বাংলারজমিন
চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে মামলা দিয়ে প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৮ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
দাবিকৃত চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ‘মিথ্যা’ মামলা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ সুলেমান ও তার পরিবারকে হয়রানি করছে একটি চক্র। সংঘবদ্ধ এ চক্রের সদস্যরা কখনো নিজেদের সাংবাদিক আবার কখনো মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন। এ চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ওই প্রবাসী। সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি। মোহাম্মদ সুলেমান নগরীর নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের গোটাটিকর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মরহুম অ্যাডভোকেট মশাহিদ আলীর ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার মূল বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জে। দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে তিনি সপরিবারে নিউ ইয়র্কে বসবাস করছেন। প্রায় ১৫ বছর আগে তিনি গোটাটিকর আবাসিক এলাকায় কিছু জমি কেনেন। এরপর সেখানে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেন। ভবন নির্মাণের সময় গোটাটিকর এলাকার মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে এনামুল হক এনাম ও মৃত আবদুস শহীদের ছেলে মাহছুমুল হক রুহেল তার কাছে চাঁদা দাবি করে। সে সময় তিনি বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করলে চাঁদাবাজ এই চক্রটির অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরও এনামুল হক এনাম ও মাহছুমুল হক রুহেল আমার শ্বশুরকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। তারা নিজেদের লোককে আমার ফ্ল্যাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে ঢুকাতে চায় এবং ফ্ল্যাটের ভাড়া তারা নির্ধারণ করে দিতে চায়। এ বিষয়গুলো স্থানীয় কাউন্সিলরসহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অবগত আছেন বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, সম্প্রতি চাঁদাবাজ এনাম ও রুহেল চক্র তাদের সহযোগী জাবেদ আহমদ ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন। পরবর্তীতে জাবেদ আহমদ নামের ওই ভাড়াটিয়া এক মাসের অগ্রিম ভাড়া জমা দিতে আসলে আমি বলি, ভোটার আইডি কার্ড না দিলে আমি তাকে ভাড়াটিয়া হিসেবে রাখবো না এবং এক সপ্তাহের মধ্যে আমি ওই ভাড়াটিয়াকে ঘর ছেড়ে দিতে বলি। সে অনুযায়ী জাবেদ তার ভাড়াটিয়া ফ্ল্যাটে আনা ফার্নিচার অন্যত্র স্থানান্তর করে চলে যায়। সর্বশেষ গত ১৪ই সেপ্টেম্বর দুপুরে এনাম ও রুহেল ফয়জুল হক একদল লোককে নিয়ে তার বাসায় এসে বলেন যে, উক্ত ভাড়াটিয়া জাবেদ নাকি তার কাছ থেকে প্রতারণা করে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ সময় তারা নিজেদের সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী বলে পরিচয় দেয়। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে বলে, তাদের চাঁদা না দিলে তারা ফয়জুল হককে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করাবে।’ তিনি বলেন, এ হুমকির পরদিন মোগলাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বালাগঞ্জ উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়জুল হক। এ মামলায় তিনিসহ তার শ্বশুর ও গোটাটিকর এলাকার তরুণ সমাজসেবী সিরাজুল ইসলাম কুনু মিয়াকে ৬নং আসামি করা হয়। পরে আইনজীবীদের পরামর্শে গত ১৭ই সেপ্টেম্বর এই মামলায় তারা তিনজন জামিন নিয়েছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম, আবদুল মালেক, আবদুল আলী, তারেক আহমদ, রজব আলী, সিরাজুল ইসলাম কুনু মিয়া, আবু বকর সেলিম প্রমুখ।