খেলা
সাইফুদ্দিনের ‘দ্য হান্ড্রেড’ ক্রিকেট ভাবনায় বাধা ইনজুরি
স্পোর্টস রিপোর্টার
১৭ অক্টোবর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
ইনজুরিতে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েছেন পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। জাতীয় ক্রিকেট লীগে খেলতে পারছেন না। এমনকি অনুশীলনও বন্ধ। তাই কবে মাঠে ফিরতে পারবেন তাও ঠিকভাবে বলতে পারছেন না। তার জন্য এখন পর্যন্ত সুসংবাদ ইংল্যান্ডে হতে যাওয়া ‘দ্য হান্ড্রেড’ ক্রিকেটে বাংলাদেশি ১১ ক্রিকেটারের চূড়ান্ত তালিকায় আছেন তিনি। কিন্তু এসব নিয়ে ভাবার সময় কই তার! তার এখন একমাত্র চিন্তা মাঠে ফেরা। গতকাল সংবাদমাধ্যমে সাইফুদ্দিন তুলে ধরেছেন তার বর্তমান অবস্থা। তার কথোপকথনের মূল অংশ তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন: ইংল্যান্ডে ‘দ্য হান্ড্রেড’ ক্রিকেটে বাংলাদেশি ১১ জনের চূড়ান্ত তালিকায় আছেন। সুযোগ নিয়ে কী ভাবছেন?
সাইফুদ্দিন: শুনেছি, আমি তালিকায় আছি। কোনো দল যদি আমাকে নেয় সেটি নিয়ে পরে ভাববো। এখন আমার সব চিন্তা কিভাবে কত দ্রুত সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারি তা নিয়ে। ইনজুরির কারণে ‘দ্য হান্ড্রেড’ ক্রিকেট নিয়েও ভাবতে পারছি না।
প্রশ্ন: বর্তমানে ইনজুরির অবস্থা কী?
সাইফুদ্দিন: আপাতত বেড রেস্টে আছি বলা যায়। ফিজিও জুলিও ক্যালেফাতোর সঙ্গে কথা বলেই এই বিশ্রাম নেয়া। গতকাল স্ক্যান করিয়েছি। এরপর বোঝা যাবে কী করতে হবে সামনে।
প্রশ্ন: ফিরতে পারবেন কিনা?
সাইফুদ্দিন: আসলে বলা কঠিন। অপেক্ষা করছি স্ক্যান রিপোর্টের জন্য। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে নিয়ে বসবে হয়তো। এরপর বলতে পারব আমার কী প্লান।
প্রশ্ন: ইংল্যান্ডে রিপোর্ট পাঠানোর পর অগ্রগতি কতটা?
সাইফুদ্দিন: আজ স্যারের (দেবাশিষ চৌধুরী) সঙ্গে কথা বললাম। ওনারা জানালেন আমার বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে সেখানে। আমার কয়েকটা রিপোর্ট ওনারা ইতোমধ্যে পাঠিয়েছেন, কাল মনে হয় আরেকটা পাঠাবে। এটার পর আসলে বুঝতে পাররো আমার যাওয়ার প্রক্রিয়া বা আমার চিকিৎসার জন্য যাওয়া কতদূর এগোচ্ছে। এই মুহূর্তে এখনও ওইরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অপেক্ষায় আছি আরকি।
প্রশ্ন: সার্জারি কিংবা বোলিং অ্যাকশন চেঞ্জ করতে হলে?
সাইফুদ্দিন: ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য যেকোনো কিছু করতে হবে। যদি মাশরাফি ভাইয়ের কথা বলেন অনেকগুলো সার্জারি নিয়ে খেলেছেন। মাত্র শুরু, এখনই করলে হয়তো আমার জন্য কিছুটা কঠিন হবে। কিন্তু সবকিছু করতে রাজি আছি। ক্রিকেট আমার রুটি-রোজগার, এটা আমার পেশা। এটার জন্য আমি সবকিছু করতে রাজি আছি।
প্রশ্ন: অ্যাকশন চেঞ্জ করতে হলে আগের ছন্দ ধরে রাখা যায় না, তখন কি করবেন?
