এক্সক্লুসিভ
সিরিয়ায় ৫ দিন হামলা স্থগিতে রাজি হয়েছে তুরস্ক: পেন্স
মানবজমিন ডেস্ক
১৯ অক্টোবর ২০১৯, শনিবার, ৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলোকে সরে যাওয়ার জন্য সময় দিতে অঞ্চলটিতে হামলা অভিযান স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এমনটা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ৫ দিনের জন্য সব লড়াই বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সেনাদের প্রত্যাহারে সাহায্য করবে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, পেন্স কুর্দি সেনাদের প্রত্যাহারের জন্য যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী পিপলস প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি) এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। তারা অঞ্চলটি থেকে প্রত্যাহার করতে রাজি হওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাহিনীটির কমান্ডার মাজলৌম কোবানি জানান, কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীগুলো আপাতত রাস আল-আইন ও তাল আবায়াদ শহরে চুক্তির বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখবে। এই দুই শহরে সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে। কোবানি জানান, বাকি এলাকাগুলোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তারা।
বৃটেন ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও রাস আল-আইনে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। সংগঠনটি জানায়, এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৭২ জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ। গত সপ্তাহে সীমান্তের এ পাড়ে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দখল করে নেয় সিরিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রাম ও শহর। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩শ’ কুর্দিকে হত্যা করেছে তুরস্কের সেনারা। দেশটির লক্ষ্য এই অঞ্চল থেকে কুর্দিদের সরিয়ে দিয়ে তথাকথিত সেফ জোন সৃষ্টি করা। দীর্ঘদিন ধরেই তুরস্ক সংখ্যালঘু কুর্দি মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যে উদ্দেশ্যে তুরস্ক সিরিয়ার অভ্যন্তরে সেফ জোন সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাতে সেখানে পরবর্তীতে একটি জাতিগত নিধনযজ্ঞ সংঘটিত হবে। এর আগে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল কুর্দিদের সশস্ত্র বাহিনী এসডিএফ। তবে আইএস দমনের পর কুর্দিদের পাশ থেকে সরে যায় যুক্তরাষ্ট্র, ঘোষণা দেয় সেনা প্রত্যাহারের। ফলে এই আকাঙ্ক্ষিত সুযোগে সিরিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এ নিয়ে আরব বিশ্বসহ, ইরান, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তীব্র সমালোচনার মধ্যে পরেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তবে এতে দমে না গিয়ে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি। এরপরই মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট তুরস্ক সফর করে এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই ৫ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তুরস্ক।
বৃটেন ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) বলেছে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও রাস আল-আইনে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। সংগঠনটি জানায়, এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৭২ জন বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩ লাখেরও বেশি মানুষ। গত সপ্তাহে সীমান্তের এ পাড়ে অভিযান শুরু করে তুরস্ক। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দখল করে নেয় সিরিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রাম ও শহর। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩শ’ কুর্দিকে হত্যা করেছে তুরস্কের সেনারা। দেশটির লক্ষ্য এই অঞ্চল থেকে কুর্দিদের সরিয়ে দিয়ে তথাকথিত সেফ জোন সৃষ্টি করা। দীর্ঘদিন ধরেই তুরস্ক সংখ্যালঘু কুর্দি মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যে উদ্দেশ্যে তুরস্ক সিরিয়ার অভ্যন্তরে সেফ জোন সৃষ্টি করতে চাচ্ছে তাতে সেখানে পরবর্তীতে একটি জাতিগত নিধনযজ্ঞ সংঘটিত হবে। এর আগে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের জিহাদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল কুর্দিদের সশস্ত্র বাহিনী এসডিএফ। তবে আইএস দমনের পর কুর্দিদের পাশ থেকে সরে যায় যুক্তরাষ্ট্র, ঘোষণা দেয় সেনা প্রত্যাহারের। ফলে এই আকাঙ্ক্ষিত সুযোগে সিরিয়ার অভ্যন্তরে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। এ নিয়ে আরব বিশ্বসহ, ইরান, রাশিয়া, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তীব্র সমালোচনার মধ্যে পরেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তবে এতে দমে না গিয়ে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি। এরপরই মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট তুরস্ক সফর করে এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপরই ৫ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তুরস্ক।