বাংলারজমিন

ব্রহ্মপুত্র নদ খননের বালু দিয়ে পাকুন্দিয়ায় নিচু জমি ভরাটের দাবি

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

১৪ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার, ৮:২৭ পূর্বাহ্ন

পাকুন্দিয়া উপজেলায় সরকারিভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। নদ খননের বালু দিয়ে ফসলি জমি ভরাটের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে জমিজমা ও বাস্তুভিটা হারা দেড় শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদনের মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছেন।
ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানায়, উপজেলার চরকাওনা-মুনিয়ারীকান্দা গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছে। তাদের শতাধিক একর ফসলি জমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তারা এখন অসহায় ও নিঃস্ব। জমিজমা ও বসতভিটা হারিয়ে ওই দুই শতাধিক পরিবার এখন ব্রহ্মপুত্র পাড়ের একটি সরকারি সড়কের ওপর ছোটছোট ঘর নির্মাণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের দাবি নদীভাঙনের কবলে পড়ে তাদেরই কিছু ফসলি জমি দেবে নিচু হয়ে গেছে। ওই নিচু হয়ে যাওয়া জমিতে ব্রহ্মপুত্র নদ খননের বালু দিয়ে ভরাট করে দিলে সেখানে তারা ঘর নির্মাণ করে পরিবার- পরিজন নিয়ে বসবাস করতে পারবেন। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পাকুন্দিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া অংশটুকুর খনন কাজ শুরু হয়েছে। চলতি অক্টোবর মাস থেকে খনন কাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। ব্রহ্মপুত্র নদের খননকালে ওই বালু নদের পাড়ে সরকারি খাস জমিতে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। রাজস্ব খাতের আয় বাড়ানোর জন্য পরবর্তীতে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাহিদ হাসান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের লিখিত আবেদনটি পেয়েছি। বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status