সাইফুদ্দিন: এই মুহূর্তে খেলায় না থাকলেও কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনা সবকিছু বোলিংকে ঘিরে। কীভাবে বোলিংটা করবো। আমি যখন পুরনো কোনো ম্যাচ দেখি তখন আমি রিয়েলাইজ করি আমি থাকলে কি করতাম। আমার মন, ফোকাস সব কিছু বোলিংকে ঘিরে। বসে থাকলেও বল একটা হাতে নিয়ে চেষ্টা করি নতুন কিছু করার। কারণ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে নতুন কিছুর বিকল্প নেই। তবে অ্যাকশন চেঞ্জ নিয়ে আমার কোচ এখনও কিছু বলেননি। ইনজুরি হলে যে চেঞ্জ করতে হবে, এটা বলা ঠিক না।
প্রশ্ন: মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা অ্যাকশন পরিবর্তনের জন্য?
সাইফুদ্দিন: এটা বলা কঠিন আমার জন্য। অবশ্য এটা আমার জীবনের বড় টার্নিং পয়েন্ট হবে। হুট করে কিছু বলবো না। আমার যেটা মনে হবে ভালো, সেটাই করবো।
প্রশ্ন: জাতীয় লীগে খেলছেন না, কতটা মিস করছেন?
সাইফুদ্দিন: মন তো চায় কাল থেকেই মাঠে নামি। কিছুটা জেল খানার কয়েদীদের মতো। দেখছি, কিন্তু খেলতে পারছি না। এটা আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য বিরক্তিকর। দুই-এক সপ্তাহ হলে ঠিক আছে, কিন্তু এক মাসের মতো হয়ে যাচ্ছে। এমনটা সব ক্রিকেটারের কাছেই খারাপ লাগে। তবে এটা জীবনের অংশ, খেলতে গেলে ইনজুরি হবেই। একটা লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। এটা মানিয়ে নিয়ে চলছি। ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারি।
প্রশ্ন: ভারত সিরিজ মিস হওয়ার শঙ্কা কতটা?
সাইফুদ্দিন: এটা আসলে বলা কঠিন। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা ভালো মনে করবে ওটাই করবো।
প্রশ্ন: আগেও ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন, এবার?
সাইফুদ্দিন: এটা সিদ্ধান্ত দেবে ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচক। আমাদের মেডিক্যাল টিম যারা আছেন, তারা। ওনারা যেটা ভালো মনে করবেন আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ওটাই করবো।
প্রশ্ন: ইংল্যান্ডে ‘দ্য হান্ড্রেড’ ক্রিকেটে বাংলাদেশি ১১ জনের চূড়ান্ত তালিকায় আছেন। সুযোগ নিয়ে কী ভাবছেন?
সাইফুদ্দিন: শুনেছি, আমি তালিকায় আছি। কোনো দল যদি আমাকে নেয় সেটি নিয়ে পরে ভাববো। এখন আমার সব চিন্তা কিভাবে কত দ্রুত সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারি তা নিয়ে। ইনজুরির কারণে ‘দ্য হান্ড্রেড’ ক্রিকেট নিয়েও ভাবতে পারছি না।
প্রশ্ন: বর্তমানে ইনজুরির অবস্থা কী?
সাইফুদ্দিন: আপাতত বেড রেস্টে আছি বলা যায়। ফিজিও জুলিও ক্যালেফাতোর সঙ্গে কথা বলেই এই বিশ্রাম নেয়া। গতকাল স্ক্যান করিয়েছি। এরপর বোঝা যাবে কী করতে হবে সামনে।
প্রশ্ন: ফিরতে পারবেন কিনা?
সাইফুদ্দিন: আসলে বলা কঠিন। অপেক্ষা করছি স্ক্যান রিপোর্টের জন্য। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে নিয়ে বসবে হয়তো। এরপর বলতে পারব আমার কী প্লান।
প্রশ্ন: ইংল্যান্ডে রিপোর্ট পাঠানোর পর অগ্রগতি কতটা?
