দেশ বিদেশ
পুলিশি হেফাজতে চোখ হারানো যুবকের ২ বছরের কারাদণ্ড
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
৫ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:০৮ পূর্বাহ্ন
খুলনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আলোচিত দুই চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগকারী যুবক সেই শাহজালালকে ছিনতাই মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে খুলনার মহানগর হাকিমের বিচার আদালত-১ (দ্রুত বিচার) এর বিচারক মো. আমিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর শাহজালালকে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৮ই জুলাই রাতে শাহজালালকে থানাহাজতে রেখে ৪০ হাজার টাকার জন্য প্রথম দফায় নির্যাতন চালায় পুলিশ। এ সময় তার হাত জখম হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের লোকজন শাহজালালকে গাড়িতে করে বাইরে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন শাহজালালকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পরিবারের লোকজন হাসপাতালের বারান্দায় দুটি চোখ উপড়ানো অবস্থায় শাহজালালকে দেখতে পান। এ ঘটনার পর তার পিতা বাদী হয়ে ওসি নাসিম খানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন সেই রাতে ওই এলাকায় ছিনতাই ও মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তবে থানার তৎকালীন ওসি নাসিম খান দাবি করেন, অভিযোগ অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শাহজালাল একজন ছিনতাইকারী। ছিনতাই করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। তখন স্থানীয় জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। সেখানে শাহজালাল চোখ হারায়। মামলা থেকে বাঁচতে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে শাহজালাল। ওই ঘটনায় সুমা আক্তার নামে এক নারী মামলা দায়ের করেন যার নং-৩৪। ওই বছরের ২৯জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মিজানুর রহমান আদালতে শাহজালালকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
শাহজালালের আইনজীবী এডভোকেট মো. নুরুল হক বলেন, ছিনতাই মামলার একমাত্র আসামি ছিল শাহজালাল। তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করা যায়নি। তারপরও তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই রায় প্রভাবিত করা হয়েছে।
শাহজালালের পিতা জাকির হোসেন বলেন, সকাল থেকেই পুলিশের লোকেরা আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। তারা কয়েকবার আমাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা কোনো কথা বলিনি। তিনি বলেন, আমার ছেলের চোখ নিলো, ছেলেকে অন্ধ বানালো এবার তাকে জেলেও ঢোকালে। গরীবের ওপর এমন অত্যাচার, আল্লাহ সহ্য করবেন না।#
তবে থানার তৎকালীন ওসি নাসিম খান দাবি করেন, অভিযোগ অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শাহজালাল একজন ছিনতাইকারী। ছিনতাই করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। তখন স্থানীয় জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। সেখানে শাহজালাল চোখ হারায়। মামলা থেকে বাঁচতে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে শাহজালাল। ওই ঘটনায় সুমা আক্তার নামে এক নারী মামলা দায়ের করেন যার নং-৩৪। ওই বছরের ২৯জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মিজানুর রহমান আদালতে শাহজালালকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
শাহজালালের আইনজীবী এডভোকেট মো. নুরুল হক বলেন, ছিনতাই মামলার একমাত্র আসামি ছিল শাহজালাল। তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করা যায়নি। তারপরও তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই রায় প্রভাবিত করা হয়েছে।
শাহজালালের পিতা জাকির হোসেন বলেন, সকাল থেকেই পুলিশের লোকেরা আদালত এলাকায় অবস্থান নেন। তারা কয়েকবার আমাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা কোনো কথা বলিনি। তিনি বলেন, আমার ছেলের চোখ নিলো, ছেলেকে অন্ধ বানালো এবার তাকে জেলেও ঢোকালে। গরীবের ওপর এমন অত্যাচার, আল্লাহ সহ্য করবেন না।#