বিনোদন
আলাপন
‘সুখবরটি এখনই দিতে চাই না’
এন আই বুলবুল
১১ অক্টোবর ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৪৩ পূর্বাহ্ন
শুটিংয়ের ব্যস্ততার কারণে পূজার সবকটি দিনে মন্ডপে ঘুরতে পারিনি। আত্মীয় স্বজনদের বাসায়ও যেতে পারিনি। তবে পূজার জন্য নবমী এবং দশমীর দিন কোনো শুটিং রাখিনি। নবমীর দিন মায়ের সঙ্গে বেশ কয়েকটি মণ্ডপে ঘুরেছি। সকলের প্রাণবন্ত উপস্থিতি বেশ ভালো লেগেছে। বিশেষ করে সনাতন ধর্মের পাশাপাশি অন্য ধর্মের অনেকের উপস্থিতি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। দশমীর দিন মায়ের দেওয়া শাড়ি পড়ে মন্ডপে ঘুরেছি। খুব ভালো লেগেছে। সম্প্রতি পালিত হওয়া শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন নিয়ে এভাবেই বললেন জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। তিনি আরো বলেন, আগে পূজায় বাবাকে নিয়ে ঘুরতাম। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ হয় না। পূজার সময়ই বাবাকে হারিয়েছি। তাই এটা অনেক কষ্টের স্মৃতিও। পূজা উপলক্ষে আমি অনেক গিফট কিনতাম আগে। আর বাবাকে গিফট দিতেই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো। বাবাকে খুব মিস করছি। এদিকে এ অভিনেত্রী ‘আশির্বাদ’ শিরোনামে এবার পূজার একটি নাটকেও অভিনয় করেছিলেন। একক নাটকের বাইরে ধারাবাহিক নাটকেও ঊর্মিলার বেশ ব্যস্ততা রয়েছে। তার হাতে আছে আশরাফুজ্জামানের ‘হ্যামিলনের বাশিওয়ালা এখন ঢাকায়’, সকাল আহমেদের ‘শান্তিপুরের অশান্তি’, জাহিদ হাসানের ‘হুলস্থুল’ ও আল হাজেনের ‘ছায়াছবি’ শিরোনামের ধারাবাহিকগুলো। ঊর্মিলাকে সর্বশেষ গত বছর ভিশন মাইক্রোওয়েব ওভেনের একটি বিজ্ঞাপনে মডেল হতে দেখা গেছে। সম্প্রতি প্রায় এক বছর পর আবারো বিজ্ঞাপনের মডেল হলেন তিনি। এটি রূপচাঁদা চিনি গুড়া চালের বিঞ্জাপন। নির্মাণ করেছেন ইফতেখার আহমেদ অশিন। ঊর্মিলা বলেন, নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে কাজ করতে বেশ ভালো লাগে। চেষ্টা করি পছন্দসই কিছু বিজ্ঞাপনে কাজ করার। এতে করে দর্শকের সঙ্গে যোগাযোগটা নিয়মিত হয়। অনেকদিন পর বিজ্ঞাপনে কাজ করলাম। এর কনসেপ্ট ও নির্মাণ খুবই দারুণ। শিগগিরই প্রচারে আসবে এটি। গেল মাসে কিছুদিন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ঊর্মিলা। সুস্থ হতে সময় লেগেছে। স্বভাবতই অভিনয় থেকে দূরে থাকতে হয়েছে তাকে। তবে এখন তিনি অভিনয়ে বেশ মনোযোগী। আর খুব শিগগিরই একটি সুখবর দেবেন বলেও জানান এ অভিনেত্রী। সেটি কি? ঊর্মিলা বলেন, সুখবরটি এখনই দিতে চাই না। দুই সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি জানাবো। তাই সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে। গেল কয়েক বছর ধরে টেলিভিশন মিডিয়ায় বেশ কিছু সমস্যা বিদ্যমান। এরমধ্যে শিল্পীদের সিডিউল বিষয়টিও রয়েছে। এজন্য কখনো শিল্পীরা নির্মাতাদের দায়ী করছেন। কখনো নির্মাতারা বলছেন শুটিং স্পটে শিল্পীরা সঠিক সময়ে আসে না। এ সম্পর্কে ঊর্মিলার মন্তব্য কি? তিনি বলেন, এখানে এককভাবে কাউকে দায়ী করা ঠিক হবে না। আমরা সবাই যদি নিজের কাজের প্রতি শতভাগ মনোযোগী হই তাহলে এমন হবে না বলে আমি মনে করি। অভিনয় শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড সবাই শিল্পীদের সিডিউল বিষয়ে একটি উদ্যোগ নিতে পারে। আর তা হলো- সঠিক সময়ে যেন শুটিং শুরু এবং শেষ হয়। শিল্পী ও নির্মাতা কেউ কাউকে ছাড়া চলতে পারবে না। সুতরাং এ দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ থাকলে নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করবো। এ সময়ে টিভি নাটকে বেশ কিছু অসংগতি নিয়েও কথা বলেন এ অভিনেত্রী। তিনি বলেন, এখন নাটক শুধু টেলিভিশনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ইউটিউব এবং বিভিন্ন অ্যাপসের জন্যও নাটক নির্মাণ হচ্ছে। এ সময়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাতাদের আরো মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে কাজ করলে আমাদের নাটকে নতুন দর্শক তৈরি হবে।