সাইফুদ্দিন: আজ স্যারের (দেবাশিষ চৌধুরী) সঙ্গে কথা বললাম। ওনারা জানালেন আমার বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে সেখানে। আমার কয়েকটা রিপোর্ট ওনারা ইতোমধ্যে পাঠিয়েছেন, কাল মনে হয় আরেকটা পাঠাবে। এটার পর আসলে বুঝতে পাররো আমার যাওয়ার প্রক্রিয়া বা আমার চিকিৎসার জন্য যাওয়া কতদূর এগোচ্ছে। এই মুহূর্তে এখনও ওইরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। অপেক্ষায় আছি আরকি।
প্রশ্ন: সার্জারি কিংবা বোলিং অ্যাকশন চেঞ্জ করতে হলে?
সাইফুদ্দিন: ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য যেকোনো কিছু করতে হবে। যদি মাশরাফি ভাইয়ের কথা বলেন অনেকগুলো সার্জারি নিয়ে খেলেছেন। মাত্র শুরু, এখনই করলে হয়তো আমার জন্য কিছুটা কঠিন হবে। কিন্তু সবকিছু করতে রাজি আছি। ক্রিকেট আমার রুটি-রোজগার, এটা আমার পেশা। এটার জন্য আমি সবকিছু করতে রাজি আছি।
প্রশ্ন: অ্যাকশন চেঞ্জ করতে হলে আগের ছন্দ ধরে রাখা যায় না, তখন কি করবেন?
সাইফুদ্দিন: এই মুহূর্তে খেলায় না থাকলেও কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনা সবকিছু বোলিংকে ঘিরে। কীভাবে বোলিংটা করবো। আমি যখন পুরনো কোনো ম্যাচ দেখি তখন আমি রিয়েলাইজ করি আমি থাকলে কি করতাম। আমার মন, ফোকাস সব কিছু বোলিংকে ঘিরে। বসে থাকলেও বল একটা হাতে নিয়ে চেষ্টা করি নতুন কিছু করার। কারণ এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হলে নতুন কিছুর বিকল্প নেই। তবে অ্যাকশন চেঞ্জ নিয়ে আমার কোচ এখনও কিছু বলেননি। ইনজুরি হলে যে চেঞ্জ করতে হবে, এটা বলা ঠিক না।
প্রশ্ন: মানসিকভাবে প্রস্তুত কিনা অ্যাকশন পরিবর্তনের জন্য?
সাইফুদ্দিন: এটা বলা কঠিন আমার জন্য। অবশ্য এটা আমার জীবনের বড় টার্নিং পয়েন্ট হবে। হুট করে কিছু বলবো না। আমার যেটা মনে হবে ভালো, সেটাই করবো।
প্রশ্ন: জাতীয় লীগে খেলছেন না, কতটা মিস করছেন?
সাইফুদ্দিন: মন তো চায় কাল থেকেই মাঠে নামি। কিছুটা জেল খানার কয়েদীদের মতো। দেখছি, কিন্তু খেলতে পারছি না। এটা আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য বিরক্তিকর। দুই-এক সপ্তাহ হলে ঠিক আছে, কিন্তু এক মাসের মতো হয়ে যাচ্ছে। এমনটা সব ক্রিকেটারের কাছেই খারাপ লাগে। তবে এটা জীবনের অংশ, খেলতে গেলে ইনজুরি হবেই। একটা লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। এটা মানিয়ে নিয়ে চলছি। ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারি।
প্রশ্ন: ভারত সিরিজ মিস হওয়ার শঙ্কা কতটা?
সাইফুদ্দিন: এটা আসলে বলা কঠিন। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা ভালো মনে করবে ওটাই করবো।
প্রশ্ন: আগেও ইনজেকশন নিয়ে খেলেছেন, এবার?
সাইফুদ্দিন: এটা সিদ্ধান্ত দেবে ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচক। আমাদের মেডিক্যাল টিম যারা আছেন, তারা। ওনারা যেটা ভালো মনে করবেন আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ওটাই করবো।