বাংলারজমিন
চট্টগ্রামে আগুনে শিশুর মৃত্যু ১৩২ দোকান ভস্মীভূত
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২০ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম মহানগরীতে পৃথক অগ্নিকাণ্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে মা-বাবা-বোন। ভস্মীভূত হয়েছে দুটি মার্কেটের ১৩২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ডবলমুরিং থানার মোল্লাপাড়ায় নিরিবিলি আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় এবং রাত ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার জহুর হকার্স মার্কেট ও জালালাবাদ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মার্কেট দুটির অন্তত ১৩২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আবাসিক এলাকার নিজ বাসায় আগুনে পুড়ে মারা গেছে শিশু আশরাফুল (৫)। আগুনে তার বাবা আমীর হোসেন (৪৫) ও মা খালেদা আক্তার (৩০) আক্তার এবং বোন অনিয়া আক্তারকে (৭) দগ্ধ হয়েছেন। ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক আজিজ জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ওই বাসায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। রাতেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চার জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মারা যায় শিশু আশরাফুল।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নারায়ন ধর জানিয়েছেন, শিশু আশরাফুলের শরীরের প্রায় ৩৪ শতাংশ পুড়ে যায়। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া আমীর হোসেনের শরীরের শরীরের ৮৬ শতাংশ, খালেদা ও অনিয়ার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার রাত ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার জুবিলী রোডস্থ পাইকারী পোশাক কেনাবেচার মার্কেট জহুর হকার্স ও জালালাবাদ মার্কেটে আগুন লাগে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে নন্দনকানন, চন্দনপুরা, আগ্রাবাদ ও কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের ১৫টি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। ভোর পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানান চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণও কম নয়। তবে এখনো ডামিপংয়ের কাজ চলছে। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানানো হবে। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, আগুনে জালালাবাদ মার্কেটের ১০৭টি এবং জহুর হকার্স মার্কেটের ২৫টি দোকান পুড়ে যাবার তথ্য তারা পেয়েছেন। এর মধ্যে নারীপুরুষ ও শিশুর বিভিন্ন পোশাকের দোকান, কম্বলের গুদাম এবং ছোট টেইলারিং কারখানা আছে।
ওসি মহসীন বলেন, ্তুঅতীতেও এসব মার্কেটে অগ্নিকান্ড হয়েছে। প্রতিবারই আগুনের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতকারীরা লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে আগুন লাগার খবর পেয়েই দুটি মার্কেটের সব প্রবেশপথ ঘিরে রাখা হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এবার আমরা লুটপাট যাতে না হয়, সেজন্য সতর্ক ছিলাম। প্রসঙ্গত, জহুর হকার্স মার্কেট চট্টগ্রাম নগরের সবচেয়ে বড় পোশাক বেচাকেনার মার্কেট। প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এ মার্কেটে কয়েক হাজার কাপড়ের দোকান ও টেইলার্স রয়েছে। নগরের নিন্ম ও মধ্যবিত্তের কেনাকাটার অন্যতম পছন্দের স্থান এই জহুর হকার্স মার্কেট। মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সর্বসাকুল্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নারায়ন ধর জানিয়েছেন, শিশু আশরাফুলের শরীরের প্রায় ৩৪ শতাংশ পুড়ে যায়। শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া আমীর হোসেনের শরীরের শরীরের ৮৬ শতাংশ, খালেদা ও অনিয়ার শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে শুক্রবার রাত ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে নগরীর কোতোয়ালী থানার জুবিলী রোডস্থ পাইকারী পোশাক কেনাবেচার মার্কেট জহুর হকার্স ও জালালাবাদ মার্কেটে আগুন লাগে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে নন্দনকানন, চন্দনপুরা, আগ্রাবাদ ও কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের ১৫টি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। ভোর পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি বলে জানান চট্টগ্রামের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণও কম নয়। তবে এখনো ডামিপংয়ের কাজ চলছে। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানানো হবে। কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, আগুনে জালালাবাদ মার্কেটের ১০৭টি এবং জহুর হকার্স মার্কেটের ২৫টি দোকান পুড়ে যাবার তথ্য তারা পেয়েছেন। এর মধ্যে নারীপুরুষ ও শিশুর বিভিন্ন পোশাকের দোকান, কম্বলের গুদাম এবং ছোট টেইলারিং কারখানা আছে।
ওসি মহসীন বলেন, ্তুঅতীতেও এসব মার্কেটে অগ্নিকান্ড হয়েছে। প্রতিবারই আগুনের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতকারীরা লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। ফলে আগুন লাগার খবর পেয়েই দুটি মার্কেটের সব প্রবেশপথ ঘিরে রাখা হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এবার আমরা লুটপাট যাতে না হয়, সেজন্য সতর্ক ছিলাম। প্রসঙ্গত, জহুর হকার্স মার্কেট চট্টগ্রাম নগরের সবচেয়ে বড় পোশাক বেচাকেনার মার্কেট। প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এ মার্কেটে কয়েক হাজার কাপড়ের দোকান ও টেইলার্স রয়েছে। নগরের নিন্ম ও মধ্যবিত্তের কেনাকাটার অন্যতম পছন্দের স্থান এই জহুর হকার্স মার্কেট। মার্কেটের ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সর্বসাকুল্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।