বাংলারজমিন
বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৮ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, ৭:৩২ পূর্বাহ্ন
বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯২০ থেকে ১৯২২ সালে নির্মিত হয় এই বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের নির্মাণকালীন সময় লাগে ২ বছর। নিখুঁত খোদাই করা কারুকাজ দিয়ে নিপুণ হাতে বালিয়াটির জমিদার রায় বাহাদুর হরেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী এ বিদ্যালয় নির্মাণ করেন। ২০১৯ সালের ১৬ই জানুয়ারি বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূরণ হয়। এ বিদ্যালয়ের এখনো জমিদারদারদের মূল ভবনে প্রশাসনিক ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।
এ বিদ্যালয় নির্মাণে রয়েছে ছোট্ট ইতিহাস। জমিদার হরেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী পান ও লবণ ব্যবসার কারণে সে ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময়ে জমিদারের ছেলে উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী বাবাকে অনুুরোধ করেন একটি শিক্ষা পাঠশালা করতে। জমিদার ছেলেকে উত্তরে দিয়েছিলেন কয় পয়সা রোজগার কর তুমি। নিজে টাকা পয়সা কামাই করে পাঠশালা বানিয়ে নিজের ইচ্ছা পূরণ কর। যা তোমার নির্দেশ আমার মানতে হবে। জমিদার বাবার এ কথা শুনে ছেলে উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী নিজের বন্দুক দিয়ে নিজেই চেয়ার বসে বন্দুকের টিয়ার টেনে আত্মহত্যা করেন। ছেলের আত্নহত্যা দেখে সে ভারত সফর বাতিল করে তার স্মৃতি রক্ষার্থে ১৭.৪৭ একর জমির উপর বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নির্মাণ করেন। এখনো উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর বন্দুক হাতে দাড়িয়ে থাকা ছবি বালিয়াটি জমিদার বাড়ির রংমহলে শোভা পাচ্ছে।
বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আছালত জামান খান আরিফ জানান, এ বিদ্যালয়টিকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় ১৯১৯ সালে ১৬ই জানুয়ারী। বিদ্যালয়টি ১৫ টি কক্ষের আয়তন ৩৫০ ফুট লম্বা ৩০ ফুট প্রস্থ। শত বর্ষে এ পযর্ন্ত ১৬ জন প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বিদ্যালয়ে ছাত্র মোঃ আরশেদ আলী চৌধুরী সুনামের সঙ্গে প্রায় ৪০ বছর এখানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ বরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতিমধ্যে শতবর্ষ পালনের রেজিষ্টিশন চলছে বলে তিনি জানান।
বালিয়াটি যতকথা নামে একটি বই থেকে জানা গেছে, জমিদার রায় বাহাদুর হরেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী ছিলেন, বালিয়াটি পূর্ববাড়ির জমিদার। এরা ছিলেন ৪ ভাই। এরমধ্যে রায় বাহাদুর করতেন পান ও লবনের ব্যবসা। তিনি এ ব্যবসা করে সাটুরিয়ার বালিয়াটি অজপাড়া গ্রামে অনেক স্মৃতি রেখে গেছেন। জমিদারদের রেখে যাওয়া স্মৃতি এখন কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে চার সিংহদ্বার দক্ষিন মুখ করে। আর রেখে যাওয়া স্মৃতি এখন দেশ বিদেশের দর্শণার্থীরা দেখতে ভিড় জমাচ্ছে প্রতিদিন। জমিদার বাড়ি ঢোকার আগেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে বিশাল আকৃতির ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলের সামনে নির্মাণ করা হয় ৪ টি খেলার মাঠ। যেখানে কলকাতার মোহামেডান ও ইস্ট বেঙ্গল দলের ফুটবল দল খেলতো। যা ছেলে উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন তিনি। তার স্মৃতি রক্ষার্থে এ শিক্ষালয় গড়ে তুলতেও ছেলের অকাল মৃত্যুতে তিনি মর্মাহত হয়ে পড়েন।
এ বিদ্যালয় নির্মাণে রয়েছে ছোট্ট ইতিহাস। জমিদার হরেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী পান ও লবণ ব্যবসার কারণে সে ভারতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময়ে জমিদারের ছেলে উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী বাবাকে অনুুরোধ করেন একটি শিক্ষা পাঠশালা করতে। জমিদার ছেলেকে উত্তরে দিয়েছিলেন কয় পয়সা রোজগার কর তুমি। নিজে টাকা পয়সা কামাই করে পাঠশালা বানিয়ে নিজের ইচ্ছা পূরণ কর। যা তোমার নির্দেশ আমার মানতে হবে। জমিদার বাবার এ কথা শুনে ছেলে উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী নিজের বন্দুক দিয়ে নিজেই চেয়ার বসে বন্দুকের টিয়ার টেনে আত্মহত্যা করেন। ছেলের আত্নহত্যা দেখে সে ভারত সফর বাতিল করে তার স্মৃতি রক্ষার্থে ১৭.৪৭ একর জমির উপর বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় নামে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল নির্মাণ করেন। এখনো উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীর বন্দুক হাতে দাড়িয়ে থাকা ছবি বালিয়াটি জমিদার বাড়ির রংমহলে শোভা পাচ্ছে।
বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আছালত জামান খান আরিফ জানান, এ বিদ্যালয়টিকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় ১৯১৯ সালে ১৬ই জানুয়ারী। বিদ্যালয়টি ১৫ টি কক্ষের আয়তন ৩৫০ ফুট লম্বা ৩০ ফুট প্রস্থ। শত বর্ষে এ পযর্ন্ত ১৬ জন প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বিদ্যালয়ে ছাত্র মোঃ আরশেদ আলী চৌধুরী সুনামের সঙ্গে প্রায় ৪০ বছর এখানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যালয়ের শতবর্ষ বরণ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতিমধ্যে শতবর্ষ পালনের রেজিষ্টিশন চলছে বলে তিনি জানান।
বালিয়াটি যতকথা নামে একটি বই থেকে জানা গেছে, জমিদার রায় বাহাদুর হরেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরী ছিলেন, বালিয়াটি পূর্ববাড়ির জমিদার। এরা ছিলেন ৪ ভাই। এরমধ্যে রায় বাহাদুর করতেন পান ও লবনের ব্যবসা। তিনি এ ব্যবসা করে সাটুরিয়ার বালিয়াটি অজপাড়া গ্রামে অনেক স্মৃতি রেখে গেছেন। জমিদারদের রেখে যাওয়া স্মৃতি এখন কালের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে চার সিংহদ্বার দক্ষিন মুখ করে। আর রেখে যাওয়া স্মৃতি এখন দেশ বিদেশের দর্শণার্থীরা দেখতে ভিড় জমাচ্ছে প্রতিদিন। জমিদার বাড়ি ঢোকার আগেই চোখের সামনে ভেসে উঠবে বিশাল আকৃতির ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুলের সামনে নির্মাণ করা হয় ৪ টি খেলার মাঠ। যেখানে কলকাতার মোহামেডান ও ইস্ট বেঙ্গল দলের ফুটবল দল খেলতো। যা ছেলে উপেন্দ্র কুমার রায় চৌধুরীকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন তিনি। তার স্মৃতি রক্ষার্থে এ শিক্ষালয় গড়ে তুলতেও ছেলের অকাল মৃত্যুতে তিনি মর্মাহত হয়ে পড়েন।