর্ণ হয়ে বিপদেই পড়েছে ওয়ান্ডারার্স। ক্লাবটির এক কর্মকর্তা জানান, আমরা বরাবরই ক্লাবে এসব অবৈধ ক্যাসিনোর বিরোধিতা করেছি। তাই ক্লাবে জায়গা পাইনি। তারপরেও দুর্যোগের মুহূর্তে ক্লাবটির পাশে দাঁড়িয়ে প্রথম বিভাগে রানার্সআপ করেছি। কিন্তু আসন্ন চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে কিভাবে দল গড়বো সেটা বলতে পারছি না। যারা ক্লাবে এসব অবৈধ কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এখন তাদেরও দেখা পাচ্ছি না।