শেষের পাতা
গ্রামীণফোন-রবিতে প্রশাসক নিয়োগে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
নিরীক্ষা আপত্তিতে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশের পর গ্রামীণফোন ও রবি’তে প্রশাসক নিয়োগে সম্মতি দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে অপারেটর দু’টিতে প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে বিটিআরসি’র দাবি। পাওনা আদায়ের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স বাতিলের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরইমধ্যে টাকার অঙ্ক নিয়ে আপত্তি তুলে আদালতে যায়। পরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নেন। কিন্তু ওই বৈঠকের পরও পাওনা বিষয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে সর্বশেষ ৩ অক্টোবর আরেকটি সভা হয়। তাতেও সাড়া না পাওয়ায় প্রশাসক নিয়োগের জন্য টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মতি চেয়ে ১৬ অক্টোবর চিঠি পাঠায় বিটিআরসি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, অপারেটর দু’টিতে প্রশাসক নিয়োগ করার জন্য চিঠি পাঠানো কেবল ফরমালিটি মাত্র। এখন যে কোনো সময় প্রশাসক নিয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, অপারেটরদের নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গ্রামীণফোন ও রবি তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। ওই মিটিংয়ের পর সাত দিনের মধ্যে রবি ২৫ কোটি এবং গ্রামীণফোনের ১০০ কোটি টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবি ১৫ কোটি টাকার পে-অর্ডার নিয়ে আসলে আমরা অ্যালাও করিনি। কিন্তু গ্রামীণফোন যোগাযোগ করেনি। এক মাস পরে এভাবে ২৫ কোটি ও ১০০ কোটি টাকা দেয়ার কথা। তিনি বলেন, এভাবে আমরা এটুকু বুঝতে চাই যে তোমরা টাকা দিতে ইচ্ছুক, এই ইচ্ছা প্রকাশের জায়গায়ও তারা আসেনি। তাহলে ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বকেয়া পাওনার কোনো ভরসা পাইনি। আমাদের টাকা না দিয়ে লাভ করে টাকা নিয়ে যাবে, এটা হতে পারে না। প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিটিআরসি এটা ফরমূলেট করবে। প্রশাসক কাকে নিয়োগ করা হবে সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ নেব। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারের রাজস্বের অর্থ ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। তবে টাকা আদায় হয়ে গেলে প্রশাসক আর থাকবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রশাসক নিয়োগের পর এনওসি চালু করা হতে পারে। কারণ, ব্যবসা ও লাভের জন্য এনওসি দরকার হবে। এর আগে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক জানান, একজন প্রশাসক ছাড়াও একজন করে হিসাব, আইন ও টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়ার সম্মতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সরকারের পাওনা আদায়ে তারা সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, অপারেটরদের নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গ্রামীণফোন ও রবি তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। ওই মিটিংয়ের পর সাত দিনের মধ্যে রবি ২৫ কোটি এবং গ্রামীণফোনের ১০০ কোটি টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবি ১৫ কোটি টাকার পে-অর্ডার নিয়ে আসলে আমরা অ্যালাও করিনি। কিন্তু গ্রামীণফোন যোগাযোগ করেনি। এক মাস পরে এভাবে ২৫ কোটি ও ১০০ কোটি টাকা দেয়ার কথা। তিনি বলেন, এভাবে আমরা এটুকু বুঝতে চাই যে তোমরা টাকা দিতে ইচ্ছুক, এই ইচ্ছা প্রকাশের জায়গায়ও তারা আসেনি। তাহলে ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বকেয়া পাওনার কোনো ভরসা পাইনি। আমাদের টাকা না দিয়ে লাভ করে টাকা নিয়ে যাবে, এটা হতে পারে না। প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিটিআরসি এটা ফরমূলেট করবে। প্রশাসক কাকে নিয়োগ করা হবে সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উপদেশ নেব। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারের রাজস্বের অর্থ ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। তবে টাকা আদায় হয়ে গেলে প্রশাসক আর থাকবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রশাসক নিয়োগের পর এনওসি চালু করা হতে পারে। কারণ, ব্যবসা ও লাভের জন্য এনওসি দরকার হবে। এর আগে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক জানান, একজন প্রশাসক ছাড়াও একজন করে হিসাব, আইন ও টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়ার সম্মতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সরকারের পাওনা আদায়ে তারা সহযোগিতা করবে।